নীরব-মজনুসহ বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড : নাশকতার তিন মামলা

আগের সংবাদ

অপশক্তিকে রুখে দেয়ার অঙ্গীকার : বিজয় দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ

পরের সংবাদ

বিজয়ের সুফল সর্বত্র পৌঁছাতে হবে

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় তিনটি প্রধান দিবসকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী নানা আনুষ্ঠানিকতা পালিত হয়ে আসছে। ডিসেম্বর বিজয়ের মাস, ফেব্রুয়ারি ভাষার মাস এবং মার্চ স্বাধীনতার মাস। এরই ধারাবাহিকতায় ফেব্রুয়ারির ভাষার মাসজুড়ে প্রচার মাধ্যমগুলো মাতৃভাষা বাংলা নিয়ে সরব হয়ে ওঠে। প্রকাশ ও প্রচার করে বাংলা ভাষা, ভাষা আন্দোলন নিয়ে নানা নিবন্ধ-প্রবন্ধ, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে বহুবিধ প্রচারণা। এ মাসের দৃশ্যমান কাজটি করে বাংলা একাডেমি। মাসব্যাপী বিশাল পরিসরে আয়োজন করে একুশের বইমেলা। একাডেমির অস্থায়ী মঞ্চে প্রতিদিন নানা বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধ পাঠ ও আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন থাকে। বাংলা একাডেমি এই কার্যক্রম অনেক বছর ধরে নিয়মিত করে আসছে। আমাদের মাতৃভাষার জন্য এত আবেগ-আয়োজনের পরও স্বীকার করতে হয়; পরিপূর্ণ রাষ্ট্রভাষার মর্যাদায় বাংলা ভাষা আজো সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে অধিষ্ঠিত হতে পারেনি। এই দায় স্বীকারে আমাদের অনেক ক্ষোভ-হতাশা নিশ্চয় আছে এবং সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চয় থাকবে।
ডিসেম্বর মাসকে বিজয়ের নামে অভিহিত করার রেওয়াজ চালু রয়েছে। ডিসেম্বর মাসটি আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস হিসেবে সমাজ-জীবনে এবং ইতিহাসেরও অনিবার্য অংশ হয়েছে। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর আমরা হানাদার পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে পরাভূত করে বিজয় অর্জন করেছিলাম। ওই বিজয়ের পেছনে প্রধান শক্তিটি ছিল কতিপয় পাকিস্তানপন্থি ব্যতীত সমগ্র জাতির ঐক্য-সংহতি। সমষ্টিগত মানুষের ঐক্যেই সম্ভবপর হয়েছিল হানাদারদের পরাস্ত করা। কিন্তু বিজয়ের পর ওই ঐক্য ক্রমাগত ফিকে হওয়ার পথ ধরে, এখন জাতি-বিভক্তি প্রকট হয়ে পড়েছে। এই বিভক্তির পেছনে সবচেয়ে ক্রিয়াশীল হচ্ছে বৈষম্য। বৈষম্য ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি আমলজুড়ে ছিল। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে ওই বৈষম্য আবার শক্তপোক্তভাবে বহাল থাকবে এটা আমাদের স্বপ্ন-কল্পনাতেও ছিল না। অথচ বৈষম্য তো কমেনি, ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে স্ফীত হয়ে এখন আমরা এবং ওরাতে বিভক্ত হয়ে পড়েছি। বিভক্তির মূলে ওই বৈষম্য অর্থাৎ শ্রেণি-বৈষম্য।
একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারে একাত্তরে একত্রিত হয়েছিলাম। কিন্তু বৈষম্যকে পরাভূত না করে বৈষম্যকেই টিকিয়ে রাখার আয়োজন চলেছে গত বায়ান্ন বছর ধরে। এতে অভিন্ন জাতিসত্তার মানুষ যেমন পরস্পরের মিত্র আর থাকেনি, তেমনি প্রতিপক্ষ হয়ে পড়েছে ১০ শতাংশ ৯০ শতাংশের বিভক্তিতে। বিজয়ের বারতা তাই সর্বজনীন হতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা ভূখণ্ডের অধিকার ও স্বাধীনতা পেলেও প্রকৃত স্বাধীনতা ও বিজয়ের অংশীদার হতে পারিনি। হয়েছে কতিপয় নিশ্চয়। কিন্তু সমষ্টিগত মানুষ স্বাধীনতা তো পরের কথা মুক্তিও পায়নি। তাই বিজয়ের আনন্দ ক্রমেই হতাশার জন্ম দিয়ে চলেছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের অস্থায়ী সরকার স্বাধীন দেশে শাসনতন্ত্রের তিনটি মৌলিক মূলনীতির ঘোষণা দিয়েছিল। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। স্বাধীন দেশে ওই তিন মূলনীতি একে একে বিলুপ্ত করা হয়েছে। সম্ভাবনার দ্বার একে একে তিরোহিত হয়েছে। সমষ্টিগত মুক্তির আকাক্সক্ষা হারিয়ে ব্যক্তিগত প্রাপ্তির জেরে আত্মকেন্দ্রিকতা সর্বত্রে বিরাজ করছে। এতে আমাদের অতীতের ঐক্যের বিনাশ যেমন ঘটেছে, তেমনি ঘটেছে বিভক্তি।
এই বিভক্তির মাসুল গুনছে দেশের সমষ্টিগত মানুষ। তারাই সর্বাধিক ত্যাগ স্বীকার করেছিল মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসব্যাপী। তারা অতীতেও ছিল অবহেলিত প্রান্তিকজন। আজো তাই।
আমরা পাকিস্তানি দুর্ধর্ষ সেনাবাহিনীকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে পারলেও বৈষম্যকে পরাজিত করতে পারিনি। এই বৈষম্যই জাতির ঐক্যের প্রধান অন্তরায়, সেটা স্বীকার করতেই হবে।
যে রাষ্ট্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা, সে রাষ্ট্রে সর্বস্তরে বাংলা ভাষার অবাধ প্রচলন কেন আজো সম্ভব হয়নি? এই প্রশ্নের উত্তর আমাদের রাষ্ট্র-ক্ষমতায় থাকা শাসকরা স্পষ্ট না করে, অনেকটা এড়িয়ে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে বাংলা ভাষার মহিমা প্রকাশে কার্পণ্য করে না। সর্বস্তরের মানুষের সুরে সুর মিলিয়ে বাংলা ভাষার জয়গান গেয়ে থাকেন। কিন্তু তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের অন্তর্গত মৌলিক কাজটি না করে নির্লিপ্ত থাকেন। কেননা স্বাধীন দেশে রাষ্ট্রের বদল ঘটেনি। রাষ্ট্র তার সাবেক চেহারা-চরিত্র নিয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছে। আমরা পাকিস্তানি রাষ্ট্র ভেঙে নতুন রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছি সত্য, তবে রাষ্ট্রের চরিত্র-চেহারার পরিবর্তন করতে পারিনি। রাষ্ট্র অতীতেরই ধারাবাহিক। আর আমাদের শাসকশ্রেণিও তথৈবচ। অতীতের শাসকদের নির্ভেজাল পরম্পরা মাত্র। আমাদের শাসকরা যে শ্রেণির প্রতিনিধি সে শ্রেণির কাছে বাংলা নয়, ইংরেজি ভাষার প্রতি দুর্বলতা-ভালোবাসা অপরিসীম। তাদের সন্তানরা বাংলা মাধ্যমের শিক্ষাক্রমে যুক্ত নেই। তাদের ভবিষ্যৎ দেশে নেয়, বিদেশে। সে লক্ষ্যেই তারা ইংরেজিনির্ভর। বাংলা ভাষা তাদের কাছে কেবল অগ্রহণীয় নয়, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যও বটে। বচনে-ভাষণে তারা যতই বাংলার পক্ষে আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করুক না কেন, বাস্তবতার সঙ্গে তার কোনোই মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না। নির্ভেজাল স্ববিরোধী এবং রাজনৈতিক প্রতারণা মাত্র।
