প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের আন্দোলন দুদিন স্থগিত : প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার আশ্বাস বিএসএমএমইউ উপাচার্যের

আগের সংবাদ

আনন্দে পাঠ উৎসবে মূল্যায়ন : ষষ্ঠ ও সপ্তমে চলছে ‘ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন উৎসব’, ঈদুল আজহার পর মূল্যায়নের বিশ্লেষণ

পরের সংবাদ

নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, নাটোর : নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ছাত্রলীগ নেতা জামিউল ইসলাম জীবন হত্যা মামলার চার্জশিট (অপরাধ) আদালত গ্রহণ করায় চেয়ারমান পদ থেকে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়ায় পরিষদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্যানেল চেয়ারম্যান-১ কে উপজেলা চেয়ারম্যানের আর্থিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা-০১ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মজুমদার স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই তথ্য জানা যায়। চিঠি প্রাপ্তির পর থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর করার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানা গেছে। এর আগে ওই মামলাজনিত কারণে উপজেলা পরিষদ চেয়ারমান আসাদ কারাগারে অবস্থান করায় আর্থিক ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। এ অবস্থায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্যানেল চেয়ারম্যান-১ কে উপজেলা চেয়ারম্যানের আর্থিক ক্ষমতা দেয়া হয়।
নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার জানান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়ার খবর বিভিন্ন লোকমুখে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেনেছেন। তবে এখনো মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি হাতে পাননি। চিঠি হাতে পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদ ও তার তিন ভাইসহ অন্যরা ছাত্রলীগ নেতা জামিউল ইসলাম জীবনকে হত্যার উদ্দেশে মারপিট করেন। এ অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নিহত ছাত্রলীগ নেতা জীবনের মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে নলডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেন।
ওই মামলা ও ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়ান আসাদ। পরবর্তীকে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরে আসেন। পরে অন্য একটি মারামারির মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এছাড়া উচ্চ আদালত থেকে নেয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হলে নি¤œ আদালতের নির্দেশে কারাগারে রাখা হয় তাকে। এরপর দীঘদিন কারাগারে অবস্থান করা অবস্থায় আইনজীবির মাধ্যমে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন তিনি। অন্যদিকে মামলাটি তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দেয়। প্রাথমিকভাবে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় এবং আদালত চাজর্শিট গ্রহণ করায় চেয়ারমান পদ থেকে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
এ ব্যাপারে জানতে নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়