টিসিবির জন্য চিনি ও ভোজ্য তেল কিনবে সরকার

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কোন পথে : মূল্যস্ফীতি > ডলার সংকট > বৈদেশিক ঋণের সুদ ও ভর্তুকি ব্যয় > কর ও ব্যক্তি করদাতা বাড়ানো

পরের সংবাদ

নজরুলের কবিতার প্রাসঙ্গিক ভাবনা

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মহৎ কবিতার একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য এই যে তার কিছুটা নাটকীয় গুণ থাকে। নাটকীয় গুণ এই অর্থে যে সব শ্রেষ্ঠ কবিতাই নিজস্ব জীবনসম্পদে সমৃদ্ধ। সে-কবিতা পাঠে পাঠক নিজেদের বিশ্বাস-অবিশ্বাস, ধ্যান-ধারণাকে সাময়িকভাবে হলেও পরিহার করে পঠিত কবিতার জীবন প্রবাহে আত্মসমর্পণ করেন। সঞ্চারশীল এই জীবন-সম্পদের অভাব কবিতার দুর্বলতা প্রমাণ করে। নজরুলের সব কবিতাতেই এই গুণটি স্পষ্ট, কখনো কখনো মাত্রাতিরিক্তভাবেই বর্তমান। পাঠককে টেনে নেয়ার, টেনে নিয়ে চালিত করার ক্ষমতা তার কবিতায় আছে এবং যথেষ্ট পরিমাণেই আছে। সে-কবিতা পাঠে আমাদের পাঠকচিত্ত চঞ্চল হয়, চালিত হয়।
নজরুলের কবিতার এই নাটকীয় গুণটি কবির জীবন থেকেই এসেছে। সংঘাত হচ্ছে নাটকের প্রাণ। এই সংঘাত ঘটে বিপরীত শক্তির মধ্যে- আলোর সঙ্গে অন্ধকারের, ভালোর সঙ্গে মন্দের, স্বার্থত্যাগের সঙ্গে স্বার্থপরতার। সমসাময়িক সামাজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নজরুলের কাব্যসাধনা এই সংঘাতেরই প্রতীক। ভীরুতা ছিল যে সমাজের প্রধান বৈশিষ্ট্য সেখানে তিনি শক্তি সাধনা করেছিলেন। স্বার্থচেতনা ছিল যে মানসিকতার প্রধান লক্ষণ তাকে তিনি বৃহতের মধ্যে নিজেকে ব্যাপ্ত করার প্রেরণায় উদ্দীপ্ত করেছিলেন। সৃষ্টি যেখানে বৈশিষ্ট্যহীন গতানুগতিকতার নিজের স্বার্থকতা খুঁজত সেখানে স্পর্ধিত ব্যক্তিত্বের দুর্জয় ঘোষণা তিনি জানিয়েছিলেন। উপকথার কদাকার দৈত্যের মতো অত্যাচারী ক্ষমতার যে-বোঝা উপমহাদেশের নিরীহ প্রাণকে অতিষ্ঠ করেছিল তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কণ্ঠকে তিনি স্বরগ্রামের শেষ সীমা পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন। প্রবলের বিরুদ্ধে দুর্বলের পক্ষে তার যে-সমর্থন তাও প্রচণ্ড। অর্থাৎ সর্বত্র তিনি নাটকের নায়ক- তিনি দ্ব›েদ্বর নেতা। আর এই দ্ব›দ্ব থেকেই তার কবিতার নাটকীয় গুণটি সরাসরি এসেছে।
দ্ব›েদ্ব যিনি এক পক্ষের নায়ক, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সংগ্রামে তার শক্তির প্রয়োজন। এই প্রয়োজনে নজরুল শক্তির একনিষ্ঠ সাধক ছিলেন। শক্তির জন্য সাধনাই তাকে সমগ্র জীবন প্রণালিতে উচ্চারিত, উচ্চকিত এই শক্তি-সাধনা কাব্যকে গতিবান করেছে, ঠিক যেমনভাবে গদ্য রচনাকে করেছে নাটকীয়। অর্থাৎ কবিতার সঙ্গে শক্তি-সাধনার মিল ঘটেছে, কেননা কবিতাকে শক্তিমন্ত কথার প্রকাশ-মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যেমন সম্ভব, গদ্যকে তেমন করা সম্ভব নয়। এ হয়তো তাকে কিছুটা আবিষ্টও করেছিল এবং সেজন্যই বুঝি বা তিনি দার্শনিকতার অসামান্য গভীরতায় পৌঁছতে পারেননি। তার কাব্যধারায় কোনো সুস্পষ্ট বিকাশ নেই কোনো নির্দিষ্ট পরিণতির দিকে কবি এগিয়ে যাননি বলে যে অভিযোগ উঠেছে তারও মূল রয়েছে এখানে।
