প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের আন্দোলন দুদিন স্থগিত : প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার আশ্বাস বিএসএমএমইউ উপাচার্যের

আগের সংবাদ

আনন্দে পাঠ উৎসবে মূল্যায়ন : ষষ্ঠ ও সপ্তমে চলছে ‘ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন উৎসব’, ঈদুল আজহার পর মূল্যায়নের বিশ্লেষণ

পরের সংবাদ

চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণ : না.গঞ্জে বাবা-মায়ের পর এবার চলে গেলেন মেয়েও

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায় চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণের ঘটনায় বাবা-মায়ের পর এবার মেয়ে সোনিয়া আক্তার (২৭) মারা গেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হলো। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে আরো ২ জন।
নিহত সোনিয়ার শ্বশুরবাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায়। এছাড়া তার বাবা নিহত আব্দুস সালাম মণ্ডলের (৫৫) গ্রামের বাড়ি নাটোরে। পরিবার নিয়ে ফতুল্লার কাশিপুরে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন সালাম।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সোনিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, সোনিয়ার শরীরের ৪২ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর আগে মঙ্গলবার সকালে সোনিয়ার মা বুলবুলি মারা যান। তার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর একদিন আগে সোমবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সোনিয়ার বাবা সালাম। তিনি ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিলেন।
বাচ্চু মিয়া আরো জানান, গত শুক্রবার ভোরে ফতুল্লার কাশিপুরে ওই চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ৫ জন দগ্ধ হয়। ওই দিনই তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি অপর ২ জন হলেন- নিহত সালাম-বুলবুলি দম্পতির ছেলে টুটুল মণ্ডল (২৫), তাদের নাতনি নিহত সোনিয়ার মেয়ে মেহেজাবিন (৭)।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম জানান, টুটুল ৬০ ও মেহেজাবিন ৩৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের অবস্থা গুরুতর।
দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. সোহাগ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ফতুল্লার কাশিপুরের ওই বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন হতাহতরা। শুক্রবার ভোরে হঠাৎ চার্জার ফ্যান বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লাগে।
বুলবুলি স্থানীয় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। আর তার স্বামী সালাম রিকশাচালক ছিলেন। সোনিয়ার শ্বশুরবাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায়। ঘটনার ৩-৪ দিন আগে সোনিয়া তার মেয়েকে নিয়ে বাবা-মায়ের বাসায় বেড়াতে আসেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়