ঠিকানা নিয়ে ৩২ বার তদন্তে উষ্মা হাইকোর্টের

আগের সংবাদ

সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ দিয়ে ক্ষমতায় বসবে না আ.লীগ > সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : অন্য দেশের সঙ্গেও অর্থ বিনিময়ের সুযোগে ব্রিকসে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

সোনামসজিদ স্থলবন্দর : রাজস্ব আহরণ অর্ধেকে বাণিজ্যে স্থবিরতা

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আতিক ইসলাম সিকো, শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) থেকে : দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায় কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। গত এক বছর ধরে এ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে কমেছে রাজস্ব আহরণ।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার ৪৫ দশমিক ৯৬ শতাংশই ঘাটতি দেখা দিয়েছে। অথচ আগের দুই অর্থবছরে এ বন্দরে রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ছিল। কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৩৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ৫৬০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। রাজস্ব ঘাটতি ৪৭৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আবার নতুন অর্থবছরে আসছে নতুন লক্ষ্য।
জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্য ছিল ৮২৮ কোটি ৮৩ লাখ। ওই অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৯৭০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বেশি। আহরণ প্রবৃদ্ধি ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে লক্ষ্য ছিল ৪৭৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। ওই অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৭০৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা বেশি আয় হয়। আহরণ প্রবৃদ্ধি ৪৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। সোনামসজিদ কাস্টমস স্টেশন জানায়, এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাথর, ভুট্টা, ভুসি, চিড়া, মেশিনারিজ, পোল্ট্রি ফিড, ফ্লাইঅ্যাশ ও পেঁয়াজ আমদানি হয়। এছাড়া মৌসুমি ফল যেমন- কমলা, আঙ্গুরসহ বিভিন্ন ফল আমদানি হয়। পাশাপাশি নেট মশারি, পাটের ব্যাগ, পাটের দড়ি, রাইস ব্রান অয়েল ও কিছু গার্মেন্ট পণ্য বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়। তবে এ বন্দর দিয়ে আমদানি পণ্যের ৬০ শতাংশই পাথর।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে স্থলপথে আমদানি পণ্যের বড় অংশ আসে এ পথে। তবে এলসি সংকট, স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে বিরাজমান সমস্যার জন্য আমদানি কমেছে। ব্যবসায়িক সুবিধার কারণে বেনাপোল, হিলি ও ভোমরা বন্দর দিয়ে ফল আমদানি করছেন আমদানিকারকরা। এ কারণে সোনামসজিদ কাস্টমস স্টেশন রাজস্ব আদায়ও কমেছে।
এ ব্যাপারে সোনামসজিদ সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন ভোরের কাগজকে জানান, এ বন্দর নিয়ন্ত্রণ করে বেসরকারি অপারেটর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড। চুক্তি অনুযায়ী অপারেটর এত বছরেও এ বন্দরে আধুনিক ও ভারি কোনো যন্ত্রপাতি বসায়নি।
সেবা বৃদ্ধি না করলেও প্রতি বছর বন্দর মাশুল পাঁচ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে অন্য বন্দরের চেয়ে এ বন্দরে আমদানি-রপ্তানি খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উন্নত সেবা ও ভারি যন্ত্রপাতি না থাকায় আমদানি-রপ্তানিকারকরা এ বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ হারাচ্ছে। বৈষম্য দূর করা হলে বন্দরের ব্যবহার বাড়বে ও বাড়বে রাজস্ব।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ ভোরের কাগজকে বলেন, এ বন্দর দিয়ে ফল আমদানি করছেন না ব্যবসায়ীরা। মূলত এ কারণেই রাজস্বে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাছাড়া এলসি সংকটের কারণে বন্দরে আমদানি কমেছে বলে আমাদের ধারণা। এ কারণে গেল অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়