নম্বর জালিয়াতির অভিযোগ : নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে হাইকোর্টে তলব

আগের সংবাদ

ভোটের হাওয়া কোন দিকে? বরিশালে চার প্রার্থীর মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস

পরের সংবাদ

বৈশ্বিক গম রপ্তানির ২০ শতাংশ পূরণ করছে রাশিয়া

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ইউক্রেন যুদ্ধের পর কৃষিপণ্য রপ্তানি খাতকে নতুন করে সাজিয়েছে রাশিয়া। যেসব দেশ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় সায় দেয়নি, সেসব দেশেই মূলত রপ্তানির পাল্লা ভারী করেছে দেশটি। বর্তমানে এসব দেশে রপ্তানির হিস্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭ শতাংশে। বৈশ্বিক গম রপ্তানির ২০ শতাংশই পূরণ করছে রাশিয়া। দেশটির কৃষিমন্ত্রী দিমিত্রি প্যাট্রæশেভ সম্প্রতি এমনটা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, চীন, তুরস্ক, বাংলাদেশ, আলজেরিয়া ও পাকিস্তানে রপ্তানি লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। রাশিয়ার উৎপাদকরা নির্ভরযোগ্য ও দায়িত্বশীল বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে মজবুত সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
রাশিয়া গত বছর নিট কৃষিপণ্য রপ্তানিকারকের তকমা পুনরুদ্ধার করে নেয়। ওই সময় অর্থমূল্যের হিসাবে রপ্তানি করা হয় ৪ হাজার ১৬০ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য। আমদানির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৫৭০ কোটি ডলার। মন্ত্রী বলেন, ?বিশ্বের প্রতি পাঁচ ব্যাচ গমের এক ব্যাচই রপ্তানি করছে রাশিয়া। তিনি আরো জানান, গত বছর রাশিয়া ২০ লাখ টনের বেশি মাছ রপ্তানি করেছে। আমিষ জাতীয় পণ্য রপ্তানি করেছে ৭ লাখ ৩০ হাজার টন। এছাড়া উন্নতমানের পণ্য রপ্তানির প্রবৃদ্ধিও ক্রমবর্ধমান।
রাশিয়া প্রতি বছর ১৩ কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি ৫ কোটি ৫০ লাখ টন রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে দেশটির। রাশিয়ার উপকৃষি মন্ত্রী ওকসানা লুট এমনটা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ?ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে অনেক দেশ রাশিয়া থেকে খাদ্যশস্য কিনতে অস্বীকৃতি জানালেও দেশটি খুব ভালোভাবেই রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। ক্রেতা দেশের সংখ্যা কমে গেলেও বিক্রির পরিমাণ বাড়াতে সক্ষম হয়েছি আমরা। আমরা এখন বেশি দেশে রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টা করছি না বরং শক্তিশালী অংশীদারত্ব তৈরির প্রয়াস চালাচ্ছি।

রাশিয়ার খাদ্যশস্য রপ্তানি ইউনিয়নের প্রধান এডুয়ার্ড জেরনিন বলেন, রাশিয়া বর্তমানে দেশটিতে উৎপাদিত খাদ্যশস্যের ৮০ শতাংশই মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় বিক্রি করছে। তুরস্ক, মিসর, ইরান, সৌদি আরব ও আলজেরিয়া দেশটির শীর্ষ পাঁচ ক্রেতা দেশ।
কৃষিমন্ত্রী দিমিত্রি প্যাট্রæশেভ বলেন, চলতি বছর খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১২ কোটি ৩০ লাখ টনে। এ সময় মোট রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে পাঁচ কোটি থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি টনে।
চলতি সপ্তাহে কৃষ্ণ সাগরীয় খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তি আরো দুই মাসের জন্য সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তবে এ চুক্তি আরো জোরদার করার ক্ষেত্রে রাশিয়া শর্ত বেঁধে দিয়েছে। দেশটির দাবি, খাদ্যশস্য রপ্তানিতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে যে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হচ্ছে, তা উঠিয়ে নিতে হবে। তবেই চুক্তি যথাযথভাবে সম্প্রসারণে রাজি হবে দেশটি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়