জিএম কাদের : স্বাধীনতার ৫০ বছরেও দেশে সাংবাদিকতা অনিরাপদ

আগের সংবাদ

রাজশাহীতে লিটনকে টেক্কা দেয়ার মতো প্রতিদ্ব›দ্বী নেই

পরের সংবাদ

মণিপুরে ফের গোলাগুলি হামলা অগ্নিসংযোগ

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ভারতের জাতিগত দাঙ্গাকবলিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের বিষ্ণুপর ও চূড়াচাঁদপুর জেলার দুটি এলাকায় রাত থেকে সকাল পর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলি হয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার উত্তেজিত জনতা পুলিশের সাঁজোয়া যান ভাঙচুর করেছে ও বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী, আসাম রাইফেলস, র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (আরএএফ) ও মণিপুর রাজ্য পুলিশের যৌথ বাহিনী এদিন মধ্যরাত পর্যন্ত ইম্ফলের পূর্ব জেলায় ‘ফ্ল্যাগ মার্চ’ করে।
সন্ধ্যায় ইম্ফলে প্রায় হাজারখানেক উত্তেজিত জনতা জড়ো হয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। তারা অ্যাডভান্স হাসপাতালের কাছে প্যালেস কম্পাউন্ডে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। আরএএফ কাঁদুনে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টা করে, এতে দুই বেসামরিক আহত হন বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেও উত্তেজিত জনতা জড়ো হয়েছে বলে খবর আসে। স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে থংজুর কাছে ২০০ থেকে ৩০০ লোক জড়ো হয়, তারা স্থানীয় এমএলএর বাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। আরএএফের একটি দল গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
একই রাতে ইম্ফলের পশ্চিম জেলায় আরেক দল জনতা ইরিংবাম থানার অস্ত্রাগারে হামলা চালায়। ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ৩০০ থেকে ৪০০ লোক থানাটি তছনছ করে। পরে এদেরও ছত্রভঙ্গ করে আরএএফ।

সেনাবাহিনীর কয়েকজন এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, মধ্যরাতের পর সিনজেমাইতে বিজেপি কার্যালয়ের আশপাশে জড়ো হয় ২০০ থেকে ৩০০ জন লোক, কিন্তু তারা কিছু করার আগেই সেনাবাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
মধ্যরাতে পশ্চিম ইম্ফলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি অধিকারীমায়ুন শারদা দেবীর বাসভবনে হামলার চেষ্টা করে উচ্ছৃঙ্খল জনতা, কিন্তু সেনাবাহিনী ও আরএএফ তা প্রতিরোধ করে। এরপর জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় বলে সেনাবাহিনীর লোকজন জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ইম্ফলে কারফিউয়ের মধ্যেই ভারতের মোদি সরকারের প্রতিমন্ত্রী রাজকুমার রাজন সিংয়ের বাড়িতে হামলা চালিয়ে পেট্রোল বোমা মেরে জ্বালিয়ে দেয় হাজারেরও বেশি উত্তেজিত জনতার একটি দল। তার পরদিন শুক্রবার মণিপুরে এসব হামলার ঘটনা ঘটে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়