সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে ভুক্তভোগীরা

আগের সংবাদ

উন্নয়ন ও প্রত্যাশায় ফারাক অনেক : ক্লিন সিটি খ্যাত রাজশাহীর মানুষ অনেক সেবা পান না

পরের সংবাদ

গাংনীর প্রতি বাড়িতেই গরুর খামার

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মর্তুজা ফারুক রুপক, মেহেরপুর থেকে : মেহেরপুর জেলায় গাংনীর রাইপুর গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা লিলুফা খাতুন। ৫ বছর আগের কথা মনে হলে গা শিউরে উঠে গৃহবধূ লিলুফার। অভাব যেন হা করে গিলে খেতে এসেছিল। আত্মীয়স্বজন কেউ ছিল না তার পাশে। সংসারের খরচ আর সন্তানদের পড়ালেখা নিয়ে ছিলেন বেশ চিন্তিত। আজ আর সে অবস্থা নেই। পশু পালন করে সংসারের ব্যয়ভার বহন ও সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ মিটিয়ে যা অবশিষ্ট থাকে তা একটি ব্যাংকে সঞ্চয় করছেন নিলুফা।
এখন তার গোয়াল ঘরে রয়েছে ৪টি গরু। এবার সবগুলোই তুলবেন কুরবানির হাটে। শুধু লিলুফা খাতুন নয়, তার মতো অসহায় ও বিত্তশালী গৃহবধূসহ সবাই গাংনীর প্রতিটি বাড়িতেই যেন গড়ে উঠেছে মিনি গরুর খামার। কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। গরুর যতেœ দিন পার করছে বাড়ির গৃহবধূরা। বিশেষ করে গাংনীর রাইপুর গ্রামের এ চিত্র বেশি দেখা যায়।
গাংনী শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাইপুর গ্রাম। মাত্র ৩৮০টি পরিবারের বাস। প্রতিটি পরিবারের গোয়ালে রয়েছে বিভিন্ন আকারের গরু। কুরবানির সময় এলেই এ গ্রামটি যেন গরু ক্রেতাদের প্রিয় স্থান হয়ে ওঠে। এবার কুরবানিতে প্রায় ২০ কোটি টাকার পশু বিক্রির আশা করছেন গবাদিপশু পালনকারীরা।
রাইপুর গ্রামের ফুরাদ হোসেন জানান, তার খামারে ছোট বড় ৬০টি গরু আছে। এর মধ্যে দেশি প্রজাতির ২০টি গরু এবার কুরবানির হাটে তুলবেন। এখন তার ব্যস্ত সময়। চলতি কুরবানির মৌসুমে অন্তত ৩০ লাখ টাকার গরু বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন তিনি।
পশুপালনকারী আলামীন জানান, তার বাড়িতে রয়েছে ৫টি এঁড়ে গরু। ৩৫ হাজার টাকা করে বাছুর গরু কিনে এনেছিলেন। এখন একেকটি গরুর দাম অন্তত দেড় লাখ টাকা। ইতোমধ্যেই গ্রামটিতে গরুর ব্যাপারীরা আসতে শুরু করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জানান, এক সময় লোকজন গরুর ব্যবসা করতো। পরে পশুপালন লাভজনক হওয়ায় গ্রামের লোকজন পশুপালন শুরু করেন। এছাড়া গরুর পাশাপাশি রয়েছে ছাগলের খামার। গবাদি পশু পালনের অব্যহত ধারা ধরে রাখতে আবাদ করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার ঘাস।
এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলা ভেটেনারি সার্জন আরিফুল ইসলাম ভোরের কাগজকে জানান, গাংনীর প্রায় প্রতিটি ঘরেই গরু পালন করা হয়ে থাকে। কুরবানিকে সামনে রেখে বেশ লাভজনক ব্যবসা করে পরিবারগুলো। কুরবানির ষাঁড়ের গ্রাম হিসেবে খ্যাতি পাওয়া রাইপুর গ্রামকে ‘স্মার্ট লাইভ স্টক’ ভিলেজে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়