প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের আন্দোলন দুদিন স্থগিত : প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার আশ্বাস বিএসএমএমইউ উপাচার্যের

আগের সংবাদ

আনন্দে পাঠ উৎসবে মূল্যায়ন : ষষ্ঠ ও সপ্তমে চলছে ‘ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন উৎসব’, ঈদুল আজহার পর মূল্যায়নের বিশ্লেষণ

পরের সংবাদ

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী : ছাদবাগান করলে হোল্ডিং ট্যাক্সে ছাড় ১০ শতাংশ

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ছাদবাগান করলে হোল্ডিং ট্যাক্সের ১০ শতাংশ ছাড় দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, এ সিদ্ধান্ত দেশের সব সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভার অধীনে থাকা ভবনের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। মূলত তাপমাত্রা কমাতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে নির্দিষ্ট স্থানে পশু কুরবানি ও দ্রুততম সময়ে পশুর বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, যারা ছাদ বাগান করবেন তাদের যথাযথভাবে সেই বাগানের পরিচর্যাও করতে হবে। সেখানে যাতে মশা জন্ম না নেয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। আর ছাদ বাগান করলে ১০ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড় দেয়া হবে। এটি সব সিটি করপোরেশনের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হবে। তিনি বলেন, প্রণোদনা যেখানে দেয়া হবে সেখানে এটি বলা থাকবে যে, যারা ছাদবাগান করবেন সঙ্গে যেন মশার প্রজনন না হয় সেই শর্তে ১০ শতাংশ ছাড় দেয়া হবে। ছাদবাগান করার জন্য কিছু আর্কিটেকচারিয়াল বিষয় আছে, সেগুলো মাথায় রেখে করতে হবে। তাজুল ইসলাম বলেন, সেসব এলাকায় মেয়র আছেন তারা সার্বিক বিষয় ঠিক করে দেবেন। এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি হবে, এরপর থেকেই এটি কার্যকর হবে। বাংলাদেশের সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় ছাদ বাগান করলে এ প্রণোদনা দেয়া হবে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, পশু কুরবানি এবং দ্রুততম সময়ে পশুর বর্জ্য অপসারণে সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এছাড়াও নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে যাতে পশুর হাট না বসে এবং তা জনজীবনে কোনো প্রকার অসুবিধার সৃষ্টি না করে তা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম। এছাড়াও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা এ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, কুরবানি পশুর বর্জ্য সূর্যাস্তের আগেই সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে সচেতনতামূলক কমিটি করা হয়েছে। যাতে কুরবানি পশুর রক্ত ও বর্জ্য যত্রতত্র না ফেলা হয়। জনগণ উদ্বুদ্ধ ও সচেতন হলে এবং সহযোগিতা করলে কুরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ ও সংগ্রহ করা সহজ হয়। পশুর হাট যেন ডেঙ্গু ছড়ানোর উৎস না হয় সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী কুরবানির পশুর হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় মেশিন স্থাপনে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে বলেন, এছাড়াও মোবাইল ফিনানশিয়াল মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য সব আয়োজন রাখা হবে। ছাদবাগান বিষয়ক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুসরণ করে ছাদে বাগান এবং সবজি চাষ করাকে উৎসাহিত করার জন্য সব সিটি করপোরেশনভুক্ত এলাকায় বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স এ ১০ শতাংশ ছাড় দেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়