মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপ ও ম্যাপিং কার্যক্রম শুরু আজ

আগের সংবাদ

ভূ-রাজনীতির নতুন ক্ষেত্র ‘ব্রিকস’ : যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা

পরের সংবাদ

মতলবে যুবলীগ কর্মী মোবারক হত্যা : মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানসহ গ্রেপ্তার ৭

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, চাঁদপুর : চাঁদপুরের মতলব উত্তরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় যুবলীগ কর্মী মোবারক হোসেন বাবু নিহতের মামলায় মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজানসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার বাকি ৬ জনের নাম জানা যায়নি। গতকাল রবিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মতলব উত্তর থানার ওসি মহিউদ্দিন।
জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার ও ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে দ্ব›েদ্বর জেরে গত শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মোবারক হোসেন। তিনি উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের যুবলীগের কর্মী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার অনুসারী বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন নিহত মোবারকের ছেলে ইমরান ব্যাপারী ও আওয়ামী লীগ কর্মী জহির কবিরাজ। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেয়ার সময় অতর্কিত হামলা চালায় রাজাকার কাজী মিজানসহ তার বাহিনী। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর ওপর গুলি চালানো হয়। এতে যুবলীগ কর্মী মোবারক নিহত হয়। আমি নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই এবং এ ন্যক্কারজনক হামলাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।’
মতলব উত্তর থানার ওসি মহিউদ্দিন বলেন, বাহাদুরপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় কাজী মিজানকে প্রধান আসামি করে ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩০ থেকে ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন নিহতের আপন ভাই আমির হোসেন কালু। এরপর অভিযান চালিয়ে কাজী মিজানসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এদিকে কাজী মিজান গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মোহনপুরে জড়ো হয় তার প্রতিপক্ষরা। এ সময় মোবারক হত্যায় জড়িতদের ফাঁসি দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে তারা। পরে কাজী মিজানের কুশ পুতুল দাহ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়