চারিদিক নিবিড় অন্ধকার, গভীর রজনীতে-
ভেজা আঁধারে দেখেছি একটুখানি তোমার মুখ,
জলছাপের সেই ছবি-
-বহুকাল পরেও কাঁপায় বুক।
এই দেশ, এই মাটি, এই গ্রাম- পরিবর্তন-পরিমার্জনে-
আজও উদিত হয় পূর্ব গগনে নতুন রবি,
মেঠো পথ ধরে অবিরাম হেঁটেছি-
-বনে গেছি বাংলার কবি।
লম্বা পথ হেঁটেছি, যেতে যেতে-
আমিও এখন পিতার পিতা,
এদেশ জন্মেতে তোমার-
তোমার নাম ‘জাতির পিতা।’
তোমার ডাকে-
ছিপার ডগায় কেতন উড়াতে-
বহু প্রাণ গিয়েছিল ঝড়ে,
দামাল ছেলেরা তোমার-
ফিরে এসেছে নির্ভয়ে
তাই তোমার নাম প্রতি ঘরে ঘরে।
বাবা, আমার নিদ্রা ভগ্ন ঘটে
সয়নে-সপনে আছো তুমি ¤øান,
পারি না ভুলে যেতে, ভিজে যাই অশ্রæতে-
অস্থির করি- তখন ভেঙে যায় ধ্যান।
তারপরও
অপেক্ষায় থাকি আর আশা করি
মনে মনে ভাবি-তুমি আসিবে ফিরে,
শেষ হয়েও শেষ কোথায়?
অনুভূতি ভোঁতা হয়, পুনরায় ঘটে ধিরে ধিরে।
ভুলে যেতে পারি না নয় বরং পারছি না-
হয়তো এটা মানুষের রীতি,
ভুবনে আসা-যাওয়ায় কেউ নির্ভৃত হলেও
বাবা, তুমি একটি অমর স্মৃতি \
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।