আমাদের শ্রেণি বিভক্ত সমাজের চিত্রটি অপ্রকাশ্য নয়, রীতিমতো মোটাদাগে দৃশ্যমান। আমাদের শিক্ষাক্রমে তিনটি ভিন্ন ভাষা-সংস্কৃতির শিক্ষাক্রম শক্তপোক্তভাবে শিকড় বিস্তার করে আছে। বিত্তবান শ্রেণি এবং উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্রম ইংরেজি মাধ্যমে। দরিদ্র শ্রেণিকে চিরস্থায়ী দারিদ্র্যের বৃত্তে রাখার ফন্দি-সুলভ আরবি ভাষার মাদ্রাসা শিক্ষাক্রমে ঠেলে দেয়া হয়েছে। একমাত্র মাধ্যমিক শিক্ষাক্রমে বাংলা ভাষার সর্বাধিক প্রচলন রয়েছে। এই তিন ধারার শিক্ষাক্রম শ্রেণি বিভক্তি-বৈষম্যকে টিকিয়ে রাখার অভিপ্রায়ে বিস্তার লাভ করেছে। অথচ একটি স্বাধীন দেশে মাতৃভাষা নির্ভর একধারার শিক্ষাক্রম প্রচলনের স্বপ্ন এ দেশের মানুষ দেখেছিল। অথচ বাস্তবতা আমাদের কাক্সিক্ষত স্বপ্ন থেকে কত দূর দূরান্তে।
আমরা ইংরেজি ভাষা পরিত্যাগের পক্ষে নই। ভাষা শিক্ষায় ইংরেজি যুক্ত থাকতে পারে। তাই বলে মাতৃভাষাকে উপেক্ষা করে ইংরেজি ও আরবি ভাষাকে প্রধান অবলম্বন করে শিক্ষাক্রম তো আমাদের জাতীয় চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থি। আমাদের তথাকথিত জাতীয়তাবাদী শাসকদের বিজাতীয় দৃষ্টিভঙ্গিরই নির্জলা বহিঃপ্রকাশ। যে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা নিয়ে গর্ব করি। তিন ধারার শিক্ষাক্রমে সেই গর্ব কেবল খর্ব নয়, ¤øান হয়ে যায়। যাদের আত্মদানে মাতৃভাষা এবং স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে; বিদ্যমান শিক্ষাক্রম তো তাদের আত্মদানের সম্পূর্ণ বিপরীত। আমরা চাই মাতৃভাষাকেন্দ্রিক একমুখী শিক্ষাক্রম। সেটা বিদ্যমান ব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠা, আমাদের স্বঘোষিত জাতীয়তাবাদী শাসকদের অধীনে সম্ভব হবে না। আমাদের শাসক শ্রেণি ক্ষমতায় থাকতে এবং ক্ষমতায় যেতে হেন অপকীর্তি নেই, যা তারা করে না।
আমাদের দুই প্রধান শাসক দলে স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদীদের আশ্রয় জুটেছে। ভোটের রাজনীতির নিয়ামক শক্তিরূপেই তারা পেয়েছে অবাধ আশ্রয়-প্রশ্রয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দাবিদার বর্তমান সরকার হেফাজতে ইসলামের ঘৃণিত আবদার রক্ষায় পাঠ্যপুস্তকে ব্যাপক রদবদল ঘটিয়ে শিক্ষাক্রমে সাম্প্রদায়িক শিক্ষার পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের ধর্মনিরপেক্ষ-মুক্তচিন্তার মানস গঠনের বিপরীতে সাম্প্রদায়িকতার পঙ্কিল পথে ঠেলে দেয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে। ক্ষমতার মোহে পরিণতির বিষয়টি সামান্য বিবেচনা পর্যন্ত করেনি। আওয়ামী ওলামা লীগ নামক সাম্প্রদায়িক সংগঠনটি বর্তমান শাসক দলের অঙ্গ সংগঠন রূপেই নির্ভাবনায়-নিরবচ্ছিন্নভাবে সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সংগঠনটির সাম্প্রদায়িক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী নানা ভূমিকা ও কর্মকাণ্ডে শাসক দল নিশ্চুপ। জনমনে এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। আওয়ামী ওলামা লীগের দায় সঙ্গত কারণেই শাসক দলের এড়ানোর সুযোগ নেই। এদের দায় শাসক দলকেই বহন করতে হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এদের পরাভূত করে ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ব্যতীত একুশের চেতনা-মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার কোনোই সুযোগ নেই।
