কাগজ ডেস্ক : জেরুজালেমে একটি বাস স্টেশনে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে তিনজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে ইসরায়েলের পুলিশ জানিয়েছে। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী ও এক বেসামরিকের পাল্টা গুলিতে বন্দুকধারীরাও নিহত হয়েছে। পুলিশ বলেছে, গত বৃহস্পতিবার সকালের এই ঘটনায় ১৬ জন আহত হয়। ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা জানিয়েছে, জরুরি পরিষেবার কর্মীরা আহত আটজনকে হাসপাতালগুলোতে নিয়েছে।
পশ্চিম জেরুজালেমের পুলিশ বলেছে, বন্দুকধারীরা একটি গাড়ি যোগে ঘটনাস্থলে আসে। তাদের কাছে এম১৬ রাইফেল ও পিস্তল ছিল। তারা বাস স্টেশনের এসেই বেসামরিকদের একটি জটলা লক্ষ্য করে গুলি করে। হামলাকারীরা পূর্ব জেরুজালের বাসিন্দা এবং গুলিবর্ষণের পরপরই নিরাপত্তা বাহিনী ও নিকটবর্তী এক বাসিন্দা তাদের প্রতিরোধ করে।
নিহত বন্দুকধারীদের গাড়িতে অস্ত্র ও গুলি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে তারা, খবর আল জাজিরার। ঘটনাস্থলে থাকা নিরাপত্তা ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ হামলার মুহূর্তগুলো ধরা পড়েছে। ইসরায়েলের চ্যানেল টুয়েলভ ভিডিও ফুটেজগুলো দেখিয়েছে। তাতে একটি সাদা গাড়িকে জনাকীর্ণ বাস স্টেশনে এসে থামতে দেখা যায়। গাড়ি থেকে দুই ব্যক্তি বের হয়ে এসে ভিড়ের দিকে দৌঁড়ে গিয়ে গুলি চালানো শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুই বন্দুকধারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
ইসরায়েলের মেগান ডেভিড অ্যাডোম জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন ২৪ বছর বয়সি এক নারী। ৭৩ বছর বয়সি আরেক পুরুষকে সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত তৃতীয় আরেকজনও হাসপাতালে মারা যান। বুধবার গভীর রাতে ইসরায়েল ও হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতি সপ্তম দিন পর্যন্ত বাড়াতে সম্মত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জেরুজালেমে হামলার এই ঘটনা ঘটে।
বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন জিভির বলেছেন, জেরুজালেমের দুই গুলিবর্ষণকারী পূর্ব জেরুজালেমের বাসিন্দা এবং তারা হামাসের সদস্য। ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এর স্পষ্টতই হামাসের কর্মী। যারা এখানে দুই সুরে কথা বলে, এক সুর তথাকথিত যুদ্ধবিরতির ও দ্বিতীয়টি সন্ত্রাসের সুর। এই হামলা ইসরায়েলের বেসামরিকদের মধ্যে ‘অস্ত্র বিতরণের গুরুত্ব’ তুলে ধরেছে বলে যোগ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।