মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপ ও ম্যাপিং কার্যক্রম শুরু আজ

আগের সংবাদ

ভূ-রাজনীতির নতুন ক্ষেত্র ‘ব্রিকস’ : যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে ৩ খালের মাটি সরাতে চসিককে চিঠি

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : বন্দরনগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের জন্য খালের বাঁধ না সরানোয় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করে এতদিন পর্যন্ত চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-চউককে দায়ী করে আসছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন-চসিকসংশ্লিষ্টরা। এবার উল্টো অভিযোগ আসছে চসিকের বিরুদ্ধে। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শেষে নগরীর তিন খাল থেকে মাটি না সরানোর অভিযোগ উঠেছে চসিকের বিরুদ্ধে। ফলে খালসংলগ্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা।
এই তিনটি খাল থেকে বাঁধ ও মাটি অপসারণের জন্য গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চে চসিক মেয়র বরাবর চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মো. শাহ্ আলী। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় নগরীর হাজিপাড়া ব্রিজ থেকে আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রি কলেজসংলগ্ন শীতলঝর্ণা খাল, অনন্যা আবাসিক থেকে হাজিরপুলসংলগ্ন বামুনশাহী খাল এবং পাহাড়তলী শহীদ লেইন পুলিশ বিট ব্রিজসংলগ্ন গয়নাছড়া খালে রিটেইনিং ওয়াল ও ব্রিজ নির্মাণকাজ করে চসিক। প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস আগে খালের রিটেইনিং ওয়াল ও ব্রিজ নির্মাণকাজ করে চসিক। তবে রিটেইনিং ওয়াল ও ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষ হলেও এসব খাল থেকে মাটি উত্তোলন করছে না চসিক। ফলে এই তিনটি খালসংলগ্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। টানা বর্ষা শুরুর আগে এসব বাঁধ অপসারণ করা না হলে এই তিন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
চসিক মেয়র বরাবর পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে চলমান রয়েছে। ওই প্রকল্পের শীতলঝর্ণা খালে হাজিপাড়া ব্রিজ থেকে আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রি কলেজ পর্যন্ত ৩২০ মিটার, বামুনশাহী খালের অনন্যা আবাসিক এলাকা থেকে হাজিরপুল পর্যন্ত ৩০০ মিটার এবং গয়নাছড়া খালের পাহাড়তলী শহীদ লেইন পুলিশ বিট ব্রিজসংলগ্ন ২৯০ মিটার রিটেইনিং ওয়াল আপনাদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্মিত হয়েছে।

উল্লিখিত খালসমূহে কাজ করার সময় খালের ভেতরে মাটি দিয়ে বাঁধ দেয়া ও বেইস করার সময় উত্তোলনকৃত মাটি খালে রাখা হয়েছে। অত্র বিগ্রেডের প্রতিনিধি কর্তৃক মৌখিকভাবে বারংবার অপসারণ করার কথা বললে আপনাদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ হওয়ার পরও অপসারণ করবে মর্মে জানায়। কাজ সমাপ্ত হওয়ার পরও অদ্যাবধি মাটি দিয়ে বাঁধ দেয়া ও বেইস করার সময় উত্তোলনকৃত মাটি অপসারণ করেনি। এমতবস্থায় আসন্ন বর্ষা মৌসুমের পূর্বে মাটি দিয়ে বাঁধ দেয়া ও বেইস করার সময় উত্তোলনকৃত মাটি অপসারণ না করা হলে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে এবং জনভোগান্তি বৃদ্ধি পাবে।
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মো. শাহ আলী বলেন, যেসব খালে আমাদের কাজ শেষ সেসব খাল পরিষ্কার করে পানি চলাচলের জন্য উপযোগী করা হয়েছে, যাতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে সেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা না হয়। কিন্তু নগরীর গুরুত্বপূর্ণ তিনটি খালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ব্রিজ ও রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করেছে। ব্রিজ ও রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের সময় কাজের সুবিধার্থে মাটি দিয়ে বাঁধ দেয়া হয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার পর গত মার্চে আমরা তাদের চিঠি দিয়েছি মাটি অপসারণের জন্য। তিন মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত সেসব এলাকার খালের মাটি সিটি করপোরেশন এখনো পর্যন্ত অপসারণ করেনি। তিনি আরো বলেন, এ অবস্থায় আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগে মাটি দিয়ে বাঁধ দেয়া ও বেইস করার সময় উত্তোলনকৃত মাটি অপসারণ না করা হলে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে। ফলে শীতলঝর্ণা, বামুনশাহী এবং গয়নাছড়া খাল সংলগ্ন এলাকায় পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ভোরের কাগজকে বলেন, বিষয়টি আমাদের জানানোর পর আমরা ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে সেখানে গিয়ে দেখে এসেছি। অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করে মাটি সরিয়ে ফেলা হয়। এখন ব্রিজের নিচে কোনো মাটি নেই। অন্য জায়গায় মাটি থাকলে সেটি ব্রিজের কাজের কারণে হয়েছে বলাটা ভুল হবে। তারপরও খালে যদি পানি যাওয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় সিটি করপোরেশন সেটি পরিষ্কার করে দেবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়