কাগজ ডেস্ক : নিপ্রো নদীর একটি বাঁধ ধসে পড়ার পর নদীতীরবর্তী রাশিয়া ও ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর প্রায় ৪২ হাজার মানুষ বন্যার ঝুঁকিতে আছেন। এই বাঁধ ধসের ঘটনার ‘মারাত্মক ও সুদূরপ্রসারী পরিণতি’ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক প্রধান।
গত মঙ্গলবার বিশাল এই বাঁধটি ধসে পড়ে; এতে ইউক্রেনের যুদ্ধকবলিত এলাকাগুলোজুড়ে বিপুল পরিমাণ পানি ছড়িয়ে পড়ে বন্যার ঝুঁকি তৈরি করে, ফলে হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। এ ঘটনার জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেন একে অপরকে দায় দিয়েছে।
এই বাঁধ থেকে উজানের দিকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে খেরসন শহরে গত মঙ্গলবার পানির স্তর ৩ দশমিক ৫ মিটার বেড়েছে, এতে প্লাস্টিকের ব্যাগে জিনিসপত্র নিয়ে বাসিন্দারা হাঁটু পানি ভেঙে ঘরবাড়ি থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
শহরটির বাসিন্দা ওকসানা (৫৩) বলেন, ‘সবকিছু পানিতে ডুবে গেছে। সব ফার্নিচার, ফ্রিজ, খাবার, ফুল পানিতে ভাসছে। কী করব বুঝতে পারছি না।’
প্রায় ৮০টি এলাকা বন্যার ঝুঁকিতে পড়েছে। এসব এলাকার লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে বাস, ট্রেন ও প্রাইভেট গাড়ি প্রস্তুত অবস্থায় রাখা হয়েছে।
নিপ্রো নদীর রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত তীরের বন্যাকবলিত শহর নোভা কাখোভকার বাসিন্দারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তাদের শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া সত্ত্বেও কিছু মানুষ থেকে যাওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শহরটির বাসিন্দা ইয়েভহেনিয়া টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেন, ‘ঘণ্টায় ঘণ্টায় পানি বাড়ছে, খুব নোংরা।’
জাতিসংঘ বলেছে, বাঁধ ভাঙার জন্য কে দায়ী তা তারা নিশ্চিত নয়।
জেনেভা কনভেনশনে বেসামরিকদের বিপদ ঘটতে পারে বলে যুদ্ধের মধ্যে বাঁধকে লক্ষ্যস্থল করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।