‘নারীরা জায়েদ খানে আটকায়’ বলায় লিগ্যাল নোটিস

আগের সংবাদ

পিতার সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা : টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে কন্যা হাসিনা-রেহানা

পরের সংবাদ

বাঙালির ইতিহাস, চেতনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অনেক দিন আগের কথা বলছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৌখিক পরীক্ষা নিতে স্থানীয় একটি কলেজে গিয়েছিলাম। বর্তমানে সে কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়েছে। বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের সদুত্তর না পেয়ে আমি একজন ছাত্রকে সাধারণ জ্ঞানের ওপর প্রশ্ন শুরু করলাম। আমার প্রথম প্রশ্নটি ছিল, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কবে?’ ছাত্রটি উত্তর দিতে গিয়ে ইতস্তত করতে থাকায় ভাইভা বোর্ডের অন্যতম সদস্য তারই শিক্ষক বলে বসলেন, ‘আরে এ সাধারণ প্রশ্নের জবাবটা পারলে না; বল, ১৬ ডিসেম্বর।’ আমার আক্কেল গুড়–ম হওয়ার অবস্থা। আমি তাকে আর কোনো প্রশ্নত নয়ই অন্য ছাত্রদের সেদিনের জন্য আর কোনো প্রশ্ন করলাম না।
তার পর খোদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌখিক পরীক্ষা নিতে গেলাম। এবারে আমি পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান। ছাত্রছাত্রীরা কোনো প্রশ্নের তেমন কোনো সঠিক জবাব দিতে পারছিল না। আমি মানসিক উত্তেজনা প্রশমনের জন্য সাধারণ জ্ঞানের বিষয়ে প্রশ্ন কারতে সিদ্ধান্ত নিলাম। এই সময় শুধু জহুরুল হক হলের ছাত্ররাই একের পর এক আসছিল। আমি একজনকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আচ্ছা তোমাদের হলের নামকরণ যার নামে হয়েছে তিনি কে ছিলেন?’ বিন্দুমাত্র ইতস্তত না করে ছাত্রটি জবাব দিল, ‘সার্জেন্ট জহুর পুলিশের একজন সার্জেন্ট ছিল।’ তারপর আর একজন ছাত্রকে একই প্রশ্ন করলাম। তার জবাব, ‘উহ, সার্জেন্ট জহুর বিমানবাহিনীর সার্জেন্ট ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তার অসাধারণ অবদানের জন্য তার নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই হলটির নামকরণ করা হয়েছে।’ আমি কিছুক্ষণ তার দিকে তাকিয়ে রইলাম। এর পর যে ছাত্রটি এলো তাকেও একই প্রশ্ন করলাম। এই ছেলেটির জবাব শুনে আমার আবারো রাগান্বিত হওয়ার কথা। সে বলল, ‘সার্জেন্ট জহুর পুলিশের একজন সার্জেন্ট ছিলেন। একবার শেখ মুজিব একটি মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। অন্যদিক থেকে পাকিস্তানি সৈন্যরা তাকে গুলি করে বসল। বিদ্যুৎ গতিতে সার্জেন্ট জহুর শেখ মুজিবের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যান। গুলি জহুরের বুকে লাগে এবং তিনি তখনই মারা যান। বাংলাদেশ স্বাধীন হলে শেখ মুজিব কৃতজ্ঞতার চিহ্ন স্বরূপ জহুরের নামে একটি হল প্রতিষ্ঠা করেন।’
আমি এ ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘এই যে শেখ মুজিব নামক একজনের কথা বললে তিনি আসলে কে?’ এ প্রশ্নের জবাবে ছাত্রটি বলল, ‘আগে তো জানতাম জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক এখন জানতে পেরেছি শেখ মুজিবই স্বাধীনতার ঘোষক।’ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা কবে দেয়া হয়েছিল?’ ছেলেটি নির্দ্বিধায় জবাব দিল ২৭ মার্চ ১৯৭১। তাকে আমার শেষ প্রশ্ন ছিল, ‘তাহলে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস কীভাবে হয়?’ এবার ছেলেটি স্বীকার করল যে, ‘আসলে আমরা তেমন কোনো পড়াশোনা করি না। টেলিভিশনে যা শুনি তাই আমরা তোতা পাখির মতো বলি। খালেদা জিয়ার আমলে এক কথা এখন আর এক কথা শুনছি।’ আমি শুধু তার দিকে তাকিয়ে রইলাম। এটা জ্ঞান-পাপীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যারা অজ্ঞান, তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টা কেমন? আমি একজন বঙ্গবন্ধু প্রেমিককে জানি যিনি আমাকে জিজ্ঞেস করছিলেন, আচ্ছা বঙ্গবন্ধু নাকি কলকাতার বেকার হোটেলে থাকতেন। তিনি কি চাকরি-বাকরি করতেন না? এ অজ্ঞানতা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ নয়।
