জামায়াতে ইসলামী : রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞার আবেদন শুনানি ৩১ জুলাই

আগের সংবাদ

ভোটের আমেজে তৃণমূলে ঈদ : শেখ হাসিনার বার্তা নিয়ে এলাকায় আ.লীগ নেতারা

পরের সংবাদ

ঝড়বৃষ্টি হলেও ঈদের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহেই : ডিএসসিসি মেয়র

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : অতি মাত্রায় ঝড়বৃষ্টি হলেও জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতিও নেয়ার কথা জানান তিনি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
মেয়র বলেন, ঈদের দিন প্রতিকূল আবহাওয়ার আশঙ্কা করছি। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানতে পেয়েছি, ঈদের দিন ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। অতিবৃষ্টি ও ঝড় হলেও মুসল্লিরা সুষ্ঠুভাবে জামাত আদায় করতে পারবেন- সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি।
মানবিক কারণে কুরবানির কার্যক্রম ২ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, আমি সবার প্রতি অনুরোধ করব ঈদের দিন ও ঈদের পরের দিন- এই দুই দিনের মধ্যেই যেন কুরবানি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। তৃতীয় দিনের জন্য যেন কোনো পশু রেখে দেয়া না হয়। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি ঈদের তৃতীয় দিনেও অনেকেই কুরবানি দিয়ে থাকেন। এতে বর্জ্য পরিষ্কার করতে আমাদের জন্য একটু কঠিন হয়ে যায়। কারণ আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ৭২ ঘণ্টা পরে কিন্তু বিশ্রাম দিতে হবে। তারা একটানা ৭২ ঘণ্টা কার্যক্রম চালাবে- অনেকটা অমানবিক।
কুরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম নেয়ার কথা জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, কুরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। ঈদের দিন দুপুর ২টা থেকে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে তদারকি ও বর্জ্য অপসারণ কাজ শুরু হবে। গতবছর বলেছিলাম, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করব। আমরা সফল হয়েছি। এবারো আমাদের সেরকম প্রস্তুতি আছে। বর্জ্য অপসারণে ৩৫০টির উপর যান-যন্ত্রপাতি ব্যবহার হবে। আমাদের প্রায় ১০ হাজার জনবল মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত আছে। কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে তদারকি করা হবে। এছাড়া আমাদের কর্মকর্তাদের সুনির্দিষ্ট করে অঞ্চলভিত্তিক, ওয়ার্ডভিত্তিক এবং হাটভিত্তিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা তদারকি করবে।
ডেঙ্গুর বিস্তার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম শুরু করেছি। ইতোমধ্যে আমাদের কয়েক হাজার স্থান, আবাসস্থল ও স্থাপনা পরিদর্শন সম্পন্ন করেছি। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি, এক জায়গায় গেলে আমরা যখন লার্ভা পাই, তিন সাপ্তাহ-চার সপ্তাহ পরে গেলেও আমরা আবার লার্ভাই পাচ্ছি। সেভাবে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে না। সেজন্য চিরুনি অভিযান চালাব। মশক নিধনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম আরো গতিশীল ও বেগবান করব এবং আমরা জরিমানা করব।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়