ইসলামী আন্দোলন : নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের রূপরেখা ঘোষণা

আগের সংবাদ

কুরবানির পশুর দাম বেশি যে কারণে > আফতাবনগর হাট : এখনো জমেনি হাট গরুও উঠেছে কম

পরের সংবাদ

মাইক্রোতে আগুনে পুড়ে নিহত ৮ : পরিবারে থামছে না শোকের মাতম তদন্ত কমিটির ঘটনাস্থল পরিদর্শন

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিভাষ দত্ত, ফরিদপুর শহর প্রতিনিধি : ভাঙ্গার মালিগ্রামে এক্সপ্রেসওয়েতে মাইক্রোবাসের আগুনে পুড়ে নিহতদের পরিবারে থামছে না শোকের মাতম। উপজেলার ফেলাননগর আর মাইটকুমরার দুই বাড়ি বিরানভূমির মতো হয়ে গেছে। শোকে পাথর হয়ে গেছে সবাই। কারো সঙ্গে কথা বলছে না কেউ। মা, দুই মেয়ে, চার নাতি-নাতনিসহ সাতজনের মরদেহ আপত্তি না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের সদস্যদের হাতে গত শনিবার তুলে দিয়েছে পুলিশ। সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহগুলো স্বজনদের হাতে তুলে দেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আল ফরুক রানা। মরদেহগুলো ফেলাননগর আজিজার শেখের বাড়িতে এসে পৌঁছলে শুরু হয় শোকের মাতম। মাইটকুমরা খাঁ বাড়িতে একই দৃশ্যের অবতারণা হয়। ওই রাতেই দাফন করা হয়। উপজেলা পরিষদ থেকে নিহতদের পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ‘তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
নিহত তাসলিমার স্বামী আজিজার শেখের ভাতিজা ইমরান শেখ বলেন, শনিবার রাত ৯টায় আমার কাকির মরদেহের নামাজে জানাজা শেষে রেনিনগর আলহাজ্ব মজিবর রহমান আমিন মাদ্রাসা কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহত বিউটি বেগম (২৬) ও তার ছেলে মেহেদীর (১০) মরদেহ আলফাডাঙ্গার কুচিয়াগ্রামে বিউটির স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়। নিহত কমলা বেগম (৩০) ও তার ছেলে আরিফ (১২), হাসিব (১০) ও মেয়ে আফসার (১) মরদেহ বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাইটকুমরা গ্রামে কমলার স্বামী আলমগীর খানের বাড়িতে পাঠানো হয়।
কমলা বেগম ও তার সন্তানদের মরদেহ পৌঁছলে মাইটকুমরা ও ভুলবাড়িয়া গ্রামে এক শোকাবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়। স্বামী আলমগীর ঢাকায় ব্যবসা করেন। খবর পেয়েই তিনি বাড়িতে ছুটে আসেন। স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সবাইকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে গেছেন আলমগীর। তার চাচাতো ভাই সিদ্দিক খান বলেন, তাদের পরিবারের কেউ কথা বলার অবস্থায় নেই। এতো বড় শোক কাটিয়ে ওঠা কঠিন। কেউ ভাবতে পারেননি, এভাবে একটা পরিবার শেষ হয়ে যাবে। তিনি আরো জানান, রাত ১০টায় নামাজে জানাজা শেষে বাড়ির পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের মরদেহ দাফন করা হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন, বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব প্রমুখ ফেলাননগর ও মাইটকুমরা জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা শোকাহত পরিবারের পাশে আছি। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নিহত তাসলিমার পরিবারকে ১০ হাজার এবং কমলা বেগমের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। নিহতদের রূহের মাগফেরাত কামনা করি। দোয়া করি নিহতদের পরিবারের সদস্যরা দ্রুতই যেন শোক কাটিয়ে উঠতে পারেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিপুল চন্দ্র দাস জানান, আমরা ছয়জন সদস্য নিহতদের ঘটনাস্থলে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত তদন্ত করেছি। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে শিবপুর হাইওয়ে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। গাড়ির ফিটনেস, কাগজপত্রের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জানান, বিআরটিএর ওয়েবসাইটে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অ্যাম্বুলেন্সটির ২০২৩ সালের ফিটনেস সনদের মেয়াদ আরো কয়েক মাস রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়