রাজধানীতে ৩ দিনের সুন্নি ইজতেমা শুরু ১৪ ফেব্রুয়ারি

আগের সংবাদ

পোশাক খাতে সম্ভাবনার আলো

পরের সংবাদ

দর্শকনন্দিত প্রেমের সিনেমা : হলিউড

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভালোবাসার আবেদন নিয়ে নির্মিত সিনেমাগুলো পুরো বিশ্বেই পেয়েছে অনেক জনপ্রিয়তা। হলিউডের দর্শকনন্দিত প্রেমের সিনেমাগুলোর কথা থাকছে পাঠকদের জন্য

গন উইথ দ্য উইন্ড
ভিক্টর ফ্লেমিংয়ের পরিচালনায় ১৯৩৯ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘গন উইথ দ্য উইন্ড’। যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধের সময়কার ঘটনা নিয়ে গড়ে উঠেছে এ সিনেমার কাহিনি। এ ছবির গল্প মূলত এক নারীর, যে নিজের ভালোবাসার কথা ভালোবাসার মানুষটিকে জানাতে চায় না। এই ছবির মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন গ্যাবেল ও ভিভিয়েন লেই। ৮টি বিভাগে অস্কার পেয়েছিল এ ছবিটি।

কাসাব্লাঙ্কা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে ইউরোপের অধিবাসীদের অনেক শরণার্থীই আশ্রয় চাচ্ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে যেতে হলে প্রথমে যেতে হবে কাসাব্লাঙ্কায়। আর এখানেই মিলবে ভিসা, যা পাওয়া আবার খুব সোজা নয়। কাসাব্লাঙ্কায় একটি ক্যাফে চালায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত রিক ব্লেইন। ঘটনাক্রমে ট্রানজিটের দুটো কাগজ পায় ব্লেইন। এ শহরেই সে খুঁজে পায় সাবেক প্রেমিকা ইলসাকে। ইলসার স্বামী লাজলো চেকস্লোভাকিয়ার বিদ্রোহী নেতা, জার্মানরা যাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। ইলসা জানে, কেবল ব্লেইনই সাহায্য করতে পারবে তাদের কিন্তু ব্লেইন কি সাহায্য করবে তাদের? এমনই গল্প নিয়ে ১৯৪২ সালে নির্মিত হয় ভালোবাসার ছবি ‘কাসাব্লাঙ্কা’। এ সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন হ্যামফ্রে বোগার্ট এবং ইনগ্রিড বার্গম্যান। ছবিটি ড্রামা, রোমান্স ও সাসপেন্সের সমন্বয়ে পরিপূর্ণ একটি ক্ল্যাসিক।

রোমান হলিডে
নিয়মের বেড়াজালে বন্দি রাজকন্যা অ্যান ইউরোপ ভ্রমণের সময় এক রাতে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান। এরপর তার সঙ্গে দেখা হয় মার্কিন সাংবাদিক জোয়ের। এই দুজনের প্রেমে পড়তে খুব একটা সময় লাগে না। কিন্তু যখন জো জানতে পারলেন, এই মেয়েটি কোনো সাধারণ মেয়ে নয়, বরং স্বয়ং রাজকন্যা- তখনই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিল। ১৯৫৩ সালে ছবিটি পরিচালনা করেছেন উইলিয়াম ওয়াইলার। মূল চরিত্রে ছিলেন গ্রেগরি পেক আর অদ্রে হ্যাপবার্ন।

ইট হ্যাপেনড ওয়ান নাইট
বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়া এক নারীকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন এক রিপোর্টার, যে আসলে গল্পের খোঁজে আছে। এরপর দুজনের প্রেম আর খুনসুটি নিয়েই এগিয়ে চলে এই সিনেমার কাহিনি। ফ্রাঙ্ক ক্যাপরা পরিচালিত এ সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৩৪ সালে, মূল চরিত্রে ছিলেন ক্লার্ক গ্যাবেল ও ক্লডেট কোলবার্ট। পাঁচটি অস্কার জিতে নেয়া এই সিনেমা থেকে প্রায় হুবহু কাহিনি নিয়ে বলিউডে দুটি সিনেমা নির্মাণ করা হয়, যার মাঝে একটি ছিল ‘দিল হ্যায় কি মানতা নেহি’।
সিটি লাইটস
ফুল বিক্রেতা এক অন্ধ মেয়ে আর এক ভবঘুরেকে নিয়ে এ সিনেমার কাহিনি। মেয়েটি ভাবে, ভবঘুরেটি হয়তো খুব ধনী কেউ। আর ভবঘুরের মাথায় ছিল একটাই চিন্তা- কীভাবে এই অন্ধ মেয়েটিকে আবার তার চোখের দৃষ্টি ফিরিয়ে দেয়া যায়! ১৯৩১ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন চার্লি চ্যাপলিন ও ভার্জিনিয়া চেরিল। নিজের পরিচালিত সবচেয়ে পছন্দের সিনেমার কথা জিজ্ঞাসা করলে চার্লি সবসময় সিটি লাইটসের নাম বলতেন।

টাইটানিক
যে বাঙালি জীবনে কোনোদিন ইংরেজি সিনেমা দেখেনি, সে পর্যন্ত টাইটানিক দেখেছে- এমন কথাই শোনা যেত একসময়। টাইটানিক শুধু একটি সিনেমা নয়, এটি একটি আবেগের নাম। বারবার দেখার মতো সিনেমা এটি। ১১টি অস্কার জেতা এ সিনেমাটি সারাজীবন জ্যাক আর রোজের অমর প্রেমকাহিনির কথা বলে যাবে।

ইন্টারনাল সানশাইন অব দ্য স্পটলেস মাইন্ড
নিজেদের সম্পর্ক যখন ক্রমেই তিক্ততার দিকে যাচ্ছিল, তখন প্রেমিক ও প্রেমিকা সিদ্ধান্ত নেয় যে, এক বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে তারা তাদের পুরনো সব সুখস্মৃতি মুছে ফেলবে। কিন্তু পুরনো স্মৃতি ভুলে যাওয়া কি এত সোজা? ভালোবাসার মানুষটিকে ভুলে থাকা কি এতই সোজা? মাইকেল গনড্রি পরিচালিত ২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া এ সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন জিম ক্যারি ও কেট উইন্সলেট।

দ্য নোটবুক
গরিব প্রেমিকের সঙ্গে প্রেম হয় ধনী প্রেমিকার। কিন্তু তাদের সামাজিক অবস্থানের কারণে তাদের এই প্রেম মেনে নেয়া হয় না! তাই বলে কি এই প্রেমের কোনো মূল্য নেই? নিক ক্যাসাভেটেস পরিচালিত ২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমাতে কাজ করেছিলেন রায়ান গোসলিং ও র‌্যাচেল অ্যাডামসসহ আরো অনেকে। এক জরিপে বেশিরভাগ নারীদের পছন্দের তালিকায় এ সিনেমাটিকে পাওয়া যায়।

প্রিটি উম্যান
১৯৯০ সালে রিলিজ পাওয়া সিনেমার মূল চরিত্রে ছিলেন রিচার্ড গেয়ার ও জুলিয়া রবার্টস। একজন অনেক বেশি সম্পদশালী পুরুষের সঙ্গে একজন নিতান্তই প্রেম সম্পর্কে অজ্ঞাত নিশিকন্যার কীভাবে প্রেম হয়ে যায়, সেটা দেখলে যে কারোরই মনে হবে- ভালোবাসা আসলে যে মানুষের জীবনে কখন কার সঙ্গে হয়ে যায়, তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই।

:: মেলা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়