জিএম কাদের : স্বাধীনতার ৫০ বছরেও দেশে সাংবাদিকতা অনিরাপদ

আগের সংবাদ

রাজশাহীতে লিটনকে টেক্কা দেয়ার মতো প্রতিদ্ব›দ্বী নেই

পরের সংবাদ

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ : বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মাঠে মারা গেছে

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি এখন মাঠে মারা গেছে, শুধু মির্জা ফখরুল সাহেবসহ তাদের নেতাদের মুখে আছে। বিএনপি এই দাবি আন্তর্জাতিক মহলের হাতে পায়ে ধরে বিভিন্ন সময়ে তুলে ধরেছে। কিন্তু কোনো দেশ তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সমর্থন করেনি এবং সরকারকেও কেউ বলেনি যে নির্বাচনকালীন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার করতে হবে। গতকাল শনিবার দুপুরে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর শরৎকালীন সেমিস্টার ২০২৩ শুরু উপলক্ষে ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আইআইইউসির সীতাকুণ্ডের কুমিরার ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে এই ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিক নাদিম হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল আসামিসহ অনেককেই দ্রুততার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যাতে হয় সেজন্য যা কিছু করা দরকার সবকিছুই করা হবে। এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে সেজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। কিন্তু বিএনপি আসলে নির্বাচনকে ভয় পায়। আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, এ সমস্ত বকবকানি না করে তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি যে মাঠে মারা গেছে সেই বাস্তবতা মেনে নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য। চট্টগ্রামের জামালখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ ইতিহাস-ঐতিহ্যের অনেক স্থাপনা ভাঙচুর প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি তারুণ্যের সমাবেশ করে তাদের তরুণদের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য শিক্ষা দিচ্ছে। তারুণ্যের সমাবেশের নাম করে পেটোয়া বাহিনী ও নৈরাজ্য শিক্ষার সমাবেশ করেছে তারা। বিএনপি নেতারা আসলে সারাদেশে সন্ত্রাসীদের সমাবেশ ঘটাচ্ছে এবং নতুনভাবে নৈরাজ্য করার জন্য তাদের শিক্ষা দিচ্ছে।
এর আগে আইআইইউসির নতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, জীবন হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্র। প্রতিনিয়ত প্রতিকূলতার সঙ্গে সংগ্রাম করে এগিয়ে যাওয়ার নাম হচ্ছে জীবন। যে সেভাবে জীবনকে নিবে, সে জীবনে অনেক দূর এগোতে পারবে। তিনি বলেন, উচ্চ শিক্ষিত হয়ে ডাক্তার হওয়ার পর যদি গ্রামের যে দরিদ্র মানুষটি পাঁচশ, এক হাজার টাকা ফির জন্য যেতে না পারে তার চিকিৎসা যদি করতে না পারে তাহলে সে ডাক্তারের প্রয়োজন নেই। বড় হয়ে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা-সচিব হলে যদি গ্রামের দরিদ্র মানুষ,আত্মীয় ওই বাড়ির আঙিনায় খেলতে না পারে সে কর্মকর্তার দরকার নেই। বড় হয়ে বিশাল ফ্ল্যাটের মালিক হলে যদি সেই ফ্ল্যাটে মা-বাবার জায়গা না হয় তবে সেই সন্তানের প্রয়োজন নেই।
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান।

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দিন নদভী এমপি, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়