সংসদে বিল উত্থাপন : আমানত সুরক্ষা ট্রাস্ট তহবিল গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

আগের সংবাদ

খুলনা-বরিশালে ‘উন্নয়ন’ ম্যাজিক : খুলনার উন্নয়ন ভাবনা ও ব্যক্তি ইমেজেই খালেকের বাজিমাত

পরের সংবাদ

পাওনা টাকার জন্য কবর খুঁড়ে লাশ উত্তোলনের চেষ্টা

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি : রংপুরের তারাগঞ্জে পাওনা টাকার দাবিতে এক নারীর লাশ কবর খুঁড়ে উত্তোলনের চেষ্টা করা হয়েছে। উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের খিয়ারডাঙ্গা কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এক নারীকে আটক করেছে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ, নিহত নারীর পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া গ্রামের দিনমজুর আব্দুল গফুর অসুস্থ থাকায় স্ত্রী শাহেদা বেগম (৪৫) দিনমজুরি করে সংসার চালাতেন।
তিনি সরকারের কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক ছিলেন। শাহেদা বেগম ঈদের দুই দিন আগে হার্টস্ট্্েরাক করেন। গত বুধবার তিনি মারা গেলে খিয়ার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
শাহেদার কাছে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা পাবেন এমন দাবি নিয়ে গতকাল সোমবার সকাল ৯টার দিকে তার বাড়িতে যান একই গ্রামের জোনায়েদ হোসেনের স্ত্রী রাছেনা বেগম। শাহেদার ছেলেমেয়েরা টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় শাহেদার কবর খুঁড়তে যান রাছেনা ও তার স্বামী জোনায়েদ হোসেন। তাদের কবর খোঁড়া দেখতে পান একই এলাকার আব্দুল কাইয়ুম ও রেহেনা বেগম। তারা চিৎকার দিলে রাছেনা বেগম ও তার স্বামী পালিয়ে যান। পরে গ্রামের শত শত লোক কবরস্থানে ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরের দিকে ঘটনাস্থলে যায় এবং রাছেনাকে আটক করে থানায় নেয়।
নিহত শাহেদার মেয়ে সাবিনা বেগম অভিযোগ করেন, রাছেনা তার মায়ের কাছে টাকা পাবেন এমন দাবি নিয়ে সকালে আসেন। কখনো ৩০ হাজার, কখনো এক লাখ ২৫ হাজার টাকা পান বলে দাবি করেন। আমাদের থাকার জায়গা ছাড়া কোনো সহায় সম্বল নেই। রাছেনা যে টাকা দাবি করছে তা দেয়ার সামর্থ্যও আমাদের নেই। রাছেনাকে বলি টাকা যদি পান তাহলে মাফ করে দিয়েন। কিন্তু তিনি নারাজ হওয়ায় রাগ করে বলি, যার কাছে টাকা পান তার কাছ থেকে নেন। এরপর রাছেনা ও তার স্বামী মায়ের কবর খুঁড়তে যান।

সাবিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, টাকা পাবেন কোনো প্রমাণ নেই। অথচ তারা আমার মায়ের কবরস্থানে লাশ বের করার জন্য কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়েছে। এলাকার শত শত মানুষ কবরস্থানে গিয়ে দেখেছে। আমি সঠিক বিচার চাই।
থানা হাজতে আটক রাছেনা বেগম বলেন, ৬ মাস আগে শাহেদার ছেলে সহিদার রহমানের জামিন করার সময় এক লাখ ২৫ হাজার টাকা নিয়েছে শাহেদা। আমি ৫০ হাজার টাকা গরু বিক্রি করে ও ৭০ হাজার টাকা ব্র্যাক থেকে ঋণ নিয়ে দিয়েছি। টাকা না দিয়ে এখন আমার নামে বদনাম ছড়াচ্ছে।
তারাগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, লোক মাধ্যমে ঘটনাটি জানার পর সরজমিনে গিয়ে কবরের মাটি সরানো দেখেছি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে রাছেনাকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়