আরো কত অজ্ঞতা আমাদের মন ও মনন চেপে বসে আছে? আমি বেশ কিছু আওয়ামী লীগ নেতাকে বলতে শুনেছি কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ অথচ তারা ছাত্রজীবন থেকেই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে অস্বীকার করে আসছিলেন। এসব নেতার অনেকেই বঙ্গবন্ধুকে শতাব্দীর মহানায়ক কিংবা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বলে গলা ফাটিয়ে বক্তৃতা দিতে শুনেছি। তারা যখন এসব কথা বলছিলেন তখন আমাদের মতো কলাম লেখক, গবেষক ও বঙ্গবন্ধু প্রেমিক বঙ্গবন্ধুকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে চিহ্নিত করে আসছিলাম। শুধু লেখায় নয়, একবার জাতীয় জাদুঘরে এক বক্তব্যে আমি বঙ্গবন্ধুকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বলে অভিহিত করলাম। জাদুঘর থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক ব্যক্তি আমার পিছু নিলেন। তিনি আমাকে থামিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করলেন, ‘আপনি ত বললেন বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, তাহলে নেতাজি সুভাস বসু বা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের স্থান কোথায়?’ আমি বললাম, ‘রবীন্দ্রনাথ ও সুভাস বসু যে বাঙালি ছিলেন তা অনস্বীকার্য। তবে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন একজন কবি, দার্শনিক ও সমাজ সংস্কারক। তিনি রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তাই তার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে কোন ভিত্তিতে তুলনা করা যায়?’ আমি আরো বললাম, রাজনীতিবিদের সঙ্গে রাজনীতিবিদের তুলনা করতে গেলে নিঃসন্দেহে নেতাজি সুভাস বসু ও তার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর তুলনা চলে আসে। সুভাস বসু বাঙালির চেয়ে ভারতবাসীর মুক্তির আন্দোলন করেছেন এবং সশস্ত্র পন্থায় ভারতকে স্বাধীন করতে প্রয়াসী ছিলেন, তবে সফল হননি।
তারপর ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত হয়েছে, কিন্তু বাঙালিরা স্বাধীন হয়নি। ভারত বিভক্তিতে বাঙালিদের পরাধীনতার জিঞ্জির আবার নতুন করে পরতে হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু এ কারণেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। যিনি বাঙালিদের মনে ও চেতনায় স্বাধীনতার স্পৃহা জাগিয়ে ক্ষান্ত হননি, তিলে তিলে তিলোত্তমা গড়ার সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মাধ্যমে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির জন্য একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তদুপরি তিনি এমন একটি রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছেন, যার পরিচিতি ভৌগোলিক সীমারেখায় শুধু আবদ্ধ নয়; তার আদর্শিক ভিত্তি হচ্ছে মানবিক, গণতান্ত্রিক, সমতা ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। আমার সে দিনের কথায় ভদ্রলোক সন্তুষ্ট হতে পেরেছিলেন কিনা আমার বোধে আসেনি। হয়তো তাকে আর বেশ ক’টি বছর অপেক্ষায় থেকে বিবিসির ভাষ্যকারের মুখে শুনতে হয়েছিল- ‘বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি’। বিবিসির জরিপ শেষে তিনি আমার কথাটি মেনে নিয়েছিলেন, মুষ্টিমেয় আঁতেলদের মতোই কাঁধ দিয়ে ঠেলে বলে যাচ্ছিলেন, ‘না শেখ মুজিব এটি নয়, শেখ মুজিব সেটা নয়, তাকে জাতির জনক বলা যায় না, স্থপতি বললেই তাকে মেনে নিতে আমাদের আপত্তি নেই।’ এসব কথা যারা বলেন কিংবা বলে যাচ্ছেন তাদের সুস্পষ্ট পরিচিতি বাঙালির জানা আছে। এমন মানুষও আছে যাদের পরিচিতি জানতে আরো একটি গভীরে যেতে হয়। আমি তেমন একজনের দেখা পেয়েছিলাম। তার কথাই আমি এখন বলব।
তার নাম অলি আহাদ। তাকে চিনে এমন বাঙালি ক’জন? আমার মাঝে মাঝে নিজের ওপরই ঘৃণা ধরে যায়। ক্লাসে ছাত্রদের তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। আমার পুরো ক্লাসের একজনও তাকে চেনে না। এটি মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় প্রজন্ম। আমি দুঃখ পেয়েছি। যাক প্রাসঙ্গিক কথায় ফিরে আসি। একবার যে কোনো কারণেই হোক অলি আহাদ সাহেব

