বিএনপির যুগপৎ সঙ্গী সমমনা : ৩৬ দলের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত, আজ অবস্থান কর্মসূচি

আগের সংবাদ

স্যালাইন-প্যারাসিটামল সংকট : ৮০ শতাংশ ডেঙ্গুরোগীর মৃত্যু ভর্তির তিন দিনের মধ্যে, থেমে থেমে বৃষ্টি বাড়াচ্ছে শঙ্কা

পরের সংবাদ

সংসদীয় কমিটির বৈঠক : ভোটের আগে নসিমন-করিমন বন্ধ করতে চায় না সরকার

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মহাসড়কে ভটভটি, নসিমন ও করিমনের মতো দুর্ঘটনাপ্রবণ তিন চাকার যান চলাচল বন্ধ করতে চায় না সরকার। আপাতত এসব যানবাহন বন্ধ করলে তাতে ভোটে প্রভাব পড়তে পারে। আবারও ক্ষমতায় এলে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে। গতকাল রবিবার সংসদ সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য এনামুল হক, রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, মো. ছলিম উদ্দীন তরফদার, সেখ সালাহউদ্দিন ও রাবেয়া আলীম। বৈঠকের কার্য বিবরণী সূত্রে জানা যায়, কমিটির সদস্য ও সরকার দলীয় এমপি এডভোকেট আবু জাহিদ আগের বৈঠকে নসিমন ও করিমন বন্ধের প্রসঙ্গটি তোলেন। তিনি মহাসড়কে নসিমন, করিমন ও তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ বিভাগের অংশ নেয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। জবাবে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের আগে এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। নির্বাচনে প্রভাব পড়ার আশঙ্কায় জনপ্রতিনিধিরাই চান না নসিমন ও করিমন চলাচল বন্ধ হোক। সবার সহযোগিতা পেলে এবং দল ক্ষমতায় এলে পরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান বলেন, বিষয়টি আলোচনার এজেন্ডায় ছিল না। অনির্ধারিত আলোচনার অংশ হিসেবে উঠেছিল। বৈঠকে এ বিষয়ে কোনো সুপারিশ আসেনি।
এর আগে সংসদীয় কমিটি একাধিকবার মহাসড়ক থেকে এসব যান চলাচল বন্ধের সুপারিশ করেছিল। সর্বশেষ গত বছর ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে যানজট ও দুর্ঘটনা রোধে মহাসড়কে মোটরসাইকেল, নসিমন ও করিমন বন্ধের সুপারিশ করে কমিটি। কমিটির এ সুপারিশের পর সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে গত মার্চে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল সীমিত করতে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করে। ওই নীতিমালায় ১২৬ সিসির কম ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেল মহাসড়কে চলতে পারবে না বলে প্রস্তাব করা হয়। পাশাপাশি মহাসড়কে মোটরসাইকেলের পেছনে কোনো যাত্রী যেতে পারবে না। তবে, ওই নীতিমালায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সড়কে যেমন গাড়ি চলে তেমনি মোটরসাইকেলও চলে। মানুষ দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে মোটরসাইকেল ব্যবহার করে। এর গতিসীমা নির্ধারণ করে দেয়া হলে চালকরা নিরুৎসাহিত হবে।

তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেন। এরপর নীতিমালা পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর ওই নির্দেশনার পর পদ্মা সেতুকে মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়