জামায়াতে ইসলামী : রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞার আবেদন শুনানি ৩১ জুলাই

আগের সংবাদ

ভোটের আমেজে তৃণমূলে ঈদ : শেখ হাসিনার বার্তা নিয়ে এলাকায় আ.লীগ নেতারা

পরের সংবাদ

সংবিধান অনুযায়ীই দেশে আগামী নির্বাচন হবে : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপি যতই রূপরেখা দিক না কেন, সংবিধান অনুযায়ীই দেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে। সংবিধানের এক চুলও ব্যত্যয় হবে না। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব যতই রূপরেখা দিক, সংবিধান অনুযায়ী অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বর্তমান সরকারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রে যেভাবে পালন করে, আমাদের দেশেও একইভাবে বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। ঈদের পর সরকার পতনের একদফা আন্দোলন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, একদফার আন্দোলন বিএনপি ২০১৩ সাল থেকেই শুরু করেছে। এই আন্দোলনের নামে ২০১৩, ১৪ সালে দেশের মানুষ তাদের নৈরাজ্য দেখেছে। মানুষকে পুড়িয়ে মারার মহোৎসব দেখেছে। সেই পরিস্থিতি আমরা সামাল দিয়েছি। এখন বিএনপি কতটুকু কী করতে পারে, তার ধারণা আমাদের আছে। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া এখন খাঁচায় বন্দি বাঘ আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপরসন তারেক দেশান্তরি পলাতক আসামি। তাদের শক্তি-সামর্থ্য সম্পর্কে আমরা জানি। এগুলো বাগাড়ম্বর ছাড়া অন্য কিছু নয়।
‘আমার মাঝেমধ্যে গলা ছেড়ে কাঁদতে ইচ্ছা করে, এই বাংলাদেশ তো আমরা চাইনি ভাই, ’৭১ সালে এর জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এমন একটা পরিবেশ দেখতে চাইনি’- সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুলের করা এমন মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহাসচিব অবচেতন মনে সত্য কথা বলেছেন। কারণ, তিনি আর তার বাবা বাংলাদেশটাই চাননি। তার বাবা ছিলেন পাকিস্তানপন্থি। ফখরুল সাহেব কয়দিন আগে বলেছিলেন, পাকিস্তানই ভালো ছিল অর্থাৎ বাংলাদেশটাই তিনি চাননি। আর ফখরুল সাহেব তো কোনোভাবেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। দেশ স্বাধীনের পর তিনি অনেক দিন আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি তো বাংলাদেশটাই চাননি।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ, সিপিডিসহ অর্থনীতিবিদরাও সেটাই বলছেন- মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্য সম্পর্কে ড. হাছান বলেন, তিনি যেগুলোর রেফারেন্স দেন- আওয়ামী লীগের আমলে তারা কোনোদিন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো দেখেনি। কিন্তু এর মধ্যেও আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয়েছে। মাথাপিছু আয় ৬ শ থেকে ২৮ শ ডলারে উন্নীত হয়েছে। দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশে নেমেছে। দেশ স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ জিডিপিতে ৩৫তম ও বিপিপিতে ৩১তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হয়েছে। খুব সহসাই ২৭তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হবে। বিএনপি এগুলো দেখেনি কারণ তাদের নেতাদের চোখে ছানি পড়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে গেছে। করোনা মহামারিতে বিশ্বে ২০টি দেশে পজেটিভ জিডিপি প্রোগেস করেছে। তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। এগুলো যদি তারা না দেখেন, তাহলে বলার কিছু নেই। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের অর্থনীতি নানাভাবে চাপে ছিল। আমাদের অর্থনীতি সেটিও কাটিয়ে উঠে এখন ঘুরে দাঁড়িয়ে আরো শক্তিশালী হচ্ছে। যেমন আমাদের রিজার্ভ কমে ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গিয়েছিল। সেটি এখন বেড়ে ৩১বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। গত বছর ৫৮ বিলিয়ন ডলার আমরা রপ্তানি করেছি। সুতরাং আমাদের অর্থনীতি অনেক ভালো আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়