কাগজ প্রতিবেদক : নারী নির্যাতন নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বড় বাধা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ও বিভিন্ন প্রকল্প, আইন ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এর ফলে নির্যাতন ও সহিংসতা কমেছে।
গতকাল বুধবার এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরির কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এই মতবিনিময় সভায় অংশ নেন প্রতিমন্ত্রী। সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব রওশন আরা বেগম, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবেদা আক্তার, জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার, হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. রজত সাহা প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী, নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ১৪টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ৪৭টি জেলা সদর হাসপাতাল এবং ২০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৬৭টি ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল স্থাপন করা হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর বিচার নিশ্চিত করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি এবং ৭টি বিভাগ ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভাগীয় ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের জন্য মনোসামাজিক কাউন্সেলিং দিতে ঢাকায় ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার এবং ৮টি রিজিওনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার করা হয়েছে। ন্যাশনাল হট লাইন ১০৯ থেকে ২৪ ঘণ্টা বিনামূল্যে সেবা দেয়া হচ্ছে। আগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ছিল ৪৫টি, সরকার ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০৬টি করেছে।