কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কমে যাওয়ার তথ্য উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে দেয়া মার্কিন ছয় কংগ্রেসম্যানের চিঠি বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেছে সেকুলার সিটিজেনস বাংলাদেশ। সংগঠনটির দাবি – মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের চিঠিটি পক্ষপাত দুষ্ট। এই চিঠিটি সংখ্যালঘুর সংখ্যা কমানোর বিষয়ে ইতিহাস বিকৃত করেছে, বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলেই তারা (সংখ্যালঘুরা) সবচেয়ে বেশি নিরাপদ।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করে সেকুলার সিটিজেনস বাংলাদেশ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগের প্রফেসর ড. সুবর্ণ বড়–য়া, পালি এন্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. বিমান বড়ুয়া প্রমুখ।
তাপস কান্তি বল বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশে উদযাপিত দুর্গা পূজার সংখ্যা বেড়েছে। বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় ধর্মীয় ও জাতিগত স¤প্রদায়ের মেধাবী তরুণেরা সরকারি চাকরিসহ বিভিন্ন অধিকার পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য শিকার হতো। বর্তমান সরকার ধর্মীয় ও জাতিগত স¤প্রদায়গত পরিচয় ভুলে গিয়ে যোগ্যতা ও মেধার মূল্যায়নের মাধ্যমে সরকারি চাকরি করার অধিকার এবং পেশাগত সুবিধা লাভের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কংগ্রেসম্যানরা চিঠিতে এসব বিষয় বিবেচনায় নেননি।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতার বাইরে থেকেও বিগত বছরগুলোতে তাদের নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চলে। সেই বিষয়গুলো চিঠিতে আলোচনা করেননি কংগ্রেসম্যানেরা। সুনন্দ প্রিয় ভিক্ষু বলেন, ২০১২ সালে রামুতে বৌদ্ধ মন্দির দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত এর সমাধান করেছেন। আওয়ামী সরকারের আমলে একজন বৌদ্ধও দেশ ছেড়ে চলে যায়নি। এই সরকারের আমলেই সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ বলে দাবি করেন তিনি।