পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : সবাই সার্বভৌমত্বকে সম্মান দেখাবে- এই প্রত্যাশা বাংলাদেশের

আগের সংবাদ

মেয়র প্রার্থীদের প্রতিশ্রæতির ফুলঝুরি : ‘পরিকল্পিত সিলেটে’ প্রাধান্য

পরের সংবাদ

গোপনে নিয়োগ দিতে গিয়ে গণপিটুনি খেলেন মাদ্রাসা সভাপতি

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরের নাজিরপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর এনইউএস দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি গোপনে নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগ দিতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে প্রতিষ্ঠানের এক কক্ষে দরজা আটকে গোপনে নিয়োগ বোর্ড গঠন করে নৈশপ্রহরী নিয়োগের সময় স্থানীয়রা জানতে পেরে তাকে গণপিটুনি দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপিনাথপুর দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম ও মাদ্রসার সুপার মো. আব্দুল কুদ্দুস, ডিজির প্রতিনিধি মো. ওমর ফারুক, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. সেলিম আক্তার ও শিক্ষক প্রতিনিধি মোছা. শাহিদা খাতুন গোপনে টাকার বিনিময়ে ওই নৈশপ্রহরী নিয়োগের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম গণপিটুনির শিকার হন। অতঃপর তার একজন নিকটাত্মীয়র সহযোগিতায় তিনি গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ¯িœগ্ধা আখতার জানান, নজরুল ইসলামের মাথায় ৬টি এবং বাম কানের লতিতে ৪টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাম হাতের কুনুই ও ডান হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, নিয়োগে টাকা পয়সা নেয়ার প্রশ্নই আসে না। মাদ্রাসা অধিদপ্তরের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই এ নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছিল। হঠাৎ ওই এলাকার রুহুল কুদ্দুস সুমন, মেরাজ, বারেক, হাফিজুল, সায়েদ, সিরাজুল ও সিহাবসহ ১৫ থেকে ২০ জন যুবক অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের মারপিট করে।
মাদ্রাসার সুপার মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বিধি মোতাবেক আমরা ওই নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগ দিচ্ছিলাম কিন্ত কতিপয় যুবকের চাপে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন জানান, গোপিনাথপুর গ্রামের হযরত আলীর ছেলে রমিজুল নামে একজনকে চাকরি দেয়ার জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকা নিয়েছেন সভাপতি নজরুল ইসলাম। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে অন্য আবেদনকারীদের বাধার মুখে অবশেষে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করতে বাধ্য হন। এতে করে অভিভাবক মহলসহ স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। সেইসঙ্গে সভাপতি পদ থেকে নজরুল ইসলামকে অপসারণেরও দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী। তারা আরো জানান, ইতোপূর্বে নজরুল ওই প্রতিষ্ঠানের ৩টি নিয়োগসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। খবর পেয়ে গুরুদাসপুর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়