অঙ্ক ক্লাসে দুঃখ করে বলল, মুকুল স্যার
‘আজকে ক্রিকেট খেললে হতাম মস্ত ক্রিকেটার।
মাঠে নেমেই ছক্কা মেরে ফাটিয়ে দিতাম বল
বোলিং করে গুঁড়িয়ে দিতাম বিশ্বকাপের দল।
তখন কী আর থাকত এমন ভুঁড়িঅলা পেট!
থাকত কতক সেঞ্চুরি আর কয়েকশ উইকেট।
রোজ টিভিতে দেখতি তোরা আমার বিজ্ঞাপন’
বলতে গিয়ে ঝাপসা হলো স্যারের চোখের কোণ।
মুকুল স্যারের আবেগঘন স্মৃতি রোমন্থনে
সরল কিছু ক্রিকোণমিতি জাগল সবার মনে।
পল্টু ঠোঁটের হাসি চেপে বলল উঠে ‘স্যার
বলেন কারা আটকে দিল ক্রিকেট ক্যারিয়ার?
কাদের গোপন চক্রান্তে ঝরল চোখের জল?’
স্যার বললেন, ‘পোড়াকপাল আর দায়ী ব্যাট-বল।
ক্রিকেট মাঠে নেমে সেদিন খেলতে গিয়ে ম্যাচ
হাঁটুর সঙ্গে ক্রিকেট ব্যাটের লাগল এমন প্যাঁচ-
বলটা এসে উল্টো আঘাত হানল আকস্মাৎ
নাকটা ফুলে ট্যাবলা হল, উপড়ে গেলো দাঁত।
বলের গতি করবে ক্ষতি ভাবিনি একচুল
চশমা ছাড়া খেলতে নামাই ছিল বিরাট ভুল।’
মন্টু তখন বলল, ‘ও স্যার কাঁদবেন না প্লিজ
খেললে ক্রিকেট আপনি হতেন সাকিব মোস্তাফিজ।
ক্রিকেট-ব্যথা স্মরণ করে নেবেন না স্যার চাপ’
ছাত্ররা সব স্যারের কাছে চাইল অটোগ্রাফ।
ঝিকমিকিয়ে উঠল তখন মুকুল স্যারের চোখ
অঙ্ক খাতায় লিখলেন স্যার ‘তোদের ভাল হোক।’
ক্রিকেট মাঠে বইছে এখন বিশ্বকাপের ঢেউ
খেললে ক্রিকেট স্যারও হতেন বিশ্বসেরা কেউ!
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।