প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের আন্দোলন দুদিন স্থগিত : প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার আশ্বাস বিএসএমএমইউ উপাচার্যের

আগের সংবাদ

আনন্দে পাঠ উৎসবে মূল্যায়ন : ষষ্ঠ ও সপ্তমে চলছে ‘ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন উৎসব’, ঈদুল আজহার পর মূল্যায়নের বিশ্লেষণ

পরের সংবাদ

সংসদে প্রধানমন্ত্রী : নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সরকার বদ্ধপরিকর

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, তখনই সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন যাতে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে সেজন্য সব ধরনের সহায়তা করেছে। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন। গতকাল প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর। বিএনপির আমলে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচন কখনো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হয়নি এবং হবেও না। দেশের জনগণ যাতে তাদের মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে সে লক্ষ্যে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিতে আমাদের সরকার সদা প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন নিয়োগ আইন ২০২২ প্রণয়ন করেছি। সে অনুয়ায়ী ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি তৈরির মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী, নিরপেক্ষ প্রশাসনিক ও আর্থিকভাবে স্বাধীন।
শেখ হাসিনা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান বাংলাদেশের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। সংবিধানের ১১৮ (৪) অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন এবং কেবল এই সংবিধান ও আইনের অধীন হইবেন’।
এছাড়া ১২৬ অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে’। তিনি জানান, নির্বাচনকালীন নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি কর্মকর্তা প্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত হবে। নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করে যাবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনে যা যা করার তার সবকিছু করবে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষককে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। যারাই পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় তারা পাঠাতে পারবে, জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময়ই দেশে ওয়েস্ট মিনিস্টার স্টাইল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছে, আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্রের ইতিহাস। মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করার ইতিহাস। জাতীর পিতাকে হত্যার পর ১৯৮১ সালে ১৭ মে বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম পদার্পণ করি। তার পর থেকে স্বৈরতন্ত্রকে উৎখাত এবং গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য জীবন বাজি রেখে সংগ্রাম করেছি। জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন, হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেটের ওপর বিশ্বাসী। জনগণই ঠিক করবে কে দেশ চালাবে। এটা জনগণের ক্ষমতা। আমাদের সরকার জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতা দখল করতে আসেনি বরং জনগণকে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এসেছে, যাতে জনগণ তাদের সরকার বেছে নিতে পারে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ অর্জন করেছে গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার। ইতোমধ্যে যতগুলো নির্বাচন করেছে সবগুলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়