জামায়াতে ইসলামী : রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞার আবেদন শুনানি ৩১ জুলাই

আগের সংবাদ

ভোটের আমেজে তৃণমূলে ঈদ : শেখ হাসিনার বার্তা নিয়ে এলাকায় আ.লীগ নেতারা

পরের সংবাদ

মতবিনিময়ে আসেননি আ.লীগ প্রার্থী আরাফাত, সিইসির উষ্মা : ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচন

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনের প্রার্থীদের আচরণবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রয়োগের চেষ্টা করব। অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে সিইসির সম্মেলন কক্ষে এ উপনির্বাচনের ৮ প্রার্থীকে নিয়ে আচরণবিধি প্রতিপালন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
মতবিনিময় সভার শুরুতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত অংশ না নেয়ায় উষ্মা প্রকাশ করে সিইসি বলেন, ‘তিনি (প্রার্থী) কেন আসেননি? প্রতিনিধি কেন এলেন? তাও আবার মিটিং শুরুর আধঘণ্টা পরে কেন এসেছেন?’ এ সময় প্রার্থীর প্রতিনিধি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমাদ্দার বলেন, প্রার্থী অসুস্থ থাকায় আসতে পারেননি। তার জ¦র হয়েছে।
সিইসি বলেন, আমরা আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়টির জন্য আপনাদের ডেকেছি। আমরা কোনোভাবেই চাই না আচরণবিধি ভঙ্গ হোক। আমরা আশা করি সেটা হবে না। অনেক সময় অজ্ঞতাবশত আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়। অতি উৎসাহী হয়ে কিছু প্রার্থী আচরণবিধি অমান্য করেন।
তিনি বলেন, আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রয়োগের চেষ্টা করব। অতীতেও আমরা এ চেষ্টা করেছি। ক্ষেত্র বিশেষে আমরা প্রার্থিতাও বাতিল করেছি। ওই রকম কোনো ঘটনা আশা করি ঘটবে না। আপনারাও সচেতন। আপনারা সংসদ সদস্য হয়ে আইন প্রণয়ন করবেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন, এটা একান্ততভাবে কাম্য। কোনোভাবে সহিংস মনোভাব না দেখিয়ে সহিষ্ণু হবেন আপনারা।
তিনি বলেন, কাউকে আক্রমণ করবেন না। আক্রমণাত্মক কথা বলবেন না। মিছিল করতে গিয়ে ঢিল ছুড়বেন না। দোষারোপ করে বক্তব্য দেয়া পরিহার করে চলা ভালো। মিথ্যা প্রচারণা আপনার বিরুদ্ধে হলে সেটা কাউন্টার করবেন ভদ্রভাবে, অহিংসভাবে। সহিংসতার আশ্রয় নেবেন না। আমরা নির্বাচন সিসিটিভি দিয়ে নিবিড়ভাবে মনিটর করব। অনেকে পেশিশক্তি খাটিয়ে ব্যালটে সিল মারতে থাকেন। সেটা কিন্তু করবেন না। এমনও হতে পারে আমরা চিহ্নিত করতে পারলাম না। সেক্ষেত্রে পুরো ভোট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হব, যদি বুঝি এটা ব্যাপকভাবে হচ্ছে। এজন্য সার্বিক ভোট বিপন্ন হবে. বাধাগ্রস্ত হবে। জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে না।
সিইসি বলেন, পোলিং এজেন্ট না থাকলে ভোটের ক্ষেত্রে আপনারা অনেকটাই নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়বেন। কেউ অন্যায় আচরণ করছে কিনা, কারচুপি হচ্ছে কিনা সেটা দেখার জন্য পোলিং এজেন্ট লাগবে। আমরা ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চাই। কে কাকে ভোট দিল, এটা আমাদের মাথাব্যথা নেই। ভোটাররা আসবেন, ভোট দেবেন। বাইরে এসে কোনো অভিযোগ করবেন না। এটাই আমাদের লক্ষ্য।
এই উপনির্বাচনে ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন বলে জানান সিইসি। তিনি আরো বলেন, কোনো ভোটারকে বাধা দেয়া যাবে না। তাহলে ভোট প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে কমিশন।
সভায় অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ও রাশেদা সুলতানা, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিকদার আনিসুর রহমান, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, মুক্তিজোটের মো. আকতার হোসেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল করিম স্বপন, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) ও তরিকুল ইসলাম ভুঞা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়