কনস্টেবল বাদল হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

আগের সংবাদ

দুর্ভোগের অবসান চান নগরবাসী : সুপেয় জলের তীব্র সংকট জলজটের খুলনায়

পরের সংবাদ

এলজিইডির ৩৩১ প্রকল্পে পাল্টে গেছে জীবনমান

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আছাদুজ্জামান : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে তার সরকার। গ্রামের অজপাড়া থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। ‘গ্রাম হবে শহর’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে চলছে উন্নয়নের এ মহাকর্মযজ্ঞ।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- গ্রামের রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট, খাল খনন, গ্রোথ সেন্টার, হাটবাজার, উপজেলা কমপ্লেক্স সেন্টার নির্মাণ ও সম্প্রসারণ, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ, উপকূলীয় অঞ্চলে সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ, স্লুইস গেট, প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, সমুদ্র ও নদী বন্দরে জেটি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট নির্মাণ, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের আবাসিক ভবন নির্মাণ, পৌরসভা ও উপজেলা মাস্টারপ্ল্যান ও রাস্তাঘাট নির্মাণের মধ্যে দিয়ে সারাদেশের মানুষের জীবন-জীবিকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
তবে বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর সারাদেশের মানুষের চলাচলাচলের জন্য রাস্তাঘাট, কালভার্ট, সেতু, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য নির্মাণ করেছে সাইক্লোন সেল্টার। এমনকি এক এলাকার মানুষের সঙ্গে অন্য এলাকার মানুষের যোগাযোগের জন্য সড়ক নেটওয়ার্ক, হাটবাজার, সহজে পণ্য পরিবহন করে সেসব বিক্রি করে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে সক্ষম হয়েছে। এ সবই এই সরকারের আমলে সম্ভব হয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সারাদেশে এ পর্যন্ত সেতু ও কালভার্ট চার লাখ ৩৫ হাজার ৩০৭ মিটার নির্মাণ, খাল খনন করেছে, ছয় হাজার ২৫৩ কিলোমিটার, গ্রোথ সেন্টার/হাটবাজার উন্নয়নের সংখ্যা দুই হাজার ৮৭৪টি, উপজেলা কমপ্লেক্স নির্মাণ/সম্প্রসারণের সংখ্যা ৪০৬টি, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ হয়েছে এক হাজার ৭৬৭টি, উপকূলীয় অঞ্চলে সাইক্লোন সেন্টার বানানো হয়েছে এক হাজার ৪৯১টি, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে, ৩২ হাজার ১২৬টি, সমুদ্র ও নদী বন্দরে জেটি নির্মাণ করা হয়েছে ৭৮৪টি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হয়েছে ১৯টি, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আবাসিক ভবন নির্মাণ হয়েছে ১৩টি, সারাদেশে পৌরসভা মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে ২৫৫টি ও ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে তিন হাজার ২০০ কিলোমিটার।
এছাড়াও ১২টি উপজেলার মাস্টারপ্ল্যান চলমান ও এর মধ্যে ৮টি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন এবং ৪টি রিভিউ করা হবে বলে এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি ভোরের কাগজকে বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পূর্বশর্ত। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের মানুষের আকাক্সক্ষা পূরণের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে গ্রামের মানুষ তাদের উৎপাদিত পণ্য সহজে বিভিন্ন জায়গায় পরিবহণ করতে সক্ষম হচ্ছে। এক কথায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, দেশের মানুষ যাতে তার প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় সে জন্যই আমাদের এই উন্নয়নের মহাকর্মযজ্ঞ চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়