জিএম কাদের : স্বাধীনতার ৫০ বছরেও দেশে সাংবাদিকতা অনিরাপদ

আগের সংবাদ

রাজশাহীতে লিটনকে টেক্কা দেয়ার মতো প্রতিদ্ব›দ্বী নেই

পরের সংবাদ

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাসের দাবি নারী এমপিদের

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ বিনির্মাণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনীর খসড়া দ্রুত অনুমোদনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের নারী সদস্যরা।
গতকাল শনিবার নারী মৈত্রী আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এই দাবি জানান তারা। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত আইসিটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলি।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য শবনম জাহান শিলা, অ্যারোমা দত্ত, নার্গিস রহমান, লুৎফুন নেসা খান, আফরোজা হক, আদিবা আনজুম মিতা, বাসন্তী চাকমা, সালমা চৌধুরী, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, শিরিন নাঈম পুনম প্রমুখ।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আনা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনীটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য কেবিনেট ডিভিশনে পাঠানো হয়েছে।
আশা করা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহে সেটি কেবিনেট ডিভিশনে পাস হয়ে চলতি সংসদ অধিবেশনে উত্থাপন করা হবে।
তামাকের ক্ষতিকর দিক উপলব্ধি করে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশীয় স্পিকারদের সম্মেলনে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এই যুগান্তকারী ঘোষণাকে সামনে রেখে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিভিন্ন দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। স¤প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত) -এর অধিকতর সংশোধনের জন্য এফসিটিসি’র আলোকে একটি খসড়া প্রস্তাবনা প্রণয়ন করেছে।
যেখানে সব পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ নিষিদ্ধ করা; তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রর্দশন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির যে কোনো ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা; তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট/কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা; বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন এবং খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা এবং ই-সিগারেটসহ সব ইমার্জিং ট্যোব্যাকো প্রোডাক্টস্ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার কথা খসড়ায় বলা হয়। মতবিনিময় সভায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমকে প্রধান উপদেষ্টা করে এক কমিটি গঠন করা হয়। আর আহ্বায়ক করা হয় সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি শবনম জাহান শিলাকে। 
নারী সংসদ সদস্যদের নিয়ে নবগঠিত এই ফোরামের সদস্যরা জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনীর খসড়া দ্রুত অনুমোদনের ব্যাপারে সর্বাত্মক সহায়তা দেবেন তারা।
মন্ত্রিসভায় খসড়া অনুমোদনের পর যখন সেটি সংসদে উপস্থাপন করা হবে, তখন আইন পাসের সময় জোরালো বক্তব্য রাখবেন এবং আইন পাসের দাবিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়