ঠিকানা নিয়ে ৩২ বার তদন্তে উষ্মা হাইকোর্টের

আগের সংবাদ

সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ দিয়ে ক্ষমতায় বসবে না আ.লীগ > সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : অন্য দেশের সঙ্গেও অর্থ বিনিময়ের সুযোগে ব্রিকসে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

পুঁজিবাজার চিত্র : বিমা খাতের পতনে সূচক কমল

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের পুঁজিবাজারে গত সোমবার মূল্যসূচকের বড় উত্থান হলেও তা স্থায়ী হলো না। এক কার্যদিবস পরই অর্থাৎ গতকাল মঙ্গলবার দরপতন হয়েছে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের পতনের পাশাপাশি কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। তবে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবস দরপতন হয়। একই সঙ্গে কমে যায় লেনদেনের গতি। এ পরিস্থিতিতে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গত রবিবার পুঁজিবাজারে মূল্যসূচকের মিশ্র প্রবণতা দেখা যায়।
তবে গত সোমবার সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়। একই সঙ্গে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে যাওয়া লেনদেন বেড়ে ৫০০ কোটি টাকার ঘরে চলে আসে। পুঁজিবাজারে এ উত্থানে প্রধান ভূমিকা রাখে বিমা কোম্পানি। সেদিন তালিকাভুক্ত প্রায় সবকটি বিমা কোম্পানির দাম বাড়ে।
এ পরিস্থিতিতে গতকাল লেনদেন শুরু হয় বেশির ভাগ বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। একই সঙ্গে অন্যান্য খাতে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাজার পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। দাম বাড়ার তালিকায় থাকা একের পর এক প্রতিষ্ঠান দরপতনের তালিকায় চলে আসে। এ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয় আগের দিন দাম বাড়ার তালিকায় শীর্ষে থাকা বিমা খাত।
প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হতেই ঢালাওভাবে একের পর এক বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম কমতে থাকে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে এ ধারা। বিমা কোম্পানিগুলোর দরপতনের প্রভাব অন্য খাতের ওপরও পড়ে। ফলে একদিকে বড় হয় দরপতনের তালিকা, অন্যদিকে সবকটি মূল্যসূচক কমে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে বিমা খাতের ৪৫টি কোম্পানির শেয়ার দাম কমার বিপরীতে মাত্র ৫টির শেয়ার দাম বেড়েছে। আর সব খাত মিলে ৫৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বিপরীতে ১১৫টির দাম কমেছে। আর ১৭৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩০১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৮৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। বাজারটিতে দিনভর লেনদেন হয়েছে ৫৯০ কোটি ৯৯ লাখ। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৩৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৫৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৭ কোটি ২১ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ২৪ কোটি ৭১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জেমিনি সি ফুড।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স, সোনালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং খান ব্রাদার পিপি ওভেন ব্যাগ।
অপর পুঁজিবাজারে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেয়া ১৮৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৮টির এবং ৮৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১২ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়