মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপ ও ম্যাপিং কার্যক্রম শুরু আজ

আগের সংবাদ

ভূ-রাজনীতির নতুন ক্ষেত্র ‘ব্রিকস’ : যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা

পরের সংবাদ

পরিবেশ সমাবেশে বক্তারা : উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংস বন্ধ করতে হবে

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংস বন্ধ করা, পরিবেশ সুরক্ষায় জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ বাড়ানো, প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষায় সবাইকে একতাবদ্ধ থাকা এবং দায়িত্বের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকাল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ সুরক্ষায় জাগো বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত পরিবেশ সমাবেশে এ আহ্বান জানানো হয়। আইপিডিএস, ইনসিডিন বাংলাদেশ, এএলভারতি, কাপেং ফাউন্ডেশন, কারিতাস, নিজেরা করি, নাগরিক উদ্যোগ, বাপা, বেলা, বারসিক, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন, রিভারাইন পিপল এবং সিসিডিবি এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই সমাবেশে সংহতি জানান বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক, হাওর বাঁচাও আন্দোলনসহ পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন।
মানবাধিকার সংস্কার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এডভোকেট সুলতানা কামালের সভাপতিত্ব ও বারসিকের পরিচালক পাভেল পার্থের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সোমা দে, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার, নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও মানবাধিকার কর্মী শিরিন হক প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা উন্নয়নের নামে প্রকৃতির যে ধ্বংস করা হচ্ছে সেটি দ্রুত বন্ধ করে প্রকৃতিবান্ধব সিদ্ধান্ত নেয়া ও সেগুলো বাস্তবায়ন করার জোর দাবি জানান। পাশাপাশি প্রকৃতি সুরক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত পরিবেশ সমাবেশ আয়োজনের দাবি জানান।
ড. সোমা দে বলেন, আমরা বসবাসের অযোগ্য নগরীতে বাস করছি। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। পরিবেশের সূচকে তলানীতে দিয়ে ঠেকছে ঢাকা শহর। শুধু ঢাকা নয়, গোটা দেশের একই অবস্থা। এখন আমাদের প্রত্যেক নাগরিককেই পরিবেশ দূষণ নিয়ে সোচ্চার হতে হবে। এ সময় শিরীন হক বলেন, আমরা নিজেরাই প্রকৃতি নষ্ট করে পরক্ষণে আবার আফসোস করি।
প্রকৃতিকে বাঁচাতে হলে প্রয়োজনে আমাদের এখন রাস্তায় নামতে হবে, আন্দোলন করতে হবে। বর্তমানে সারাদেশে গাছ কাটার হিড়িক পড়ে গেছে। হয়তো সেটা রাস্তা বানানোর জন্য কিংবা কারো পকেট ভরানোর জন্য। এই অংশে সর্বোচ্চ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে সুলতানা কামাল বলেন, আমরা বারবার দেখি যে কোনো উন্নয়নের প্রথম কোপটা পড়ে গাছ, নদী, বনভূমি, কৃষিজমি, জলাভূমি, পাহাড় কিংবা প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর। প্রশ্নহীনভাবে দেশের সবুজবলয়, উন্মুক্ত প্রান্তর আর জলাভূমি আজ নিশ্চিহ্ন। যার ফলশ্রæতিতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বেড়েছে লবণাক্ততা ও ঘূর্ণিঝড়। দেশের উত্তরাঞ্চলে বেড়েছে তাপদাহ ও খরা। উত্তর-পূর্বে পাহাড়ি ঢল, মধ্যাঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা, পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড়ধস, দেশজুড়ে নদীভাঙন, বজ্রপাত, অগ্নিকাণ্ড, রাসায়নিক বিস্ফোরণ, জলাবদ্ধতা এবং প্লাস্টিক দূষণ বেড়েছে। এ সময় প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষায় সবার দায়িত্বশীল আচরণ এবং অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়নে কার্যকরী ভূমিকা প্রত্যাশা করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়