শক্তির সাধনা করতে গিয়ে মাঝে মাঝে আপাত স্ববিরোধিতারও তিনি প্রশ্রয় দিয়েছেন। পুনর্জাগ্রত ইসলামের শক্তিমন্ত রূপের কল্পনা করেছেন কখনো কখনো, আবার কালী মূর্তিতে শক্তির প্রকাশ দেখে তারও বন্দনা গেয়েছেন, এবং শেষ বয়সে আধ্যাত্মিক শক্তিরও আরাধনা করেছেন। কিন্তু সব অবস্থাতেই ভীরুতার দৈন্য-পীড়িত ও হীনম্মন্যতার বিকারে আড়ষ্ট দেশে শক্তির উদ্বোধন তিনি কামনা করেছেন। তার সব আপাত স্ববিরোধিতার ভেতরই শক্তির জন্য সঞ্চারশীল আকুতি অনুরণিত হয়েছে। এবং তার স্ববিরোধিতার কারণও স্পষ্ট।
এই কামনা ও আকুতিটা সামান্য নয়। জীবন প্রবাহ যেখানে গতানুগতিকতার ধারায় নেমে এসেছে সেখানে বন্ধনহীন দুরন্ত যৌবনের মুক্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে সামান্য কথা বলতে পারি না। এইখানে নজরুল বিদ্রোহী। তার এ বিদ্রোহ অত্যাচার-অনাচারের বিরুদ্ধে যেমন প্রচণ্ড, রুচির বিরুদ্ধেও তেমনি। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষেরা চিরকাল মানুষের রুচির প্রচলিত ধারাটি পাল্টে দেয়ার সংকল্প নিয়েই আবির্ভূত হয়েছেন। সেই ধারায় কতটা পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন তার পরিমাণই বুঝি তাদের মাহাত্ম্য বিচারের নির্ভরতম মাপকাঠি। নজরুলও তেমনি সমকালীন রুচির চেহারায় পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন। বৃহত্তর পটভূমিতে বিচার করলে মনে হতে পারে ভীরুতার ছোঁয়া লেগে বিবর্ণ রুচি পাল্টাবার প্রয়াসে তিনি একক ছিলেন না; যুগ-মানসও সে-প্রচেষ্টায় উত্তেজিত হয়েছিল। তবু সাহিত্যের পরিধিতে তার সাধনা নিঃসন্দেহে অনন্য সাধারণ। তার সমসাময়িক সাহিত্যকর্মীদের অনেকেই সাহিত্যিক বিদ্রোহের নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। রবীন্দ্র-প্রভাবকে অতিক্রম করে যাওয়া বা নৈতিকতাবোধের প্রচলিত মানদণ্ডটি ভেঙে দেয়ার কথা তাদের সাহিত্যকর্মে অহরহ উচ্চারিত থাকত। চেষ্টা করে বোহেমিয়ান সাজার সদিচ্ছাও ছিল। নজরুলের সঙ্গে এদের তফাৎটা শুধু পরিমাণগত নয়, মূলগতও বটে। তার বিদ্রোহ সাহিত্যিক বিদ্রোহ বা মানসিক বিলাস মাত্র নয়, এ বিদ্রোহ একটা জীবন-প্রণালিরই নাম। তাই বুদ্ধদেব বসু বা মোহিতলাল মজুমদারের মতো নির্বন্ধন জীবনযাপনের জন্য বুদ্ধিগ্রাহ্য আকাক্সক্ষা জানিয়েই তিনি ক্ষান্ত থাকেননি, জীবন এবং সাহিত্য উভয়কে একাকার করে বিদ্রোহী হয়েছেন। শুধু সাহিত্যিক চিন্তাতেই যে এই বিদ্রোহের ভঙ্গিটি আবদ্ধ থেকেছে তা নয়, প্রকাশ-রূপেও তার চঞ্চল ও বিচিত্র ছাপ সব সময়েই ভাস্বর হয়ে রয়েছে। এক কথায়, বোহেমিয়ান সেজে তিনি বিদ্রোহী নন, বিদ্রোহী বলেই বোহেমিয়ান।
