সৌদি ভিসা প্রসেসিং কেন্দ্র : ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে না পারায় বিক্ষোভ

আগের সংবাদ

অস্থিরতার মূলে ডলার সংকট : ডলার মিলছে না ব্যাংক কিংবা খোলাবাজারে, দামে লাগাম টানতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক

পরের সংবাদ

ক্রিকেটের জানা-অজানা

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

– ক্রিকেট খেলায় ৪২টি আইন আছে- যা বিভিন্ন প্রধান ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে প্রণয়ন করেছে ইংল্যান্ডের মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ৪১টি আইনের কিছু না কিছু পরিবর্তন হলেও একটি আইন রয়ে গেছে অক্ষত। আর সেটি হলো ক্রিকেট পিচের দৈর্ঘ্যরে।

– টিভি আম্পায়ার প্রথম কাকে আউট দিয়েছিল জানো? কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকারকে। আর সেই রানআউট কে করেছিল? বিশ্ববিখ্যাত ফিল্ডার জন্টি রোডস। মজার ব্যাপার হলো- একই টেস্ট ম্যাচে পরবর্তী দিনে জন্টি রোডসকে আম্পায়ার রান আউট দেন আর সেই রান আউট করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার!

– ১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেনিং করতে নেমে ভারতের বিখ্যাত ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কর পুরো ৬০ ওভার খেলে মাত্র ৩৬ রান করেছিলেন। সেই ম্যাচে ভারত ২০২ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল। প্রসঙ্গত, তখন ওয়ানডে ক্রিকেট ছিল ৬০ ওভারের।

– ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিবার জয়ী দল হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, এটা সবারই জানা। তবে হয়তো অনেকেরই অজানা, ১৯৯৯ থেকে ২০১১ সময়ের মধ্যে টানা ৩৪টি বিশ্বকাপ ম্যাচ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে তিনবার বিশ্বকাপ জয় করেছে দেশটি। আর এই সাফল্য অর্জন করতে গিয়ে ১৫টি দলকে হারিয়েছে তারা।

– ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপই প্রথম ইংল্যান্ডের বাইরে অনুষ্ঠিত হয়। সেবার যৌথ আয়োজন হয়েছিল ভারত এবং পাকিস্তান। দুই দেশের ২১ ভেন্যুতে হয়েছিল ম্যাচ, যা এখনো সর্বাধিক মাঠে বিশ্বকাপের ম্যাচ গড়ানোর রেকর্ড হয়ে আছে।

– ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপেই প্রথম সাদা বল ও রঙিন পোশাকে খেলা হয়। এর আগের বিশ্বকাপগুলোতে লাল বল ও সাদা পোশাকে খেলা হতো। একই সঙ্গে যোগ হয় টিভি আম্পায়ার।

– শহীদ আফ্রিদি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার দ্রুততম সেঞ্চুরিটি করেছিলেন ওয়াকার ইউনিসের কাছ থেকে ধার করা ব্যাট ব্যবহার করে।

– অস্ট্রেলিয়ার গ্রাহাম ম্যাক কেনজি ছিলেন একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম বোলার। আর ইংল্যান্ডের জিঅফ বয়কট ছিলেন একদিনের ক্রিকেটের প্রথম ব্যাটসম্যান।

– ক্রিকেটের সবচেয়ে দীর্ঘতম ম্যাচ হয়েছিল ১৯৩৯ সালে ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা মধ্যে। ১৪ দিন খেলার পর এই ম্যাচটি ‘টাই’ ঘোষণা করা হয়।

– পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতারের দখলে রয়েছে বিশ্বকাপে সবচেয়ে দ্রুত গতির বল করার রেকর্ড। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের একটি ম্যাচে প্রতি ঘণ্টায় ১০০ মাইল (১৬০ দশমিক ৯ কিলোমিটার) গতিতে বল করেন তিনি। ক্রিজে তখন ছিলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান নিক নাইট।

– বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হচ্ছেন নেদারল্যান্ডসের নোলান ক্লার্ক। ১৯৯৬ বিশ্বকাপ খেলার সময় তার বয়স ছিল প্রায় ৪৮ বছর। আর ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম বয়সি খেলোয়াড় হচ্ছেন বাংলাদেশের তালহা জুবায়ের। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলার দিন তার বয়স ছিল ১৭ বছর ৭০ দিন।

– বিশ্বকাপে কোনো দলের অধিনায়কত্ব করা সবচেয়ে বেশি বয়সি খেলোয়াড় হলেন মোহাম্মদ তৌকির। ২০১৫ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৩ বছর ৬০ দিন বয়সে সংযুক্ত আরব আমিরাত দলের নেতৃত্ব দিয়ে এই রেকর্ড গড়েন তৌকির।

– সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপ জয় করা অধিনায়ক পাকিস্তানের ইমরান খান। ৩৯ বছর ৫ মাস ২০ দিন বয়সে ১৯৯২ বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করেন ইমরান।

– সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করা ক্রিকেটার ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোহান কানহাই। ১৯৭৫ বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্য ছিলেন তিনি। এ সময় কানহাইর বয়স ছিল ৩৯ বছর ৫ মাস ২৬ দিন।

– বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বয়সে সেঞ্চুরি করা খেলোয়াড় শ্রীলঙ্কার তিলকরতেœ দিলশান। ২০১৫ আসরে হোবার্টে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৮ বছর ১৪৮ দিন বয়সে ১০৪ রান করেছিলেন তিনি।

– বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে সবচেয়ে বেশি বয়সে পাঁচ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শওকত ডুকানবালার। পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত ১৯৯৬ আসরে লাহোরে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩৯ বছর ৪০ দিন বয়সে ২৯ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি।

– ১৯৯৬ সালে ইডেন গার্ডেনে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সেমিফাইনালে শচীন টেন্ডুলকারের আউটের পর ভারতের দ্রুত উইকেট পতন ঘটতে থাকে। ১ উইকেটে ৯৮ রান থেকে আকস্মিকভাবে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১২০! দর্শকরা ক্ষিপ্ত হয়ে গ্যালারিতে আগুন লাগিয়ে দেয় ও মাঠে বোতল ছুড়ে ম্যাচ বন্ধ করে দেয়। পরে শ্রীলঙ্কাকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।

– বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম স্কোর করার রেকর্ডটি কানাডার দখলে। ২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মাত্র ৩৬ রান করতে সক্ষম হয় দলটি। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি স্কোর করার রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার। চলতি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪২৮ রান করেছে দলটি।

– বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২ হাজার ২৭৮ রানের নজির ভারতের শচীন টেন্ডুলকারের। ৪৫ ম্যাচে এই রান সংগ্রহ করেন ক্রিকেট ঈশ্বর। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ছয় সেঞ্চুরিও ভারতীয় এই ব্যাটিং জিনিয়াসের দখলে। তাছাড়া এক আসরে সর্বোচ্চ ৬৭৩ রানও লিটল জিনিয়াসের। ২০০৩ সালে ওই রেকর্ড গড়েন তিনি।

– বিশ্বকাপে ৩৯ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৭১ উইকেট শিকারি বোলার গেøন ম্যাকগ্রা। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে মাত্র ১৫ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট দখল করেছিলেন অজি পেস কিংবদন্তি।
– আহমেদ শাকিল
– শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন এখন পর্যন্ত একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক ইনিংসে ৯ উইকেট পেয়েছিলেন ৫১ রান খরচ করে। অন্যদিকে টেস্ট ক্রিকেটে ১৯৫৬ সালের ২৬ জুলাই এক টেস্ট ম্যাচের দুই ইনিংসে ১৯ উইকেট পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের স্পিন বলার জিম লেকার। তিনি দুই ইনিংসে ৬৮ ওভার বল করে মাত্র ৯০ রান দিয়ে ১৯ উইকেট পেয়েছিলেন। যার গড় ছিল পার ওভার ১.৩২, এই ৬৮ ওভারের মধ্যে তিনি ২৭ ওভার মেডেন নিয়ে ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়