মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপ ও ম্যাপিং কার্যক্রম শুরু আজ

আগের সংবাদ

ভূ-রাজনীতির নতুন ক্ষেত্র ‘ব্রিকস’ : যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা

পরের সংবাদ

রুম দখল নিয়ে ঢাবিতে মারমারিতে আহত ১০

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা’ সূর্যসেন হলে কক্ষ দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দেশীয় অস্ত্রের ব্যবহার করে হামলার ঘটনা ঘটে। মারামারিতে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। গত শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হলের ২০৪ নম্বর রুমকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ ও মারামারির ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। সূর্যসেন হলে শয়নের গ্রুপের নেতৃত্ব দেন মনির হোসেন, তুষার হোসেন, ওমর ফারুক। অন্যদিকে সৈকতের গ্রুপের নেতৃত্ব দেন আব্দুল্লাহ খান শৈশব ও যুবরাজ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাত ১১টা থেকে সভাপতি শয়নের অনুসারীরা রুম দখল নিয়ে মহড়া দেন। ১২টার পরে ২০৪ নং রুমে শয়নের অনুসারীরা এসে আবাসিক শিক্ষার্থী মোস্তফা ইকবার হৃদয় ও জাহিদ হাসানের (সৈকতের অনুসারী গ্রুপ) জিনিসপত্র রুম থেকে ফেলে দিয়ে বের হয়ে যেতে বলে। এ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ উত্তেজনা চলে। রাত সোয়া ১টার দিকে সৈকতের অনুসারীরা দলবদ্ধ হয়ে শয়নের অনুসারীদের রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলে। এ সময় হলের অন্যদিক থেকে শয়নের গ্রুপের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী লাঠি, স্টাম্প ইত্যাদি দিয়ে আক্রমণ করে। এতে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়।

আহতদের মধ্যে দুইজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মারামারির পর হল গেটে অবস্থান নেয় দুই পক্ষই। এক পক্ষ অপর পক্ষকে উদ্দেশ করে স্লোগান ও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। পরে রাত পৌনে তিনটার দিকে মাজহারুল কবির শয়ন ও তানভীর হাসান সৈকত হলে এসে দুই পক্ষকে শান্ত করেন। এ সময় দুপক্ষের কর্মীরাই অন্যপক্ষের উপর দোষ চাপান। রাত পৌনে তিনটার দিকে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে নিজেদের নেতাকর্মীদের রুমে ফিরে যেতে বলেন তারা।
এ বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, গতকালের (শনিবার রাত) ঘটনায় আমি সভাপতির (শয়ন) সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করার চেষ্টা করেছি। তবে এ ধরনের ঘটনায় যারা উস্কানি দেয় তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। যেহেতু হলগুলোতে আসন সংকট রয়েছে। আমরা উপাচার্যের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করব। মারামারির বিষয়ে সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাটি অনাকাক্সিক্ষত।
আমি জানার সঙ্গে সঙ্গেই হলের আবাসিক শিক্ষকদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি সমাধান করেছি।
এদিকে, শনিবার দিবাগত রাতে কক্ষ দখল নিয়ে ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলেও সংঘর্ষে জড়ান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা। এ বিষয়ে ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাবেদ হোসেন বলেন, রাতে তাদের নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে ঝামেলা হয়েছিল।

ওখানে আমাদের হলের আবাসিক শিক্ষকরা গিয়েছিলেন। ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে রাতেই বিষয়টি মিটমাট করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়