কবিতার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে একজন প্রসিদ্ধ ইংরেজ কবি বলেছেন, কবিতা হবে সহজ, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ও আবেগপ্রধান। এই সংজ্ঞা সম্পর্কে বিতর্কের হয়তো বা অবকাশ আছে, কিন্তু যে-কবির এটা উক্তি তার কবিতার চরিত্র সম্পর্ক এর চাইতে যথার্থ বর্ণনা বুঝি আর হয় না। কবিতা সম্পর্কে উক্ত কবির এই ধারণার উৎপত্তি তার বিদ্রোহী মানসিকতার গভীরে। সপ্তদশ শতাব্দীর ইংল্যান্ডে গৃহযুদ্ধের রূপ নিয়ে যে বিদ্রোহের ঝড় হয়ে গিয়েছিল তিনি ছিলেন তারই চারণ; ইংরেজি সাহিত্যে তিনি অতি উচ্চকণ্ঠ বিদ্রোহী কবি। সমস্ত অত্যাচারী শক্তি- সে রাজারই হোক কি পুরোহিতেরই হোক- তার অকৃত্রিম ঘৃণা কুড়িয়েছে। তার সম্পর্কে বলা হয়েছে যে বারো ঘণ্টা যদি তিনি সমাজ সম্বন্ধে চিন্তা করতেন তবে কবিতা সম্বন্ধে চিন্তা করতেন এক ঘণ্টা। আর এই মানসিকতার জন্যই কবিতাকে তিনি করতে চেয়েছিলেন সহজ, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ও আবেগপ্রধান। নজরুলের পক্ষে এই বিদ্রোহীর ক্ষমতা বা শক্তি লাভ করাটা নিশ্চয়ই সম্ভব ছিল না। প্রসঙ্গত বিদ্রোহের দুজন সাহিত্য পুরোধার কথা উল্লেখ করা চলে। এলিয়ট তার অননুকরণীয় ভঙ্গিতে শেলী ও দান্তের বিদ্রোহের তুলনা করেছেন। সমকালীন অন্যায়ের যে তীব্র নিন্দা দান্তে করেছেন তার সঙ্গে শেলীর রাজা ও পুরোহিতদের ঘৃণার তফাৎটা কোথায়- এ প্রশ্ন তুলে তিনি জবাবে বলেন যে, শেলীর উত্তেজনা যেহেতু মস্তিষ্কের কোষে সীমাবদ্ধ ছিল, অতএব তার বিদ্রোহী কবিতা মস্তিষ্কসৃষ্ট অগভীর ও অবাস্তব শব্দের সমষ্টি মাত্র, অন্যপক্ষে দান্তের অনুভূতিতে মিশ্রিত রয়েছে তার ব্যক্তি জীবনের সমস্ত বেদনা, সুস্পষ্ট দুঃখভোগ ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ, সেজন্য তার বিদ্রোহ বাস্তবতার সৌন্দর্যে মণ্ডিত। অর্থাৎ, শেলীর বিদ্রোহ বুদ্ধিজাত সিদ্ধান্তের ব্যাপার আর দান্তের বিদ্রোহ তার সমস্ত সত্তার আর্তি। এই সমালোচনার অন্তর্নিহিত মূলনীতিটি হলো এই যে, যে-বিদ্রোহে কবির সমগ্র সত্তার অনুরণন প্রতিধ্বনিত, সে-বিদ্রোহের আবেদন সমধিক। শেলী যেমন করে তার দীক্ষাগুরু গডউইনের সিদ্ধান্তসমূহকে বুদ্ধি দ্বারা গ্রহণ করে বিদ্রোহের বদ্ধমুষ্ঠি উদ্যত করেছেন- নজরুলের বিদ্রোহ তেমনটি নয়; এই বিদ্রোহে বুদ্ধি ও অনুভূতি একাকার হয়ে মিশেছে- উভয়ের সংমিশ্রণেই এর উদ্ভব। অপরপক্ষে দান্তের দার্শনিক গভীরতা তার কাছে আমরা নিশ্চয়ই প্রত্যাশা করব না। নজরুলের অগভীরতার একটা কারণ দান্তে যেমন করে সেন্ট টমাস একইনাসের দার্শনিক পটভূমিকার ওপর নিজের ভিত্তি রচনা করেছিলেন নজরুলের দার্শনিক পটভূমি তেমন সুস্পষ্ট ও সুদৃঢ় ছিল না।
কিন্তু বিদ্রোহের নিশান উড়াবার ব্যাপারে তার আন্তরিকতা ছিল নিñিদ্রই। আর সে-কারণে ওই তিনটি বিশেষণ নজরুলের কবিতা সম্পর্কেও যথার্থভাবে প্রযোজ্য। কবিতাকে তিনি মৌনমুহূর্তের গুঞ্জন হিসেবে দেখেন না, জনগোষ্ঠীর মুক্তির একটি উপায় হিসেবে বিবেচনা করেন এবং ব্যাপক সামাজিক আবেদন সৃষ্টিকে লক্ষ্য হিসেবে জানেন, তার পক্ষে কবিতাকে সহজ না করে উপায় নেই। আবেদনকে অধিকতর সহজ ও লোকায়ত করার জন্য তাকে আবার ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য করেও তুলতে হয়। উপমা, চিত্রকল্প, প্রাচীন ঘটনা ও চরিত্রের উল্লেখের মাধ্যমে নজরুল তার কবিতাকে সব সময়েই ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতার গুণে বিশিষ্ট করে রেখেছেন। তার কল্পনার চেহারাটা সব সময়েই স্পষ্ট, তা কদাচিৎ অবিমূর্ত। আর বিদ্রোহীর পক্ষে আবেগে উদ্দীপ্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক।
