মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপ ও ম্যাপিং কার্যক্রম শুরু আজ

আগের সংবাদ

ভূ-রাজনীতির নতুন ক্ষেত্র ‘ব্রিকস’ : যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা

পরের সংবাদ

ই-অরেঞ্জ প্রতারণা : গাড়ি ও এফডিআর জব্দের নির্দেশ

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিনের আড়াই কোটি টাকার এফডিআর ও প্রতিষ্ঠানের ১০টি গাড়ি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে এই গাড়িগুলোর অবস্থান নিয়ে বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ই-অরেঞ্জের প্রতারণার অভিযোগে করা রিট শুনানিতে গতকাল রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত এই গাড়ি ও এফডিআর জব্দ থাকবে। আগামী ২৩ জুলাই পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ সময় আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম লিটন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
ব্যারিস্টার লিটন পরে সংবাদিকদের জানান, বিএফআইইউ এক প্রতিবেদনে বলছে, সোনিয়া মেহজাবিনের নামে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার এফডিআর আছে। আর এনবিআর বলছে ১০টি গাড়ি আছে। তবে আয়কর নথিতে শুধু একটির কথা উল্লেখ করেছে। আদালত পরবর্তী আদেশ পর্যন্ত এফডিআর ও গাড়ি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন। বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে বলেছেন- এসব গাড়ি যেন হস্তান্তর না হয়। পাশাপাশি এসব গাড়ির অবস্থান নিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। আগামী ২৩ জুলাই পরবর্তী আদেশের জন্য দিন রেখেছেন। এছাড়া সোনিয়ার ভাই বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানার অবস্থানের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে- সে পলাতক।

তার বিষয়ে রেড নোটিস জারি হয়েছে।
ই-অরেঞ্জ থেকে ৭৭ কোটি টাকার পণ্য কিনে প্রতারণার শিকার ৫৪৭ জন গ্রাহকের পক্ষে মো. আফজাল হোসেন, মো. আরাফাত আলী, মো. তরিকুল আলম, সাকিবুল ইসলাম, রানা খান ও মো. হাবিবুল্লাহ জাহিদ নামে ৬ গ্রাহক গত বছরের মার্চে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

রিটে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা, ই-অরেঞ্জের স্বত্বাধিকারী সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথি আক্তারসহ আরো অনেককে বিবাদী করা হয়। রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ৭ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সেইসঙ্গে এ বিষয়ে দুদক ও বিএফআইইউকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরে গত বছরের ২ নভেম্বর হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে বিএফআইইউ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, প্রাথমিক পর্যায়ে এটির মালিকানায় সোনিয়া মেহজাবিন থাকলেও পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করে তার ভাই পুলিশ কর্মকর্তা (বরখাস্ত) শেখ সোহেল রানার স্ত্রী নাজনীন নাহারা বিথির নামে হস্তান্তর করা হয়। সোনিয়া মেহজাবিন, স্বামী মাসুকুর রহমান, ভাই শেখ সোহেল রানা ও চাচা মোহাম্মদ জায়েদুল ফিরোজ নগদ টাকা উত্তোলন ও ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর এবং নিজ নামে সম্পদ কেনার জন্য মোট ১৮ দশমিক ৫৬ কোটি টাকা ই-অরেঞ্জের হিসাব থেকে উত্তোলন করেন।

পালিয়ে দেশ ত্যাগের সময় ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে গ্রেপ্তার হন শেখ সোহেল রানা। তাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ কী- গত বছরের ৩ নভেম্বর জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ আদেশের পরে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সোহেল রানাকে ভারতের কারাগার আটক ছিলেন। জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়ে তিনি পালিয়ে গেছেন। এরপর এ বিষয়ে গত ২৯ জানুয়ারি শুনানি হয়। সেদিন তাকে ফিরিয়ে আনতে কোনো পদক্ষেপ জানাতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। এজন্য উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন হাইকোর্ট।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়