কনস্টেবল বাদল হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

আগের সংবাদ

দুর্ভোগের অবসান চান নগরবাসী : সুপেয় জলের তীব্র সংকট জলজটের খুলনায়

পরের সংবাদ

ভোলার বিসিকে কোটি টাকার কাজে অনিয়ম : উদ্যোক্তা লাঞ্ছিত!

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এইচ এম নাহিদ, ভোলা থেকে : ভোলার বিসিক শিল্পনগরীর তত্ত্ব¡াবধানে অবকাঠামো উন্নয়নে কোটি টাকার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজে নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে উদ্যোক্তারা বাধা দিলে ঠিকাদার কর্তৃক উদ্যোক্তাদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে। এ ঘটনায় বিসিক উদ্যোক্তারা একজোট হয়ে উন্নয়নমূলক কাজটি ওইদিনই বন্ধ করে দিয়েছে। এ নিয়ে সাধারণ উদ্যোক্তাদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, বিসিক প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম রাস্তা- কালভার্টের কাজ হচ্ছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কিছুটা উচ্ছ¡সিত হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহারে আমাদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করলে আমরা বিষয়টি বিসিক কর্তৃপক্ষকে জানাই। তারা কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় আমরা প্রতিবাদ করি। এ কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি নোমান ও তার লোকজন নিয়ে আমাদের লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় আমরা এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি। তারা আরো বলেন, যদি রাস্তা কালভার্ড না করে এই বরাদ্দ দিয়ে আমাদের বিসিকে গ্যাস লাইনের সংযোগের ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে ভোলার বিসিকের উদ্যোক্তারা সব চাইতে বেশি উপকৃত হতো। নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা-কালভার্ট করে সরকারি বরাদ্দ লুটপাট করার পাঁয়তারামাত্র।
ঠিকাদরি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মি. তানজিল হাসান ও মি. নোমান বলছেন, উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আমাদের একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। এটা আমরা ঠিক করে নিব।
ভোলা বিসিক কর্মকর্তা মো, রিয়াজ উল হাসান ও উপ-ব্যবস্থাপক এসএম সোহাগ হোসেন উদ্যোক্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সৃষ্ট ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, উদ্যোক্তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মেসার্স রবিন এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজকে আমাদের খুলনার আঞ্চলিক অফিসের কর্মকতারা প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে দিয়েছেন যাতে ভবিষ্যতে আর এমনটা না হয়।
বিসিক খুলনা আঞ্চলিক অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রিয়াংকা সরকার ভোরের কাগজকে বলেন, আমার আঞ্চলিক পরিচালক মহোদয় তাহেরা নাসরিন ও আমি ঘটনার দিন ভোলায় ভিজিটে ছিলাম। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছে তার সত্যতা আমরা খুঁজে পেয়েছি। কাজটি জুনের মধ্যে শেষ করতে হবে তাই কাজটি আমরা বন্ধ করিনি। তাছাড়া আমাদের লোকবলের অভাবে কাজটি সঠিক ভাবে মনিটরিং করতে পারছি না। তারপরও ঠিকাদারকে সতর্ক করে দিয়েছি যাতে সব কিছু ম্যানেজ করে কাজটি সম্পন্ন করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়