মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপ ও ম্যাপিং কার্যক্রম শুরু আজ

আগের সংবাদ

ভূ-রাজনীতির নতুন ক্ষেত্র ‘ব্রিকস’ : যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা

পরের সংবাদ

দুই পুলিশ সদস্যকে হাইকোর্ট : উচ্চ আদালতের আদেশ আর কত অমান্য করবেন

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আর কত উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করবেন? আদেশ মানবেন না, এসে মাফ চাইবেন- এটা তো হতে পারে না! শুধু মাফ করার জন্য হাইকোর্ট বসে নেই। সবাইকে মাফ করা হাইকোর্টের কাজ নয়। ফৌজদারি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকার পরও কলেজশিক্ষার্থী মো. আশরাফুল হাওলাদারকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গতকাল রবিবার পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান ও এএসআই মিজানুর রহমানের নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন শুনানিতে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। ফৌজদারি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন কলেজশিক্ষার্থী মো. আশরাফুল হাওলাদার। তবুও তাকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ ওঠে উক্ত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে তাদের তলব করেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির শুরুতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন এই দুই পুলিশ সদস্য। এ সময় শুনানিতে ছিলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে এডভোকেট শাহবাজ হোসেন ও এডভোকেট শারমিনা হক। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিসুর রহমান এবং ঘটনাটি আদালতের নজরে আনা আইনজীবী আলী আহসান মোল্লা।
শুনানিতে আইনজীবী ব্যারিস্টার তাজরুল ইসলাম বলেন, মো. আশরাফুল হাওলাদারের হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার বিষয়টি পুলিশ জানত না। আসামিরা জামিননামা দেখাননি, ল’ইয়ার্স সার্টিফিকেটও দেখানো হয়নি। এ সময় আইনজীবী আলী আহসান মোল্লা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার কথা আসামিরা পুলিশ কর্মকর্তাদের বলেছেন। জামিনসংক্রান্ত ল’ইয়ার্স সার্টিফিকেট দেখালে পুলিশ সেটা ছিঁড়ে ফেলেছেন। এ সময় আদালত বলেন, পুলিশ-আসামিদের কথোপকথনের রেকর্ড তলব করছি। এরপর ক্ষমার আবেদন ‘গ্রহণ’ না করে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৩ জুলাই দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
গত ২০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘জামিন নেওয়া শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেয়া কলেজশিক্ষার্থী মো. আশরাফুল হাওলাদারকে আটক করে আদালতের পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার দিন রাতে আসামিকে তার বাড়ি থেকে আটক করে।

পরদিন শুক্রবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়। এ সময় পুলিশকে হাইকোর্টের জামিনের কপি দেখালে তা আমলে নেয়নি বলে দাবি আসামির পরিবারের। পরিবারের অভিযোগ, আটকের পর পুলিশ মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। তা দিতে না পারায় পুলিশি ক্ষমতার বলে তাকে আদালতে পাঠান। যদিও হাইকোর্টের জামিননামা দেখে শুক্রবার দুপুরে আসামিকে ছেড়ে দিয়েছেন পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামাল হোসেন।
ওই প্রতিবেদন গত ২১ মে আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী আলী আহসান মোল্লা। পরে এই ঘটনায় বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান ও এএসআই মিজানুর রহমানকে তলব করেন হাইকোর্ট। গতকাল সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছিল। জারি করা রুলে, জামিনে থাকা সত্ত্বেও উদ্দেশ্যমূলক গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়