কনস্টেবল বাদল হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

আগের সংবাদ

দুর্ভোগের অবসান চান নগরবাসী : সুপেয় জলের তীব্র সংকট জলজটের খুলনায়

পরের সংবাদ

গাড়ির ভেতর থেকে বিবস্ত্র নারী-পুরুষের লাশ উদ্ধার > যৌন উত্তেজক পান বা অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু : পুলিশ

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর তেজগাঁও থানার এলেনবাড়ি এলাকার গণপূর্তের স্টাফ কোয়ার্টারে থাকা একটি গাড়ির ভেতর থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় নারী-পুরুষের লাশ উদ্ধার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। উদ্ধার হওয়া পুরুষের নাম দেলোয়ার হোসেন মোল্লা (৫৩)। তার বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়ায়। তিনি এসএসএফের অফিস সহায়ক হিসেবে চাকরি করতেন। আর মৃত নারীর নাম মৌসুমী আক্তার রানী (৪২)। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায়। তবে তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গতকাল বুধবার ভোরে লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে যায় সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট। এ ঘটনায় দেলোয়ারের ভাই মিন্টু বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে বা যৌন উত্তেজক জাতীয় কিছু পানে তাদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ভোরে গণপূর্তের স্টাফ কোয়ার্টারের কাছের একটি পুকুরের উত্তর পশ্চিম কোণে কাপড় দিয়ে ঢাকা অবস্থায় একটি ব্যক্তিগত গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-গ ১৪-০৭২৫) দেখতে পান স্থানীয়রা। গাড়িটির ইঞ্জিন চালু থাকায় সন্দেহ হলে লোকজন কাপড়টি সরিয়ে গাড়ির পেছনের আসনে এক পুরুষ ও এক নারীর বিবস্ত্র লাশ দেখতে পান। স্থানীয়রা পুরুষের লাশটি দেলোয়ারের বলে শোরগোল শুরু করলে তার স্ত্রী ও ভাই ঘটনাস্থলে আসেন। দেলোয়ারের ভাই মিন্টু লাশ শনাক্ত শেষে গাড়িটি চালিয়ে রাস্তায় নিয়ে যান। পরে তিনি থানায় ফোন দেন।
সূত্র আরো জানায়, গাড়িটির মালিক দেলোয়ার হোসেন মোল্লা। স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে তেজগাঁও এলেনবাড়ি এলাকায় গণপূর্তের স্টাফ কোয়ার্টারেই থাকতেন তিনি। এসএসএফের সাধারণ অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করলেও বাড়তি আয়ের জন্য প্রায় রাতেই গাড়ি নিয়ে রাইড শেয়ারিংয়ে বের হতেন। মঙ্গলবার রাতেও ব্যক্তিগত গাড়িটি নিয়ে রাইড শেয়ারের জন্য বের হয়েছিলেন তিনি। এরপর গতকাল ভোরে এক নারীর সঙ্গে নিহত ও বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। এ সময় গাড়ির ভেতর দুটি বোতলও পাওয়া গেছে। একটির ভেতর হাফ লিটার কোক ছিল যা ছিল অর্ধেক খালি। আর অপর বোতলটি ছিল পুরো ফাঁকা। সেই বোতল থেকে লেমন ফ্লেভারের ক্যামিকেল জাতীয় গন্ধ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে মৌসুমী আক্তার রানীর বিষয়ে জানা গেছে- স্বামীর সঙ্গে তালাক হওয়ার পর এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে আলাদা থাকতেন তিনি। লাশ উদ্ধারের সময় গাড়িতে থাকা তার ব্যাগে বেশ কয়েকটি কনডমের প্যাকেট পাওয়া গেছে। তাই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই নারী হয়তো যৌনকর্মী ছিলেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) মো. মাহমুদ খান গতকাল বুধবার ভোরের কাগজকে বলেন, দুজনের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। তাদের বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া গেলেও শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। স্পষ্ট কোনো আলামত নেই কিন্তু একই গাড়িতে কাছাকাছি সময় দুজনের মৃত্যু রহস্য কী হতে পারে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের অবস্থা দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রাইভেটকারে তারা হয় অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন অথবা উত্তেজক কিছু সেবন করেছিলেন। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়