হাসপাতালে খালেদা জিয়া

আগের সংবাদ

অপরাধের স্বর্গরাজ্য রোহিঙ্গা ক্যাম্প

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে ক্লুলেস হত্যাকাণ্ড : জড়িত অপর যুবককেও গ্রেপ্তার করল পিবিআই

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস এলাকায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে মুখ ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারের সাড়ে তিন মাস পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর যুবককেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন গ্রেপ্তার হওয়া অন্তর মিয়া নামে ওই যুবক। অন্তর মিয়ার (২৫) বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়।
তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সূত্রবিহীন (ক্লুলেস) ওই হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে বলে দাবি পিবিআই কর্মকর্তাদের। তারা জানিয়েছেন, খুন হওয়া ব্যক্তি সালাউদ্দিন তাদের মজুরি আত্মসাত করেছিল। এর প্রতিশোধ নিতে দুই সহকর্মী পরিকল্পিকভাবে তাকে নৃশংসভাবে খুন করে। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পরিদর্শক মো. কমরুল ইসলাম।
এ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার ও ঘটনা সম্পর্কে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পরিদর্শক ইলিয়াস খান জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে নগরীর খুলশী থানার টাইগারপাস এলাকায় রেলওয়ে কলোনির পরিত্যক্ত ১১ নম্বর ভবনের সামনে ছেনোয়ারা বেগমের টিনশেড ঘর থেকে ৪৫ বছর বয়সী ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তবে সে সময় পুলিশ নিহতের কোনো পরিচয় পায়নি। ছেনোয়ারা বেগম শুধুমাত্র তার নাম ‘সালাহউদ্দিন’ এবং পেশায় টাইলস শ্রমিক বলে জানিয়েছিলেন। এ ঘটনায় খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন। তদন্তে নেমে পিবিআই মরদেহের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করে।
এরপর ৩ মার্চ ঢাকার ধানমন্ডি থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত হিসেবে শনাক্ত হওয়া আব্দুর রহমান (৩২) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্যে ঘটনায় জড়িত স্বপন নামে একজনের বিষয় জানতে পেরেছিল পিবিআই। তবে এটি ছিল তার ছদ্মনাম।
তবে সেই ‘স্বপনই’ অন্তর মিয়া বলে জানিয়েছেন পিবিআই মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান। তিনি জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থেকে গত শনিবার আমরা অন্তর মিয়াকে গ্রেফতার করি। আদালতের নির্দেশে তাকে দুইদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করি। এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পিবিআইকে যে তথ্য দিয়েছিল, অন্তর মিয়াও প্রায় অভিন্ন তথ্য দিয়েছেন।’
পিবিআইয়ের রিমান্ডে এবং আদালতে দেয়া জবানবন্দি থেকে জানা যায়, এরা তিনজনই একইসঙ্গে কাজ করতো। সালাহউদ্দিন তাদের কাজ পাইয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু মজুরির বিষয়ে অসত্য কথা বলে তাদের টাকা আত্মসাৎ করেন সালাহউদ্দিন। এজন্য অন্য দুজন ক্ষুব্ধ হয়ে সালাহউদ্দিনকে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে খুন করেছে বলে জানিয়েছে। ওই খুনের পর তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে ছিল। কিন্তু পিবিআইয়ের তদন্তকারি কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মো কামরুল ইসলাম ও পিবিআইএর টিম নানা কৌশলে তাদের গ্রেপ্তার করে ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়