কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় কোনো গাছ কাটতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, আমি বারবার বলেছি, গাছ কাটলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। আমার কাউন্সিলর, ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি, অনুমতি ছাড়া ডিএনসিসি এলাকায় কেউ গাছ কাটতে পারবে না। গাছ কাটার আগে এলাকাবাসী, কাউন্সিলর এবং আমাদের সঙ্গে আলাপ করতে হবে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে নগর সবুজায়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফুল ইসলাম, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামাল মোস্তফা, শক্তি ফাউন্ডেশনের উপনির্বাহী পরিচালক ইমরান আহমেদ, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর হামিদা আক্তার এবং মেটলাইফ বাংলাদেশের যুগ্ম নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমেদ।
আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রকৃতির জন্য গাছের গুরুত্ব অনুধাবন করতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলো, অনেকে গাছের গুরুত্ব বোঝে না। পরিবেশ রক্ষায় এবং জীবনের জন্য অপরিহার্য অক্সিজেন পেতে গাছের বিকল্প নেই। বিভিন্ন বস্তিতে প্রায় পাঁচ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। প্রতিটি গাছকে জিপিআরএস অ্যাপের মাধ্যমে আইডি নম্বর দিয়ে রোপণ করা হয়েছে।
নগর সবুজায়ন প্রকল্পের আওতায় শক্তি ফাউন্ডেশন এবং মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের যৌথ সহযোগিতায় বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে থেকে জাহাঙ্গীর গেট এবং বিজয় সরণি মোড় থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশে প্রায় ১৭ হাজার শোভা বর্ধনকারী গাছ রোপণ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে আগামী এক বছর এসব গাছের রক্ষণাবেক্ষণ করবে শক্তি ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি শাইখ সিরাজ বলেন, কোন জায়গায় কোন প্রজাতির গাছ লাগানো হবে, এটি জানা খুব জরুরি। শহরের রাস্তায় এক সময় শুধু ছায়া দেবে এমন জাতের গাছ লাগানো হতো, পরে ফুল ও ফলের গাছও লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়। শহরের সবুজায়নে সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে, বিশেষ করে কাউন্সিলরদের। এই গাছগুলো তাদের দেখে রাখতে হবে। তবে জনগণের যার যার জায়গা থেকেও দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রতিটি বাড়ি, অফিস ভবন শীতল রাখতে ছাদে গাছ লাগাতে হবে। সড়কের মিডিয়ানে গাছ, চিত্রকর্ম দেখলে অনেক ভালো লাগে। এটি দারুণ উদ্যোগ।