পীরেরবাগে ভাঙারির দোকানে বিস্ফোরণে দগ্ধ এক

আগের সংবাদ

কী বার্তা পেল জাতীয় পার্টি : গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জি এম কাদেরের বৈঠক, আসন সমঝোতার আলোচনা

পরের সংবাদ

২০২৪ সালে চাল উৎপাদন কমবে এশিয়ায় : পূর্বাভাস

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : এশিয়ায় ২০২৪ সালে চালের উৎপাদন কমার আশঙ্কা করা হয়েছে। এল নিনোর প্রভাবে আবহাওয়ায় শুষ্ক অবস্থা বিরাজ করবে, যা মাটির আর্দ্রতা কমিয়ে দেবে। ফলে এশিয়ার শীর্ষ চাল উৎপাদনকারী দেশগুলোয় ফলন ব্যাহত হবে। এতে খাদ্যপণ্যটির মজুতও কমে আসবে। সব মিলিয়ে বাজারে সরবরাহ স্বল্পতার ফলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দেখা দিতে পারে।
বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক ভারত ও দ্বিতীয় শীর্ষ সরবরাহকারী থাইল্যান্ড নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকে তাদের চাল উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছে। একই সময়ে ইন্দোনেশিয়ায় খরার কারণে ঠিকমতো ধান চাষ করতে পারেননি কৃষকরা। ফলে শীর্ষস্থানীয় আমদানিকারক দেশটি থেকে আমদানি চাহিদা আগের চেয়ে আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইনস কাউন্সিলের বিশ্লেষক পিটার ক্লাব বলেন, উচ্চ দামের কারণে কৃষক ধান চাষে আগ্রহী হতে পারে। কিন্তু অনেক এলাকায় পর্যাপ্ত পানি পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। এ কারণে ফলন কমে যেতে পারে।
তিনি বলেন, ভারত ও থাইল্যান্ড আগামীতে রপ্তানি আরো কমিয়ে দেবে। চলতি বছরের শুষ্ক মৌসুমে দেখা গেছে, ইন্দোনেশিয়ায় জলাশয়গুলোর পানি কমে গেছে। তাই ২০২৪ সালের শুষ্ক মৌসুমে সেচ দেয়ার মতো পর্যাপ্ত পানির অভাব রয়েছে সেখানে। চলতি বছর প্রধান রপ্তানিকারক ও আমদানিকারক দেশগুলোয় এল নিনোর প্রভাবে গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ায় চাল উৎপাদন কমে গেছে। আগামী বছর এ সংকট আরো বাড়তে পারে। এতে বৈশ্বিক চালের বাজার বড় ধরনের সরবরাহ সংকটের মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বৈশ্বিক চাল বাণিজ্যের সিংহভাগই আসে এশিয়া থেকে। অঞ্চলটির প্রধান রপ্তানি কেন্দ্রগুলোয় এ বছর চালের দাম ৩০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। গত আগস্টে ভারত চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যটির দাম ১৫ বছরের রেকর্ড সর্বোচ্চে।
যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়ার পূর্বাভাসদাতারা স¤প্রতি বলেছেন, এল নিনোর প্রভাব উত্তর গোলার্ধে ২০২৪ সালের এপ্রিল-জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। একই তথ্য জানিয়ে জাপানের আবহাওয়া ব্যুরো বলেছে, উত্তর গোলার্ধে এল নিনোর প্রভাব বাজায় থাকার সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ।
ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকরা বলেছেন, কম চাল উৎপাদন ও খাদ্য মূল্যস্ফীতির ঝুঁকির সঙ্গে ভারত আগামী বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখতে পারে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডেও রপ্তানি করার মতো কম উদ্বৃত্ত থাকার পূর্বাভাস রয়েছে।
ফিচ সলিউশনের শাখা বিএমআই বলেছে, ভারতীয় চাল রপ্তানির অনুপস্থিতিতে বড় রপ্তানিকারকের স্থান নেবে থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। তবে সরবরাহ স্বল্পতার কারণে উভয় দেশের বাজারে দাম থাকবে চড়া।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়