ভাষার মাস অতিক্রমের পর মার্চ মাসকে আমরা স্বাধীনতার মাসে নামে অভিহিত করে থাকি। মাসজুড়ে স্বাধীনতা নিয়ে প্রচার মাধ্যমগুলো সরব হয়ে ওঠে। অথচ আমাদের স্বাধীনতা বহু ত্যাগ-আত্মত্যাগে প্রতিপক্ষ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করেই অর্জিত হয়েছে। দয়া-দক্ষিণায় আসেনি। অধিক ত্যাগের এই স্বাধীনতা প্রকৃতই কি এ দেশের সমষ্ঠিগত মানুষকে স্বাধীন করেছে? এক বাক্যে, না। কেবল পৃথক ভূখণ্ডের স্বাধীনতা ব্যতীত সমষ্টিগত

মানুষের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়নি। আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা কতিপয়ের স্বাধীনতায় সীমিত। সমষ্টি সেখানে স্বাধীনতা বঞ্চিত। ওই যে শাসকশ্রেণির কথা বলেছি, এই স্বাধীনতা একমাত্র তাদেরই স্বাধীন করেছে। দিয়েছে অবাধ ক্ষমতা আর একচ্ছত্র অধিকার। পাকিস্তানি আমলের স্বদেশি পেটি বুর্জোয়া শ্রেণি স্বাধীন দেশে বুর্জোয়া হতে পেরেছে, স্বাধীনতার সুফলে। তবে এদের বুর্জোয়া হওয়ার প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়াধীনে ঘটেনি। ঘটেছে লুণ্ঠন-দুর্নীতিসহ নানাবিধ অনৈতিক পন্থাবলম্বনে। সে কারণে এদের জাতীয় বুর্জোয়াও বলা যাবে না। লুণ্ঠন-দুর্নীতির পঙ্কিল পথ ও পন্থায় এবং ঘৃণ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতির সুযোগে এরা সংঘবদ্ধ একটি লুটেরা বুর্জোয়া শ্রেণি রূপে নিজেদের অর্থ-সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। আমাদের শাসকশ্রেণি এই শ্রেণিরই প্রতিনিধি। সে কারণে তারা পরস্পর হরাত্মা। তাই দেশে শ্রেণি শোষণ যেমন বিদ্যমান, তেমনি বহুমাত্রিক রূপ লাভও করেছে।
সমষ্টিগত মানুষ স্বাধীন বা স্বাধীনতার সুফলভোগী হতে না পারার কারণ অনুসন্ধান করা মোটেও অসহজ নয়। বাংলাদেশে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ স্বাধীনতা বঞ্চিত, অধিকার ও ক্ষমতা বঞ্চিত। ক্ষুদ্র ২০ ভাগের মধ্যে ১০ ভাগের করতলে অর্থ-বিত্ত এবং নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। বাকি ১০ ভাগ স্বশ্রেণিতে টিকে থাকার অভিলাষে এক ধরনের টানাপড়েনে ব্যস্ত। স্বীয় অবস্থানকে নিরঙ্কুশ রাখতে তারা শাসক দলের পাল্লার ওজন বুঝে দল পাল্টায়। একবার এদিকে আরেকবার ওদিকে ঘুরপাক করে। তাদের চরিত্র মুৎসুদ্দি বললেও ভুল হবে না। এই ৮০ ও ২০ ভাগের মধ্যে ব্যবধান ঘোচাতে কোনো সংস্কারে কুলাবে না। একমাত্র উপায়টি হচ্ছে ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। আমরা সশস্ত্র বিপ্লব মুক্তিযুদ্ধে সম্পন্ন করেছি। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের এই স্বাধীনতায় সমষ্টিগত মানুষের স্বাধীনতা এবং মুক্তি নিশ্চিত হয়নি। সে কারণেই মুক্তিযুদ্ধ অসম্পূর্ণ। অসম্পূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের সম্পন্নের কাজটি সমাজ বিপ্লব। সমাজ বিপ্লবই সমষ্টিগত মানুষের একমাত্র পথ। ওই পথেই সমষ্টিগত মানুষের স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে। সব মানুষের সমঅধিকার ও সুযোগের সাম্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। এছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়