টানা দাবদাহের পর সিলেটে স্বস্তির বৃষ্টি

আগের সংবাদ

প্রথম দিনের ঈদযাত্রায় স্বস্তি : কমলাপুরে নেই হুড়োহুড়ি, সড়ক মহাসড়কে নেই যানজট, নৌপথে বেড়েছে যাত্রীর চাপ

পরের সংবাদ

সদরপুর : তীব্র্র তাপদাহে বিপাকে পাট চাষিরা

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মিজানুর রহমান, সদরপুর (ফরিদপুর) থেকে : পাট চাষের জন্য বিখ্যাত ফরিদপুরের সদরপুর। তবে এবার তীব্র্র তাপদাহে পাট চাষিরা চরম বিপাকে পড়েছে। অনাবৃষ্টি, রাসায়নিক সার ও জ¦ালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে এ বছর পাট উৎপাদনের ব্যয় নিয়ে বেশ চিন্তিত চাষিরা। অন্যদিকে তীব্র তাপদাহের ফলে পাটের কাক্সিক্ষত ফলন না পাওয়ার আশঙ্কা করছে অনেকেই।
উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পাট চাষি রাসেল খান বলেন, এ বছর প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন খরচ অনেক বাড়বে। এক বিঘা জমিতে ১ বার সেচ দিতে প্রায় ২ হাজার টাকা খরচ হয়। সার, ওষুধ ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রতি বিঘা জমিতে পাট উৎপাদন করতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ব্যয় হবে। উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের চাষি সালাউদ্দিন জানান, ভ্যাপসা গরমে পাট গাছে বিভিন্ন ধরনের পোকার সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। বর্তমানে পাট চাষে সেচের পাশাপাশি পোকা দমনে কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে। তাপদাহের ফলে এবার ফলনও কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যান্য বছর বিঘায় ১৭-১৮ মণ পাটের ফলন হলেও এ বছর ১৩-১৫ মণের বেশি হবে বলে মনে হচ্ছে না। ভ্যাপসা গরমে পাট চাষে কী ধরনের প্রভাব দেখা দিতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে সদরপুর উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মাদ ইসলাম শরীফ বলেন, এই গরমে পাটের নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। এর মধ্যে পাটে লেদা ও চেলে পোকার সংক্রমণ, পাতা ঝরা ও পাতায় ফোসকা পরা অন্যতম কারণ। তবে পরিমাণ মতো কীটনাশক ও সেচ দিলে এ সমস্যার সমাধান হবে।
সদরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায় জানান, এ বছর সদরপুর উপজেলায় মোট ৬ হাজার ৫২৮ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ফলন কিছুটা কম হতে পারে। এখনো পাটে তেমন কোনো রোগ দেখা দেয়নি। এমন অবস্থা থাকলে কৃষকরা লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়