হাসপাতালে খালেদা জিয়া

আগের সংবাদ

অপরাধের স্বর্গরাজ্য রোহিঙ্গা ক্যাম্প

পরের সংবাদ

পদযাত্রা কর্মসূচি : ঢাকায় বড় শোডাউন বিএনপির

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সরকারবিরোধী আন্দোলনকে আরো চাঙা করতে রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউন করেছে রাজপথের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। এর মধ্য দিয়ে ঢাকায় সাংগঠনিক সক্ষমতা দেখাল দলটি। গতকাল মঙ্গলবার শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচির মাধ্যমে এ শোডাউন করা হয়। এ সময় গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় গণ অভ্যুত্থান সৃষ্টির জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেয়া আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। একই সঙ্গে সহিংসতা এড়িয়ে সতর্ক থাকারও নির্দেশ দেন তারা।
অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং দেশের সব বিভাগে পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে দলটি। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে নাবিস্কো, সাতরাস্তা মোড়, হাতিরঝিল মোড় ও এফডিসি হয়ে সোনারগাঁও হোটেল সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। একইভাবে রাজধানীর গোপীবাগের সাদেক হোসেন খোকা রোড থেকে শুরু হয়ে দোলাইপাড় পর্যন্ত পদযাত্রা করে মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
দক্ষিণ বিএনপির পদযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখন অত্যন্ত অসুস্থ। তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। সরকার সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশনত্রীকে কারাবন্দি করে রেখেছে।
তিনি বলেন, আজকে লোডশেডিং হয় কেন? বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে ১ হাজার টাকা রিচার্জ করলে ৩০০ টাকা নেই। কারণ ১০ জন মানুষের হাতে দেশের বিদ্যুৎ খাত জিম্মি।

এখন সরকার বলছে, কয়লা ও গ্যাস নেই। কেন? জনগণ তো বিল ঠিকই দিয়েছে। সেই টাকার বেশির ভাগই ওরা আমেরিকাতেই জমা রেখেছিল।
তিনি বলেন, আমেরিকা নতুন ভিসানীতি দেয়ার পরই একটি আইন করা হয়েছে, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনলে আড়াই শতাংশ ইনসেনটিভ দেয়া হবে। অর্থাৎ চুরি করলে বাড়তি পুরস্কার দেয়ার সুযোগ। এই যদি হয় সরকার। যারা ডাকাতি করে তাদের বলে- ডাকাতি কর, পুরস্কার পাবি। এই সরকার উন্নয়নের মরীচিকার এমন স্বপ্ন দেখিয়েছিল সেটা নষ্ট হয়ে গেছে। উন্নয়নের রোল মডেল এখন মাথাব্যথার কারণ।
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তারা মানুষের অধিকার হরণ করে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে একতরফা নির্বাচন করেছে। কিন্তু এবার নির্বাচন হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই। তাই ওবায়দুল কাদেরদের বলবো- গদি ও পুলিশ ছেড়ে মাঠে আসুন। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। দেখবেন কার কত শক্তি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফুসহ দক্ষিণের নেতারা।
অন্যদিকে উত্তর বিএনপির পদযাত্রাপূর্বক কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই হারিকেন শেখ হাসিনা সরকারের হাতে ধরিয়ে দিতে হবে। আমরা জয়ের শেষ ভাগ এসে পৌঁছেছি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জনগণের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে শামিল হন। পুলিশ-র?্যাব-আনসার ও সরকারি কর্মকর্তা যারা আছেন নতুন সরকার ক্ষমতায় এলে আপনারা আপনাদের সাংবিধানিক দায়িত্বে নির্বিঘেœ পালন করতে পারবেন। জনগণের বিপক্ষে অবস্থান না নিয়ে পাশে থাকুন।
এই সরকার ভোট চোর থেকে শেয়ার বাজার চোর মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণের আন্দোলন ও সুষ্ঠু ভোটের পথে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে তার খবর আছে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগামী দিনগুলো সতর্কতার সঙ্গে চলতে হবে। সরকার চাইবে সহিংসতা করে এর দায় বিএনপির ওপর চাপাতে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আহ্বায়ক চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা তাবিথ আউয়াল প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়