শক্তিধর পুরুষ যিনি, যথার্থ শিক্ষায় যার চেতনা মার্জিত ও সংস্কৃত, আবেগ তার পক্ষে একটা বিরাট মূলধন। পূর্বে উল্লেখিত ইংরেজ কবি আবেগকে এই মূলধন হিসেবেই ব্যবহার করেছেন। বাংলা সাহিত্যে মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচনাতেও এই মূলধনের যথাযোগ্য ব্যবহার লক্ষ্য করি। কিন্তু নজরুলে এর ব্যবহার ততটা সুচারু নয়। এর প্রথম কারণ তার ব্যক্তিগত মনীষার চরিত্র; দ্বিতীয় কারণ সুনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার অভাব। এমনকি বিস্ময়কর প্রতিভাসম্পন্ন সাহিত্য স্রষ্টার পক্ষেও সুনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার অভাবটা ক্ষতিকর। আবেগকে তা সুসংস্কৃত ও সুমার্জিত হতে দেয় না; কিছুটা অপরিশুদ্ধতা ও অগভীরতা প্রায় অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ায়। এ কথা চার্লস ডিকেন্স সম্পর্কে যেমন সত্য, নজরুল সম্পর্কেও তেমনি। যে-মাটির ওপর তিনি দাঁড়িয়েছিলেন সে-মাটি অভিজ্ঞতা দিয়ে গঠিত হয়েছিল সন্দেহ নেই; কিন্তু দৃঢ়তার অভাব ছিল তার দাঁড়ানোতে।
সহজ, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ও আবেগপ্রধান কবিতা রচনা করে নজরুল আদি কবিদের সামাজিক দায়িত্বই পালন করেছেন। আদি মানুষের যূথবদ্ধ সমষ্টি-অনুভূতি থেকেই কবিতার জন্ম। শত্রæর বিরুদ্ধে সংগ্রামে, খাদ্যের সম্ভাবনায় বৃষ্টি বা ভূমিকম্পের আশঙ্কায় সমবেতভাবে তারা যে-গান গেয়েছে তা হতো একই সঙ্গে সহজ, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ও আবেগপ্রধান। কবি হিসেবে নজরুলের ভূমিকা আদিকালের কবিদের সামাজিক ভূমিকারই অনুরূপ। আধুনিক কবিতায় মনের সঙ্গে মনের কথোপকথনের যে-ভঙ্গি বর্তমান, নজরুলের কবিতায় (গানের কথা এখানে উঠছে না) তা নেই। জীবনানন্দ দাশ, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত বা অমিয় চক্রবর্তী- সময়ের দিক থেকে এরা সবাই নজরুলের সমসাময়িক ছিলেন; অথচ কবি-চরিত্রে নজরুল এদের থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। ভাষাকে সযতœ প্রচেষ্টায় মার্জিত করা, মনোঃসমীক্ষণে উৎসাহ প্রদর্শন বা চেতনার অন্তর্লীন ধারা বিশ্লেষণ সম্পর্কে পরবর্তী কালের কবিতার কোনো লক্ষণও তার মধ্যে দেখি না। বক্তার মতো সহজ ও উদ্দীপনাময় ভাষায় তার কবি-কণ্ঠ উদ্দীপ্ত। উচ্ছল নদী প্রবাহের বিপুল স্রোতধারাকে নজরুল যে তার বহু কবিতায় চিত্রকল্প হিসেবে ব্যবহার করেছেন সেটা আকস্মিক ঘটনা নয়, নজরুলের কবি-জীবনের সঙ্গে নদীর স্রোতের সাদৃশ্য আছে। আরো স্পষ্ট করে বলতে হয়, তিনি পাহাড়ি নদীর মতো- উচ্ছলতা উদ্দামতা যার বেশি এবং গভীরতাটা সে-কারণেই কিছুটা কম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়