প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের আন্দোলন দুদিন স্থগিত : প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার আশ্বাস বিএসএমএমইউ উপাচার্যের

আগের সংবাদ

আনন্দে পাঠ উৎসবে মূল্যায়ন : ষষ্ঠ ও সপ্তমে চলছে ‘ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন উৎসব’, ঈদুল আজহার পর মূল্যায়নের বিশ্লেষণ

পরের সংবাদ

এটিইউপ্রধান : জঙ্গিবাদের বৈশ্বিক সূচকে কম ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিন বলেছেন, জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ বিষয়ে সন্তুষ্টির সুযোগ নেই। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বিট ও কমিউনিটি পুলিশিং। বাংলাদেশ একটা সময় জঙ্গিবাদের বৈশ্বিক ইনডেক্সে উচ্চ ঝুঁকির দেশ ছিল। সেখান থেকে কম ঝুঁকির দেশে পরিণত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশের সমতল ও লোকালয়ে স্থান পাচ্ছে না জঙ্গিরা। তাই পাহাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় জঙ্গিরা তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে এটিইউ ও জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ইউএনওডিসির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় কনসালটেশন কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এটিইউয়ের ডিআইজি (অ্যাডমিন) মফিজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আশরাফ, ঢাকার ইউএনওডিসির অফিসার ইনচার্জ শাহ মোহাম্মদ নাহিয়ান, এটিইউর ডিআইজি (অপারেশনস) মনিরুজ্জামান, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, কানাডিয়ান হাইকমিশনের পলিটিক্যাল এন্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের প্রতিনিধি মিস্টার ব্রাডলি কোর্টস, বিট ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এটিইউপ্রধান বলেন, ২০১৬-১৭ সালে আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তখন আমরা হাই রিস্ক ক্যাটাগরিতে ছিলাম। ২০১৬ সালে ছিলাম ২২তম। ২০১৭ সালে ছিলাম ২১তম। অর্থাৎ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশের একটি ছিলাম। এরপর থেকে আমাদের সম্মিলিত উদ্যোগের ফলে আমাদের গেøাবাল ইনডেক্সে উন্নতি ঘটে। অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, ধীরে ধীরে আমরা হাই রিস্ক থেকে মিডিয়াম রিস্কে এবং সর্বশেষ এ বছর আমরা লো রিস্ক ক্যাটাগরিতে ধাবিত হয়েছি। আমাদের অবস্থান এখন ৪৩তম। রেটিং পয়েন্ট ৩ দশমিক ৮২। উপমহাদেশে এর নিচে রয়েছে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। এমনকি ভারতও রয়েছে আমাদের নিচে ১৩তম অবস্থানে।
এটিইউপ্রধান বলেন, ২০১৩ সালে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী লেখকদের ওপর হামলা শুরু করে। সঙ্গে যোগ দেয় নিউ জেএমবি। ২০১৬ সালে হলি আর্টিসান হামলা ছিল সবচেয়ে ভয়ংকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদবিরোধী জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেন। ২০১৯ সালে এটিইউ কার্যক্রম শুরু করে একটি বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে। প্রথমে মাত্র ৬০০ জনবলে শুরু। এরপর কোভিড মহামারি, তারপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু। সারাদেশেই অর্থনৈতিক কৃচ্ছসাধন নীতি নেয়া হয়। যে কারণে এটিইউ আর স¤প্রসারণে যেতে পারেনি। তবে সীমিত অবস্থানে থেকেও প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেড় শতাধিক অভিযানে ৩০০ জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছে এটিইউ।

অনেক সাজাপ্রাপ্ত, যুদ্ধাপরাধীসহ সেনসেশনাল মামলার আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সফট ও হার্ড অ্যাপ্রোচের আলোকে কাজ করছে এটিইউ। পাশাপাশি সচেতনতায় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম নেয়া হয়। বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে অনেক বেশি কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব। কীভাবে জঙ্গি শনাক্ত করা যায়, শিক্ষকদের দায়িত্ব কী, ছেলেমেয়েদের চলাফেরায় কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে- এসব বিষয়ে সচেতন করা সম্ভব। বিট ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কার্যক্রমকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে জঙ্গিবাদ দমন করা যায়, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়