মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপ ও ম্যাপিং কার্যক্রম শুরু আজ

আগের সংবাদ

ভূ-রাজনীতির নতুন ক্ষেত্র ‘ব্রিকস’ : যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা

পরের সংবাদ

সংসদে সরকারদলীয় এমপিরা : বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কাছ থেকে আমরা কূটনৈতিক শিষ্টাচার আশা করি

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারদলীয় এমপিরা বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। তাই আমরাও বিভিন্ন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতদের কাছ থেকে কূটনৈতিক শিষ্টাচার আশা করি। কেননা, আমাদের উন্নয়ন সহযোগিতার প্রয়োজন আছে।
গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদে এমন মন্তব্য করেন সরকারদলীয় এমপি-মন্ত্রীরা। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করীম সেলিম বলেন, আজ আমাদের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছু দেশের রাষ্ট্রদূতরা নানা ধরনের মন্তব্য করছেন। বিএনপির সঙ্গে দেখা করে তাদের মিথ্যে অভিযোগ আমলে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করে চলেছেন। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। তাই আমরাও বিভিন্ন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতদের কাছ থেকে কূটনৈতিক শিষ্টাচার আশা করি।
বিএনপি দলটির জন্ম ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএনপি এখন অনির্বাচিত সরকার আনতে চাইছে, তাদের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। শেখ সেলিম বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশ রয়েছে আর কোনো অনির্বাচিত সরকার আসতে পারবে না। কিন্তু বিএনপি সেই ধরনের সরকার আনার চেষ্টা করছে। এ দেশের নির্বাচন আমাদের রীতি অনুযায়ী হবে, জনগণ যে রায় দেবে সেই ভাবেই নির্বাচন হবে। কারো প্রেসক্রিপশনে আমাদের নির্বাচন হবে না, আমাদের একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন রয়েছে।
তিনি বলেন, তবে একটি দলের নেতারা বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে দেখা করে লাফালাফি করছে। ২০০৭ সালে তারেক রহমান মুচলেকা দিয়ে আর রাজনীতি না করার শর্তে বিদেশে পালিয়ে যায়। বিএনপির অনেক নেতা পালিয়ে গিয়ে বিদেশে মারাও গেছে। তারেক সাজাপ্রাপ্ত আসামি, খালেদাও সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারা নির্বাচন করতে পারবে না। তারেক রহমানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে করাপশন ও পলিটিক্যাল ক্রাইম থাকার কারণে সে আর আমেরিকায় যেতে পারবে না।
বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বিমানের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বিমান লাভজনক অবস্থায় পরিণত হয়েছে। আগামী অক্টোবরে তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন হবে বলে জানান তিনি। এর ফলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের প্রচুর সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি হবে।

গণফোরামের এমপি সুলতান মোহম্মদ মনসুর আহমদ বলেন, শেখ হাসিনার নাম দেশ ছাড়িয়ে বাইরেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। বিএনপি জোর করে ক্ষমতায় এসেছে, তারা এলে নো পার্টি। তাদের কোনো রাজনৈতিক আদর্শ নেই। তারা সরকারের বিরুদ্ধে বলতে হয় তাই বলেই যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিরোধী দল বলেছে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে, তালিকা থাকলে প্রকাশ করুন, আমরা দেখব কারা পাচার করেছে। বিএনপি এখন রাজনীতি করতে পারছেন না বলে তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে। তারা জানে, জনগণ তাদের ভোট দেবে না, তাই তারা অগণতান্ত্রিক পথে হাটার চেষ্টা করছে। তবে জাতীয় পার্টি এখন কিছুটা নমনীয় হয়ে বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা বলে। তারা সরকারের সঙ্গে চলছে বলে তাদের ধন্যবাদ জানান মনসুর আহমদ।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, আমাদের দেশের অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে। ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে। সরকার বলে খেলাপি ঋণ নাকি মাত্র ১ কোটি ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২১ কোটি টাকা। কিন্তু ওয়ার্ল্ড ব্যাংক মনে করে বাস্তবে এ খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৩ গুণ। আর পাচার করা অর্থের কি হিসাব আছে? সাউথ বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে আমেরিকায় একাধিক বাড়ি করেছেন। এটা কেন অর্থমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ঠেকালো না।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, রাজনীতি আজ চাটুকারিতায় ভরে গেছে। যে যত বেশি মিথ্যা কথা বলতে পারবে, যত বেশি তৈল মর্দন করতে পারবে, যত বেশি লুটপাট করতে পারবে, টাকা পাচার করতে পারবে, তারা ততবেশি আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হয়ে যাবে। তারা কিন্তু একদিন সাপের ছোবল মারবেই। যারা মুজিব কোট নিয়ে বুক ফুলিয়ে সব চেয়ে বেশি মধু খাচ্ছে, তারাই আওয়ামী লীগ থেকে তত বেশি সুবিধা পাচ্ছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত। দুর্দিনে তাদের টিকিটিও পাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, যারা সেদিন (’৭৫) বঙ্গবন্ধুর লাশ ডিঙিয়ে মোশতাকের মন্ত্রিসভায় এসেছিলেন তারা সবাই বঙ্গবন্ধুর খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। খুব আশ্চর্যের ঘটনা তাদের অনেকেই আবার বুক ফুলিয়ে পরে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং মন্ত্রীও হন।
২০২৩-২৪ সালের বাজেটের ওপর আরো বক্তৃতা করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি গেøারিয়া ঝর্ণা সরকার, এস এম শাহজাদা প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়