এমন এক রোগ, যার নাম শুনলেই আতঙ্কে কেঁপে ওঠেন মানুষজন। একবার সে এলে অর্থহানি তো বটেই, প্রাণহানিও হতে পারে। এমন এক অসুখ, যার কোনো ওষুধ আজ পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। সেই মারণ রোগ ক্যান্সারেই আক্রান্ত হয়েছিল ১৩ বছরের ছেলেটা। তবে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছে সে। তারপরেই ক্যান্সার-জয়ী ছেলের সঙ্গে ছবি পোস্ট করলেন বলিউড অভিনেতা ইমরান হাশমি। সঙ্গে রয়েছে একটি ভিডিওও, যেখানে দেখা যাচ্ছে ইমরানের ছেলে আয়ান তারই লেখা একটি বই পড়ছে। যে বইয়ের উপজীব্য হলো, আয়ান কীভাবে ক্যান্সারকে হারিয়ে জীবনযুদ্ধে জিতে গেছে। ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে ইমরান যে ছবিটি পোস্ট করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, ছেলের গলা জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন গর্বিত বাবা। আর ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আয়ান একটি বই পড়ছে, যার নাম ‘কিস অব লাইফ : হাউ এ সুপারহিরো অ্যান্ড মাই সন ডিফিটেড ক্যান্সার’। ক্যাপশনে ইমরান লিখেছেন, ‘সর্বদা এমন একজনের ওপর আমি ভরসা রাখতে পারি। আমার ছেলে, আমার বন্ধু, আমার সুপারহিরো- আয়ান!’ উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছিল আয়ান। ৫ বছর লড়াইয়ের পর অবশেষে একরত্তি ছেলের জীবনীশক্তির কাছে হার মানে ক্যান্সার। ইমরানের সেই পোস্টে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন অনুরাগীরা। কেউ বাবা-ছেলের রসায়নে মুগ্ধ, তো কেউ হার্ট ইমোজি দিয়ে ভালোবাসা জানিয়েছেন। তবে ইমরান আরো একটি পোস্ট করেছেন। তাতেই স্পষ্ট, কেন ৫ বছর আগে ক্যান্সারমুক্ত হয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ সে কথা জানালেন ইমরান। অভিনেতা জানিয়েছেন, এটিই হলো সেই দিন, ২০১৪ সালে যেদিন প্রথম ছেলের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সেই ভয়ংকর দুঃসংবাদ পেয়েছিলেন তারা। ছেলের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে ইমরান লিখেছেন, ‘আমাদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন পর্যায় ছিল। কিন্তু বিশ্বাস এবং আশা দিয়ে আমরা তা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। আরো গুরুত্বপূর্ণ, ও এটা কাটিয়ে উঠেছে এবং সবকিছুর মধ্যেও শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আপনাদের ভালোবাসা এবং প্রার্থনা নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অসীম কৃতজ্ঞতা।’ ২০১৯ সালে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’তে এসে প্রথম এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন ইমরান। তখন আয়ান ক্যান্সারমুক্ত। কিন্তু তবুও ক্যান্সার ফিরে আসার আশঙ্কা ছিল। সেই সময় তার এবং তার পরিবারের জন্য অত্যন্ত কঠিন ছিল- জানিয়েছিলেন ইমরান। তবে সৌভাগ্যক্রমে সেসব আবার হয়নি। আপাতত আয়ানের সঙ্গে ভালোই সময় কাটছে ইমরান ও তার পরিবারের।

:: মেলা ডেস্ক