আমাকে ডেকে পাঠালেন। আমি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ এড়াতে বিভিন্ন ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিলাম; কেননা তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সম্পর্কে লেখা ও বক্তব্যে কদর্য অনেক কথা নির্দ্বিধায় বলে গেছেন। তবুও পীড়াপীড়িতে আমি অলি আহাদ সাহেবের বাসায় গেলাম। খেলাম, আলাপ করলাম ও উঠি উঠি করছিলাম। অনেক আলোচনা-সমালোচনার এক ফাঁকে তিনি তার দুটি হাতের কব্জি একত্র করে দুটি বুড়ো আঙুল স্পষ্ট উঁচিয়ে বললেন, ‘আমার ভাইয়ের মতো ব্যাডা এই বাংলার মুলুকে কোনোদিন জন্ম নেয়নি বা আর নেবেও না।’ আমি বললাম, ‘আপনার ভাইটি কে?’ তিনি বললেন, ‘আমার ভাইকে চিনলেন না, তাহলে আর কি দেশ ও সমাজ উদ্ধার করবেন?’ আমি বললাম, ‘আমি আপনার ভাইকে বোধ হয় চিনি, আপনাকেও চিনি, তবে চিনেও চিনতে পারছিনে।’ আমার কথার সূত্র টেনে ধরে অলি আহাদ বললেন, ‘আমার ভাইকে চিনলেন না, আমার ভাই হচ্ছে মুজিব ভাই। আপনাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।’ আমি বললাম, ‘সেটি যে আমি আপনার এতক্ষণের আলাপ থেকে বুঝিনি তা নয়, তবে আপনাকে যে আজ চিনতে কষ্ট হচ্ছে। আপনি কেমন করে এমন একজন মহামানব সম্পর্কে এত এত খারাপ কথা আপনার বইতে লিখতে পারলেন? কেমন করে বক্তৃতায় তাকে একজন ভিলেন বানিয়ে ছাড়েন?’ আমার দিকে কিছুক্ষণ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে তিনি বললেন, ‘সেসব রাজনীতির ভাষা, আমার ভাইয়ের মতো ব্যাডা এ মুলুকে আগে কখনো জন্মায়নি, ভবিষ্যতেও জন্ম নেবে না।’ অলি আহাদ সাহেব বিবিসির জরিপের কারণে তা বলেননি। বিবিসির জরিপের অন্তত তিন বছর আগে তিনি এমন কথা বলেছিলেন। বিবিসির জরিপের পর তার সঙ্গে আমার দেখা বা কথা হয়নি। এখন তিনি প্রয়াত।
এখনো পড়াই। ক্লাসে ‘নেতৃত্ব’ পড়াতে গিয়ে বাঙালির ইতিহাস চেতনাকে আর একটু বাজিয়ে দেখতে চাইলাম। এক যুগ আগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ছাত্রদের প্রশ্ন করলাম, ‘তোমার দৃষ্টিতে এ দেশে কে সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা?’ শিক্ষার্থীরা লিখিতভাবে তার জবাব দিয়েছে। বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম ছাত্রছাত্রীদের প্রায় ৯০ শতাংশ বঙ্গবন্ধুকে সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা বলে অভিহিত করেছেন। এবারে আমার নিজেকে নিজের প্রশ্ন করার পালা- এই যুদ্ধোত্তর প্রজন্ম কি সত্যিই ইতিহাস সচেতন? তাদের পূর্বসূরিরা কি ইতিহাস অচেতন? আমার বিশ্বাস তাদের পূর্বসূরিরা অনেকেই ইতিহাস সচেতন তবে সত্যের মুখোমুখি হতে অপারগ- অনেকটা সামাজিক প্রতিবন্ধী। তারা পরিবেশ-পারিপার্শ্বিকতার প্রভাবে ভীতসন্ত্রস্ত, জীবন-জীবিকার তাগিদে পরিবেশের দাস। এর চেয়ে বড় দাসের সন্ধান আমি পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলার কারণেই নাকি বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর নাম লোকেরা শুনেছে। সে কারণে তারা নাকি সবাইকে ছাড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে বিবিসির জরিপে ভোট দিয়েছে। তাই বঙ্গবন্ধুকে ঘুচাতে ও মুছাতে শুধু নামফলক ভেঙে নয়, ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে ফুটবল স্টেডিয়ামে রূপান্তর করা হয়েছে, যাতে বিশ্বের বাঙালিরা বঙ্গবন্ধুর নাম আর না শুনতে পারে এবং তাকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নামে অভিহিত না করে। আমি বিস্মিত নই তবে প্রসঙ্গত প্রফেসর রেহমান সোবহানের একটি কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই-
‘আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যারা ইতিহাসকে স্মরণ করতে চায় না, ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হওয়াই তাদের কপালে জোটে।’
সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করছি অনেকেই তোতা পাখির মতো বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার সম্পর্কে বলে যাচ্ছে, কিন্তু তারা বঙ্গবন্ধুকে অন্তরে ধারণ করে কিনা সন্দেহ। বিসিএস পরীক্ষার্থীদের মধ্যে এই প্রবণতা প্রবল। তারা বঙ্গবন্ধুর অতি ভক্তদের চেয়ে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অনেক বেশি জানেন এবং প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক জবাব দেন। কিন্তু তারাই পদস্থ হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সমর্থকদের সম্পর্কে বিরূপ আচরণ করেন। সন্দেহ করছি, তারা কারা? তাদের ইতিহাস চেতনার লক্ষ্যটা কী?

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়