চলে গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষ্ণা রহমান

আগের সংবাদ

বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কঠোর ইসি : তিন শতাধিক প্রার্থীকে শোকজ > কয়েকজনকে জরিমানা > মামলা ৩ প্রার্থীর বিরুদ্ধে

পরের সংবাদ

সাংবাদিকদের বধ্যভূমি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আলজাজিরার সাংবাদিক ওয়ায়েল দাহদুহ গত অক্টোবরের শেষ দিকে যখন গাজা যুদ্ধ নিয়ে লাইভ করছিলেন, ঠিক সে সময়ই বর্বর ইসরায়েলিদের বিমান হামলায় তাঁর স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও নাতি নিহত হন। এ খবরে কেঁদে উঠেছিল বিশ্ববিবেক। ওই সাংবাদিক বেঁচে গেলেও ইহুদিবাদী দেশটির আগ্রাসন প্রতিদিনই কেড়ে নিচ্ছে সংবাদকর্মীদের প্রাণ।
গাজার সাংবাদিকদের জন্য যুদ্ধের সংবাদ প্রচার এবং ব্যক্তিগত দুঃখ এক অভিন্ন গল্প। যাদের ভাগ্য প্রসন্ন, সেই সাংবাদিকরাও প্রতিনিয়ত তাদের স্বজন ও সহকর্মীদের হারাচ্ছেন। আর হতভাগ্যদের জীবন কেড়ে নিচ্ছে ইসরায়েলি বোমা। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় হামলা শুরু করার আগে গাজা উপত্যকায় প্রায় ১ হাজার সাংবাদিক কর্মরত ছিলেন। তাদের মধ্যে ১০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। এই হিসাবে মোট সংবাদকর্মীর প্রায় ১০ শতাংশ মারা গেছেন এরই মধ্যে। এ এলাকাটি কার্যত এখন সাংবাদিকদের বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে।
সাংবাদিকদের বলা হয়, বিশ্বের চোখ ও কান। অথচ হামাস পরিচালিত গাজার মিডিয়া অফিস গত শনিবার বলেছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি সাংবাদিক মুহাম্মাদ আবু হায়েদি নিহত হয়েছেন। তিনি এ উপত্যকায় এবার নিহত ১০০তম সাংবাদিক। তবে গাজার কর্মকর্তারা বলছেন, নিহত সংবাদকর্মীর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন সিপিজে বলেছে, গাজায় সাংবাদিকদের হত্যার সংখ্যা ইতিহাসে ‘অতুলনীয়’। সংস্থাটি বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে সাংবাদিকদের এমন হারে হত্যা করছে, যার তুলনা আধুনিক ইতিহাসে নেই। আলজাজিরার ক্যামেরাপারসন সামের আবুদাকা সম্প্রতি খান ইউনিসের একটি স্কুল থেকে রিপোর্ট করার সময় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত হন।
গাজায় নিহত সাংবাদিকদের সংখ্যা ইউক্রেন, ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তানের মতো অন্যান্য সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলের থেকেও বেশি।
প্যারিসভিত্তিক এ সংগঠনটির গত শুক্রবার দায়ের করা অভিযোগে হেগের এ আদালতকে ২২ অক্টোবর থেকে ১৫ ডিসেম্বর গাজায় নিহত সাত ফিলিস্তিনি সাংবাদিকের মৃত্যুর তদন্ত করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে গাজায় যেসব সাংবাদিক বেঁচে আছেন, তাদের জীবনও এক বেদনাদায়ক আখ্যানে পরিণত হয়েছে। যেমন- ইসরায়েলি বিমান হামলায় আলজাজিরা অ্যারাবিকের গাজা ব্যুরোপ্রধান ওয়ায়েল দাহদুহ তার স্ত্রী, সাত বছরের মেয়ে এবং ১৫ বছরের ছেলে ছাড়াও আটজন আত্মীয়কে হারিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়