আইনমন্ত্রী : জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য ৬৪৮ এমপির কথা বলা হচ্ছে

আগের সংবাদ

উপজেলা নির্বাচনের আগেই বিবাদ মেটাতে চায় আ.লীগ : ভোটের কোন্দল

পরের সংবাদ

জেলে রুটি ও ক্যাপসিকাম খেয়ে থাকতে হতো

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর বারবার অভিযোগের আঙুল উঠেছে প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর দিকে। অভিনেতার মৃত্যুর পর হাজার বিতর্ক দানা বাঁধে রিয়াকে ঘিরে। অভিনেতার মৃত্যুর পর রিয়ার নামে অভিযোগ করেন সুশান্তের বাবা। হাজতবাস হয় তার। প্রায় দুই মাস মুম্বাইয়ের বাইকুল্লা জেলে বন্দি ছিলেন রিয়া। সুশান্ত সিংহের রহস্যমৃত্যুতে শুধু রিয়াকেই নয়, তার ভাই শোইক চক্রবর্তীকেও গারদে কাটাতে হয়। জেলে কাটানো জীবন কেমন ছিল রিয়ার? লেখক চেতন ভগতকে জানালেন মনের কথা। সুশান্ত যখন মারা যান সেই সময় দেশে লকডাউন চলছে। যেভাবে কাটাছেঁড়া চলেছে তাকে নিয়ে, রিয়া জানতেন তাকে জেলে যেতেই হবে। করোনাকালে জেলবন্দি হওয়ায় প্রায় ১৪ দিন একা একটা কক্ষে থাকতে দেয়া হয় রিয়াকে। খাবার বলতে রুটি আর ক্যাপসিকাম। আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘করোনাকালের কিছ নির্দিষ্ট নিয়মের জন্যই ১৪ দিন জেলের একটা ঘরে সম্পূর্ণ একা রাখা হয়। আমাকে জিজ্ঞেস করা হতো, দুপুরে খাব কিনা। সত্যি বলতে এত খিদে পেত এবং ক্লান্ত থাকতাম যে, যা দেয়া হতো তাই-ই খেয়ে নিতাম। সেই সময় আমাকে রুটি আর ক্যাপসিকাম খেতে দেয়া হতো। সেটা কিন্তু তরকারির মতো ছিল তেমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। ছিল কেবলই ক্যাপসিকাম এবং জল।’ জেলবন্দি সময়ে বেশ কিছু জীবনবোধ তৈরি হয় তার। নিজেকে একেক সময় ভাগ্যবান বলেও মনে হয়েছে রিয়ার। তার কথায়, ‘আমি জেলবন্দি থাকাকালে দেখেছি অনেক বন্দির পরিবারের সামর্থ্য নেই। ৫ হাজার কিংবা ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কেউ ছিল না। আমার তো তা-ও পরিবার এবং বন্ধুরা আছে। আমার নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হতো।’ শেষে রিয়ার সংযোজন, ‘জেলে যে মানসিক অত্যাচার সহ্য করেছি, সেখানে নোংরা স্নানঘর এসব বড্ড ছোট মনে হতো। শারীরিক অসুবিধে কিছুই না যেন।’

:: মেলা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়