এসসিআরএফের প্রতিবেদন : বেপরোয়া চলাচলসহ ১৩টি কারণে বাড়ছে নৌ দুর্ঘটনা

আগের সংবাদ

জামায়াত প্রশ্নে হার্ডলাইন! : জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশে নাশকতা সৃষ্টির আশঙ্কা, সমাবেশের অনুমতি দেবে না সরকার

পরের সংবাদ

চিপ উৎপাদন ও সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাজনিত কারণে চীনের কাছে প্রযুক্তিপণ্য থেকে শুরু করে সব ধরনের উপাদান সরবরাহ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে বিশ্বের কোনো দেশের সঙ্গেই পারতপক্ষে
এ-সংক্রান্ত কোনো চুক্তি করতে পারছে না চীন। নিষেধাজ্ঞার প্রতি উত্তরে চীনও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি চীনেরই বেশি হয়েছে। গিজমোচায়নায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে চীনের কাস্টমস বিভাগের বরাতে বলা হয়, ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশটির ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (আইসি) আমদানি আগের বছরের তুলনায় ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। বাজারসংশ্লিষ্টদের শঙ্কা এর ফলে দেশটির সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহ চেইনে সমস্যা তৈরি হবে-
চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে চীনের ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট আমদানি ২২ হাজার ৭৭০ কোটি ইউনিটে নেমে এসেছে। ২০২২ সালের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২৭ হাজার ৯৬০ কোটি ইউনিট। তবে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ অবনমনের প্রেক্ষিতে এ সংখ্যা কিছুটা উন্নতির তথ্য দিচ্ছে। কিন্তু সার্বিকভাবে দেশে বৈদ্যুতিক উপাদানের যে চাহিদা তৈরি হয়েছে তা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে চীন। কাস্টমস বিভাগের তথ্যানুযায়ী, চিপ আমদানিতে দেশটির ব্যয়ও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। বছরের প্রথমার্ধে এর পরিমাণ ২২ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ১৬ হাজার ২৬০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। আইসি আমদানিতে চীন যে প্রতিবন্ধকতার মধ্যে রয়েছে সেটি নিশ্চিত করে যে, ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিবাজারকে সহায়তার জন্য হিমশিম খাচ্ছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলো যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তার কারণে চীন উন্নত চিপ পাচ্ছে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ফাইভজি টেলিযোগাযোগ ও উচ্চক্ষমতার কম্পিউটিংয়ের জন্য এ চিপ প্রয়োজন। কাস্টমসের তথ্য আরো একটি বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা দেয়। সেটি হলো চীনের অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়ানো এবং বিদেশনির্ভরতা কমানো। বিভিন্ন প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, নিজস্ব পর্যায়ে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন বাড়াতে গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে চীন সরকার। পাশাপাশি সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন কেন্দ্র বাড়াতেও কাজ করছে। প্রযুক্তিবিদদের মতে, নিজস্ব উদ্যোগে চিপ উৎপাদনের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল হতে আরো সময় লাগবে চীনের। সে পর্যন্ত প্রযুক্তি খাতের চাহিদা পূরণে দেশটিকে হিমশিম খেতে হবে। আইসি আমাদানিতে চীন যে সমস্যার মধ্যে রয়েছে সেটি দেশটির অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠার বিষয়টিকে নিশ্চিত করে। অন্যদিকে চিপ উৎপাদনে ব্যবহৃত ধাতুর রফতানি বন্ধের কথা জানিয়েছে চীন। বিশ্লেষকদের মতে, এ পদক্ষেপ প্রযুক্তি খাতে চলমান যুদ্ধে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। বর্তমানে উৎপাদনকাজে যেসব বিশেষ ধাতু ব্যবহার করা হয় সেগুলোর অধিকাংশই চীনের নিয়ন্ত্রণে। এর মধ্যে বেশকিছু ধাতু চিপ উৎপাদন, টেলিযোগাযোগ পণ্য সরবরাহ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যবহার হয়। সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতে গ্যালিয়াম ব্যবহার করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়