টিসিবির জন্য চিনি ও ভোজ্য তেল কিনবে সরকার

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কোন পথে : মূল্যস্ফীতি > ডলার সংকট > বৈদেশিক ঋণের সুদ ও ভর্তুকি ব্যয় > কর ও ব্যক্তি করদাতা বাড়ানো

পরের সংবাদ

মিরসরাইয়ে ২৩ কোটি টাকার আম বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোহাম্মদ ইউসুফ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে : উপযুক্ত আবহাওয়া ও উর্বর মাটিতে চলতি বছর মিরসরাইয়ে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার অধিকাংশ এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ করা হয়েছে। উপজেলায় চলতি বছর ১৩০ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আমের গুণগতমান উল্লেখ করে বিক্রির জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। উপজেলায় কয়েক শতাধিক আম চাষি স্বপ্ন বুনছেন লাভের আশায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১৩০ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। স্থানীয় জাতের দেশি আম, আ¤্রপালি (রুপালি), রাঙ্গুয়াই, ব্যানানা, সূর্যডিম, গোপালভোগ, হাড়িভাঙ্গা জাতের আম বেশি চাষ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ২৫ টন হিসেবে ১৩০ হেক্টর জমিতে ৩২ লাখ ২৫ হাজার টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৭০ টাকা কেজি ধরে যার বাজারমূল্য ২২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে আম বিক্রি শুরু করেছেন বিভিন্ন বাগান মালিক।
এ ব্যাপারে মিরসরাইয়ের করেরহাটের হিলসডেল মাল্টিফার্ম এন্ড মধুরিমা রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী মঈন উদ্দিন ভোরের কাগজকে বলেন, মিরসরাইয়ের পাহাড় ও সমতলের মাটি এবং পরিবেশ আম চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তিনি ৩১ একর জমিতে আমসহ বিভিন্ন ফলের বাগান করেছেন। বাগানে ৭০০ আমগাছের মধ্যে ৫৫০টি গাছে আম ধরেছে। হাড়িভাঙ্গা ও রুপালি আমের গাছ বেশি রয়েছে বাগানে। এ বছর ৪ লাখ টাকার আম বিক্রির প্রত্যাশা করছেন তিনি। এ উদ্যোক্তা আরো বলেন, রংপুরের বিখ্যাত হাড়িভাঙ্গা আম চট্টগ্রাম অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ফলন হয়।
পাহাড় বেষ্টিত চট্টগ্রাম সমুদ্র তীরবর্তী হওয়ায় এখানে রংপুরের চেয়ে ১৫-২০ দিন আগে আমের ফুল আসে এবং ২০ দিন আগে আম পরিপক্বও হয়ে যায়। এ মৌসুমে প্রতি কেজি হাড়িভাঙ্গা আম ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন তিনি। এতে করে বাজারে বেশি দামে আম বিক্রিও করা যায়। সঠিক পরিচর্যা করলে আম চাষ করে যে কেউ সফল হতে পারবেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রয় ভোরের কাগজকে বলেন, উপজেলায় ১৩০ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ২৫ টন হিসেবে ১৩০ হেক্টর জমিতে ৩২ লাখ ২৫ হাজার টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৭০ টাকা কেজি ধরে যার বাজারমূল্য ২২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় চলতি বছর আম চাষ করে লাভবান হবেন উদ্যোক্তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়